somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথন- ল্যাভেণ্ডারের সুবাস

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



#পর্ব_৩
কেমন যেন তরতর করে সময়গুলো কাটতে লাগলো।
বুয়েটেও বেশ অনেকবার আসা যাওয়া করতে হলো। এই এতগুলো বছরেও প্রয়োজন না পড়াতে আমি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল সার্টিফিকেট তুলিনি। প্রভিশনাল দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। পাশ করেছি সেই ২০০১ সালে! এতদিনে একবারও সার্টিফিকেট তোলার কথা মাথায় আসেনি। কষ্টার্জিত সার্টিফিকেট খানা কেন একবারও হাতে নিয়ে দেখার ইচ্ছে হয়নি, সেটাও ভেবে দেখার মতো বিষয়।
শুধু তাই নয়, অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহায়ে ২০০৬ সালে একটা মাস্টার্সও করেছিলাম বুয়েট থেকে, ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ। সেটারও যে একখানা সার্টিফিকেট পাওনা আছে ওটা তো আমি বেমালুম ভুলে বসে আছি।
মানুষ অর্জিত জিনিস যে এভাবে ফেলে রাখতে পারে, আমিই বুঝি তার সর্বশেষ নমুনা!

অবশেষে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসলাম। এই পাওনাগুলো মিটিয়ে নিতে দীর্ঘদিন পরে আবার বুয়েটমূখী হলাম। বুয়েটের এত কাছাকাছি বাস করেও কখনো প্রিয় ক্যাম্পাস থেকে ঘুরে আসা হয়নি। শুধু রিক্সা, বুয়েটের ভেতর দিয়ে গেলে আসা যাওয়ার পথে যেটুকু দেখা হতো। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে যেতাম প্রিয় সিভিল ভবন।
আকর্ষণীয় ভবনের দোতলায় আমাদের ক্লাসরুম ছিল। সেদিকে তাকিয়ে থাকতাম তৃষ্ণাভরা চোখে। কতগুলো দিনের কত অজস্র উৎকণ্ঠা আর হাস্যরসাত্মক কথামালাতে বন্দী হয়ে আছে প্রিয় এই ভবন!

মাস্টার্স করেছিলাম ড মনোয়ার হোসেন স্যারের সুপারভিশনে। শেষ করার পরে স্যার বলেছিলেন,
‘এই মেয়ে...কীসের বিসিএসে ঢুকে বসে আছো! তুমি তো কথাই বলতে পারো না! না না...তুমি সরকারী চাকরি করতে পারবে না। ঠিকাদার সামলাইতে পারবা? ওদের মারমূখী মূর্তি দেখলে তো কান্না করে ফেলবা! অনেক ঝামেলার ব্যাপার স্যাপার আছে। তুমি বরং কোনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ঢুকে যাও। আর দেখা করতে এসো মাঝে মধ্যে। কী করছো খবরাখবর দিও।’
স্যারকে কখনো গিয়ে আর বলা হয়নি, তিন বছরের ছোটখাট একটা ফিল্ড এক্সপেরিয়েন্স হয়ে গিয়েছিল আমার। আর ঠিকাদারদের সাথেও বেশ কথাবার্তা চালিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঠ্যালায় পড়লে বাঘেও যে গাছে ওঠে, এটা তো সর্বজন স্বীকৃত কথা!

মনোয়ার স্যারের নিজস্ব একটা এক্সপেরিমেন্ট সাইট ছিল। বুয়েটের আইডব্লিউএফএম (ইন্সটিটিউট অফ ওয়াটার এন্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট) ইন্সটিটিউশন এর পেছনে। সেখানে ডাটা সংগ্রহ করতে যেতাম। পাম্প চালু করে বটম ভেইনের (একটি বিশেষ স্ট্রাকচার যা পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করে) নানারকম অবস্থান সেট করে সেখান থেকে ডাটা নিতাম। বেশ একটু পরিশ্রমেরই কাজ ছিল সেটা। থিসিসের কাজের যখন একেবারে চুড়ান্ত সময়, সেই সময়ে একদিন স্যারের কাছে গিয়ে বলি,
‘স্যার, আমি কিছুদিন আসতে পারবো না। দুই-তিন মাস।’
স্যার আমার কথা শুনে হাঁ হয়ে গেলেন। বিস্মিত গলায় বললেন,
‘কেন? এতদিন কেন আসতে পারবে না? এখন না আসলে হবে নাকি? থিসিসের লেখা শুরু করতে হবে না? ডাটা সংগ্রহই তো শেষ হয়নি তোমার!’
আমি কাঁচুমাচু মুখ করে বললাম,
‘স্যার...ইয়ে...ম্যাটারনিটি লীভে যেতে হবে!’
আমার তখন প্রেগন্যান্সির নয় মাস চলছে। অথচ স্যারের কাছে গিয়ে আমাকে বলতে হলো কীসের ছুটি চাচ্ছি! এই হচ্ছে অবস্থা!

