somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আলস্য / অলসতা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অলস মুহুর্তগুলো চন্ঞল হয়ে উঠেছে আলস্যে দিন কাটাবে বলে। জীবনের যে প্রান্ত রঙীণ সেই প্রান্তে ঘন জমাট বেধে আছে আলস্য। রঙহীন কর্মব্যস্ত জীবন কতটুকু সুখ উপলব্ধি করতে পারে। সুখের কথা কেন বলছি ....

আলস্য আর সুখ একই সুতায় গাথা। কর্মব্যাস্ত জীবনে সুখ কি ... আর অসুখ ই বা কি ? শুধূ শরিরের ক্লান্তিই উপভোগ করা যায়, সেখানে আত্মিক পরম সুখ থাকলে ও তা উপভোগ করার যথেষ্ট সময় থাকে না। তাই জীবনের নিখাদ সুখ উপলব্ধি করতে হলে অবশ্যই আলস্যে সময় কাটাতে হবে। হ্যা, স্থান -কাল- পাত্র ভেদে এমতের ভীন্নতা থাকতেই পারে। এখন আমার কাছে এমনটাই মনে হচ্ছে ..
" আলস্য সকল সুখের মূল " ।
এগুলো লিখতে লিখতে হঠাৎ মনে হলো, মানুষের জীবনে অলস মুহুর্ত বলে কোন মুহুর্তই নেই।আসলে অলসতা কি বা আলস্যের সঙ্গা কি ?
সহজ বাংলায ... চোখের সামনে কাজের স্তুপ পরে আছে অথচ সেগুলো করছি না। সেই কাজগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে যে মুহুর্তগুলো অতিবাহীত করি সেসব মুহুর্তকে অলস মুহূর্ত বা আলস্য বলে। কিন্তু সেসব অলস মুহূর্তে আমাদের মস্তিষ্ক তো চুপচাপ বসে থাকে না। কোন না কোন কাজে সে ব্যাস্ত থাকে। এক মিলি সেকেন্ড এর জন্য ও মস্তিষ্ক কাজ ছাড়া থাকে না, এমন কি ঘুমের সময় ও আমাদের মস্তিষ্ক থাকে সচল।
যেদিন থেকে মায়ের গর্ভে মস্তিষ্কের আকার ধারন করেছে সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত বিরাম হীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক। প্রথমে গর্ভাবস্থায় মায়ের সাথে সখ্যতা, এরপর পৃথিবীর আলো বাতাসে ধিরে ধিরে বাবা, ভাই-বোন, পরিবেশ, প্রতিবেশী, বন্ধু- বান্ধব যথাক্রমে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান সকল অস্তিত্ব সম্পন্ন্ন বস্তু এবং সকলের আচরেনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলে। এভাবে পথ চলতে চলতে কখনো সহনশীল কখনো প্রতিবাদি ও হয়ে ওঠে। যতদিন এ দেহে প্রান বায়ু থাকবে ততদিন মস্তিষ্কের ব্যস্ততা ও থাকবে। তারমানে দাড়াচ্ছে মানষ কখনো অলস সময় অতিবাহীত করতে পারে না। আলস্য সকল সুখের মুল হলে ... সে সুখের দেখা মানুষ কখনো পায়নি আর কোনদিন পাবে ও না। ....
হায়রে আলস্য ... জীবদ্দশায় তোকে আর পাওয়া হলো না।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬


আমি যখন কানাডায় বসে পাশ্চাত্যের সংবাদগুলো দেখি, আর তার পরপরই বাংলাদেশের খবর পড়ি, তখন মনে হয় - পশ্চিমা রাজনীতির চলমান দৃশ্যগুলো বহু পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আলো-ছায়ায় প্রতীয়মান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×