টাইয়ের নট বাঁধতে বাঁধতে কতকিছু মনে পড়ে গেল শ্যামলের!
এতদিন পরে মোমেনের ফোন। কী মনে করে হঠাৎ? দেখাতে চাইছে কত ওপরে উঠেছে? বেশ তো! শ্যামলও দেখাবে ক্লাসের সেকেণ্ড বয় হয়েও সেও কিছু কম ওপরে উঠেনি ওর চেয়ে। ফোনটা এসেছিল গতকাল রাতে। রিসিভ করতেই ওপাশে মোটা গলায় কেউ বলে উঠলো,
‘কী রে... ফার্স্ট বয়কে ভুলে গেছিস একেবারে! একসময় না হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতি আমার সাথে! চল কাল দেখা করি। হোটেল র্যাডিসন...ঠিক এগারোটায়! আসবি?’
না এসে উপায় কী! এ যেন অনেকটা ওপেন চ্যালেঞ্জ!
বেয়ারা তার জন্য নির্ধারিত জায়গা দেখিয়ে দিয়ে তাকিয়ে থাকে মুখের দিকে। শ্যামল বিরক্ত মুখে কফির অর্ডার দেয়। সাড়ে এগারো...বারো...কেউ আসে না। দূর! এই ফাজলামির মানে হয় কোনো?
উঠতে যেতেই বেয়ারা একটা চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে বলে,
‘স্যার আপনাকে গাড়িতে বসে খুলতে বলেছেন।’
বিস্মিত আর বিরক্ত মুখে চিরকুটটা হাতে নেয় শ্যামল। ড্রাইভার গাড়ি ছোটাতেই চিরকুটের ভাঁজ খুলে ফেলে। পরিচিত হস্তাক্ষরে লেখা
‘ভেবেছিলাম...অনেক উপরে উঠে এবার বুঝি নীচে তাকানোর ফুরসত হয়েছে তোর!’
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৬