আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ...কোন এক ছুটি তে গ্রামের বাড়ি ...পত্রিকার পাতায় আমাদের এক শিক্ষকের মৃত্যুর সংবাদ পড়লাম ..জানলাম আমাদের দেশে আমার প্রিয় বিশ্ব বিদ্যালয়ে এমন এক জন বড় মাপের বিজ্ঞানী আছেন এত বড় মাপের মানুষ আছেন কিন্তু হায় কপাল নিভৃতে চলে গেলেন ...এখন যখন স্যারের প্রতিষ্ঠিত রিসার্চ সেন্টারের সামনে দিয়ে হাটি শ্রদ্ধা আসে আপনাআপনি ...স্যার আমাদের ক্ষমা করবেন .....আপনার সম্মান আমরা দিতে পারিনি হয়তো পারবো না আপনার মত হতে দেশকে ভালবাসতে..আজ আপনার এ মৃত্যু দিবস এ আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি....স্যার সম্পর্ক এ কিছু যা হয়তো তার প্রকৃত মুল্য বুঝাতে পারবে না ...তারপরও সবার জানার জন্য দিচ্ছি
১৯৮৪ সালে সোয়া লাখ টাকা
বেতনের
চাকুরী, কেমব্রিজ ভার্সিটির
অধ্যাপক,
সম্মানের লেভেলটা বুঝতে পারছেন
তো ?
এই চাকুরী অবলীলায় ছেড়ে দিয়ে
এইদেশে
চলে এসেছিলেন।
যোগ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ে ,
মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকার
চাকুরীতে।
ভাবতে পারছেন?
আপনি কিংবা আমি হলে এই লোভনীয়
সুযোগ হাতছাড়া
করতে পারতাম?
কেন ফিরে এসেছিলেন এমন প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি নিজ
দেশকে
ভালোবাসি , এ জন্য এখানে চলে
এসেছি।
আমি আমার দেশকে
ভালোবাসি,আমি এখান থেকে
নিতে আসিনি আমি দিতে এসেছি’।
স্টিফেন হকিং এর নাম শুনেছেন তো?
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা
জীবিত
বিজ্ঞানী। যার চরিত্রের উপর
তৈরি করা সিনেমা থিওরি অব
এভ্রিথিং সমগ্র বিশ্বে সাড়া
ফেলেছে। এই
মানুষটা ছিলেন ছাত্রজীবনে
স্টিফেন
হকিং এর বন্ধু আর রুমমেট। লেভেল টা
বুঝতে পারছেন
তো ?
১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রেস থেকে প্রকাশ করেন আল্টিমেট
ফেইট
অব দা ইউনিভার্স। তাবৎ দুনিয়ার
রথি মহারথীদের দৃষ্টি একদিকে
নিয়ে
আসতে পেরেছিলেন এক বই দিয়ে।
তার গবেষণার উপর ভিত্তি করেই
পদার্থবিজ্ঞানের নতুন অধ্যায়ের
সুচনা হয়।
তার অবদানের কথা অকপটে স্বীকার
করেন
নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী
ওয়েইনবারগ।
তিনি বলেন, ‘‘we are particularly indebted to
Jamal Islam, a
physicist colleague now living in Bangladesh.For an
early draft
of his 1977 paper which started us thinking about
the remote
future”
ভাবতে পারছেন? কি বড় মাপের মানুষ
ছিলেন তিনি?
নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম
বলেছিলেন, এশিয়ার মধ্যে আমার
পরে যদি দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি
নোবেল
পুরস্কার পায়, তবে সে হবে প্রফেসর
'জামাল নজরুল
ইসলাম’।
এই মানুষটার মৃত্যুবার্ষিকী আজকে।
নেই কোন স্মরণ, নেই
তার কাজের উপর আলোচনা।
আমরা পারিও বটে। যে জাতি
জ্ঞানীদের সম্মান দিতে
জানে না, সেই জাতি খুব দ্রুতই
নিশ্চিহ হয়ে যায়।
.
ও হ্যাঁ, এই মানুষটাই কিন্তু সর্বপ্রথম ১৯৭১
সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর
কাছে চিঠি
লিখে বাংলাদেশে পাকিস্তানী
বাহিনীর আক্রমণ
বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন।
.
.
ভাল থাকবেন স্যার, পারলে আমাদের
ক্ষমা করে দিয়েন
# bengali # scientist.
সবশেষে সামু কর্তৃপক্ষের কাছে পোষ্ট. টি নির্বাচিত এ দেয়ার অনুরোধ