আমরা সবাই এখন ধুকধুক বুক নিয়ে আশা আর নিরাশার দোলাচলে সময় কাটাচ্ছি।
এই সময়টাতেও যে সেই বইমেলার মতো আবার আপনাদের কানের কাছে প্যান প্যান করতে চলে আসবো, ভাবিনি। তবে এবারে আর 'বই কিনুন...বই কিনুন' করে যন্ত্রণা দিব না। সেই যন্ত্রণা এখন বেকার, ভালোই জানি সেটা। তার পরিবর্তে বরং বলবো, 'ফ্রি দিচ্ছি...পড়ে ফেলুন! পড়ে ফেলুন!'
আচ্ছা না পড়লে না পড়ুন! অন্তত ঘুরে আসা যেতে পারে সতীর্থ প্রকাশনীর ওয়েবপেজটা থেকে। বেশ কিছু বই আপ্লোড করেছে তারা। আমার বইটিও এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে। একদম নতুন উপন্যাস। বেশ অনেক আগে লেখাটা শুরু করলেও এতদিনে এসেই পুরোটা শেষ করতে পেরেছি। জীবনমূখী বড় ক্যানভাসের লেখা পড়তে যারা ভালোবাসেন, তারা অনায়াসেই ঢুঁ মারতে পারেন।
গল্প সংক্ষেপ দেখে নেওয়া যেতে পারে,
'' ‘যে জীবন মানুষের’ উপন্যাসটিতে সন্নিবেশ ঘটেছে সমাজের অনেক পরিচিত মুখের। যাপিত জীবনে এই মুখগুলোকেই আমরা অহরহ দেখে থাকি আশেপাশে। নয়ন, কুমুদ, সিরাজ মুনশী, মায়মুনা বেগম, আয়েশা খাতুন, বাদল, কবির সওদাগর, রাকিব, শিহাব, পবন...এরা প্রত্যেকেই এই উপন্যাসের অপরিহার্য অংশ।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র নয়নের জীবনে প্রথম প্রেমের কুঁড়ি হয়ে দেখা দিয়েছিল কুমুদ। সেই কুঁড়িকে নিষ্ঠুর হাতে নষ্ট করে অর্থের কাছে বিকিয়ে দিয়েছিল কুমুদের বাবা সিরাজ মুনশী। নয়নের দুঃখমাখা একাকী জীবনে কিছুটা আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের সুবাতাস বয়ে নিয়ে আসে বন্ধু রাকিব। ওদিকে নয়নের মা আয়েশা খাতুনের বার্ধক্যে বিপর্যস্ত দিন কাটে অবিশ্বস্ত কর্মচারী পবন আর বাউণ্ডুলে দেবর বাদলকে নিয়ে।
তাদের এই নিত্যকার ঘর মন সংসারে যুক্ত হয় নতুন কিছু মুখ। অনাদরে দূরে সরে যায় পরিচিত চেনা স্বজন।
প্রতিদিনের টানাপোড়েন, অভিযোগ আর আনন্দ বিষাদের সহজাত গল্প ‘যে জীবন মানুষের’।''
সতীর্থ প্রকাশনীকে ধন্যবাদ জানাই আমার উপন্যাসটি প্রকাশের জন্য। রাজশাহীর সাথে আমার সম্পর্কটা আত্মিক। সেই রাজশাহীর একটা প্রকাশনীর সাথে নামটা যুক্ত করতে পেরে ভালো লাগছে।
প্রচ্ছদের কথাটা না বললেই নয়। অসাধারণ এই প্রচ্ছদটি এঁকেছে এই সময়ের প্রতিভাবান লেখক ও শিল্পী শারমিন আঞ্জুম। টাইমলাইনে দেওয়া তার দারুণ দারুণ সব ছবি দেখে লোভাতুর চোখ ফেরাতে পারতাম না কিছুতেই। তাই একটি প্রচ্ছদ চেয়ে বসি শারমিনের কাছে। প্রত্যাখ্যাত হইনি। মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই চমতকার প্রচ্ছদটি এঁকে আমার বইয়ের জন্য উপহার দিয়েছে শারমিন। আমার উপন্যাসের গল্পটিকে এই প্রচ্ছদটি যেন সর্বাঙ্গে ধারণ করেছে। অনেক মানুষের মাঝে থেকেও জীবনের বন্ধুর পথটা আসলে একা একাই পাড়ি দিতে হয় মানুষকে। অনেক গল্পের জন্ম হয় জীবনে, তবু জীবন প্রকৃতঅর্থে একজন মানুষের একাকী যাত্রার গল্প।
লিংকটি শেয়ার করছি। আমার সম্পূর্ণ উপন্যাসটি পড়তে একটি ক্লিক করে ফেলুন। আর যদি পড়ে ফেলতে পারেন পুরোটা তাহলে একটা ছোট্ট মতামত রেখে আসুন সেই পেজে। না এলেও কিছু সমস্যা নেই।
১ম খণ্ডের লিংক-https://bit.ly/2LiDa4Z
২য় খণ্ডের লিংক-https://bit.ly/2zjf6w4
হ্যাপি রিডিং
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:১৭