এই এতগুলো বছরে এত কাছে থেকেও স্যারের সাথে আর দেখা করা হয়ে ওঠেনি। ঘুরে ঘুরে সেই ক্লাসরুমগুলোও দেখা হয়নি, যা একসময় আমরা মুখরিত করে রাখতাম। হয়ত স্মৃতির ভারে অহেতুক ভারাক্রান্ত হতে মন সায় দিত না। যা একসময় ছিল আমাদের দখলে, আজ তাতে বসেছে নতুন প্রাণের মেলা। কী জানি, হয়ত এই ব্যাপারটাও মনের অজান্তে মন খারাপের কারণ হয়!
যাহোক, এই উপলক্ষে এতদিনে এসে সেই সুযোগটি ঘটে গেল। রিকোমেণ্ডশেন লেটারের জন্য কার কাছে যে যাব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এই জিনিসেরও যে এতদিন পরে এসে দরকার পড়তে পারে, তা কে জানত?
প্রথমে মনোয়ার হোসেন স্যারের কথাই মনে হলো আমার। ডিপার্টমেন্টের অফিসে গিয়ে শুনলাম স্যার রিটায়ারমেন্টে চলে গেছেন। মনটা একটু খারাপই হলো। আর দেখা হলো না স্যারের সাথে! এত বছর পরে এখন আবার এনভায়ার্নমেন্টে পড়তে যাচ্ছি শুনে স্যার কী বলতেন, খুশি হতেন নাকি বেজার... সেটা জানারও খুব ইচ্ছা হচ্ছিল। স্যার তার স্বভাবসুলভ মজামেশানো ভারিক্কি গলায় হয়ত বলতেন, ‘তুমি দেখি মেয়ে ভালোই পার! এখনো লেগে আছ!’

আমাদের প্রাক্তন ক্লাসমেট মোস্তফা (ড মোস্তফা আলী), ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর টিচার। আর বেশি ভাবনাচিন্তায় না গিয়ে ওর কাছেই চলে গেলাম। গিয়েই প্রথম প্রশ্ন করলাম, ‘এই, তুই তো আমার ক্লাসমেট ছিলি। তোর কাছ থেকে কি রিকোমেণ্ডশেন লেটার নেওয়া যাবে? সেটাতে কি কাজ হবে?’
মোস্তফা অবিচলভাবে বললো,‘তাইলে সিনিয়র কারো কাছে যা! আমার কাছ থেকে নিতে তরে কে কইছে?’
‘কার কাছে যাবো?’
‘তুই কার কাছে যাবি আমি তার কী জানি? এই দাঁড়া...দেখি সাব্বির ভাই আছে নাকি। সাব্বির ভাইয়ের কাছে যা! উনি সবাইরেই রিকোমেণ্ডেশন লেটার দিয়ে দেন।’
মোস্তফা সাব্বির ভাইয়ের খোঁজ করল। তাকে পাওয়া গেল না। সম্ভবত ক্লাসে আছেন অথবা অন্য কোথাও। নিরাশ গলায় বললো, ‘দ্যাখ কার কাছে যাবি! তুই যা ভালো মনে করিস।’

মোস্তফার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি নিজেই সমস্যা সমাধানে এগুলাম। একটা রিকোমেণ্ডেশন লেটারই তো! না দেওয়ার কী আছে? তবু অনেক শিক্ষকই নানা কারণে চাইলেই এটি দিতে চান না। তাদের ব্যক্তিগত কোনো কারণ থাকলেও থাকতে পারে। সব শিক্ষক যেমন একরকম নন, সব ছাত্রও তেমনি একরকম নয়। তবু প্রয়োজনের সময়ে এই লেটারটি না পাওয়া নিয়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মুখেই ক্ষেদের কথা শোনা যায়।
আমার হাজবেণ্ডই ছাত্রাবস্থায় এই রিকোমেণ্ডেশন লেটার পাওয়া নিয়ে তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিল। নিজের সেসব অভিজ্ঞতার জন্যই ওর কাছে কেউ রিকোমেণ্ডেশন লেটারের জন্য এলে সে পারতপক্ষে কখনো না করে না।

আমি ডিপার্টমেন্টের লম্বা করিডোর দিয়ে হেঁটে বেড়াতে লাগলাম। এতদিনের অসাক্ষাতে স্যারদের মুখগুলো কেমন যেন অপরিচিত ঠেকতে লাগল। আমি দরজার ফাঁক দিয়ে আড়চোখে তাকাতে তাকাতে গেলাম, পরিচিত কারো দেখা মেলে কী না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্টের বয়সসীমা ৬৫ বছর বলেই হয়তবা দু’একজন পরিচিত শিক্ষককে এতদিন পরেও খুঁজে পেলাম। দরজার ফাঁক দিয়ে মতিন স্যারের মুখটা দেখে মহা আনন্দিত হলাম। আমাদের ক্লাস নিয়েছেন স্যার। আমি আর সাত পাঁচ না ভেবে রিকোমণ্ডেশন লেটারের জন্য ড আব্দুল মতিন স্যারেরই শরণাপন্ন হলাম।
স্যার অমায়িক ও ঠান্ডা মেজাজের মানুষ। তবু এককালে স্টুডেন্ট ছিল, এমন সকলের সামনেই হয়ত কিছুটা গাম্ভীর্য টেনে আনতে হয়। আমি নিজের পরিচয় দিলাম। নির্বাহী প্রকৌশলী হয়ে গেছি শুনে স্যারের মুখে টেনে আনা গাম্ভীর্যের রেখাগুলো ঢিলেঢালা হতে লাগলো। অল্পসময়ের মধ্যেই স্যার অনেকটা সহজ হয়ে গেলেন।

কত সালে পাশ করেছি...এতদিন পরে কেন আবার পড়তে চাইছি...নানারকম গল্প করতে লাগলেন। একটু একটু হাসির রেখাও দেখা দিতে লাগল মুখে। আমি আরেকটু মজা দেখার জন্য বললাম,
‘স্যার, আমি কিন্তু লাল কোয়ার্টারেই থাকি!’
বুয়েটের টিচারদের জন্য দুটো কোয়ার্টার, একটি লাল ও অপরটি সাদা। কোয়ার্টারের বাসাগুলোর দেওয়ালের রঙ অনুসারেই এই সহজ সরল নামকরণ। স্যার নিজেও লাল কোয়ার্টারেই থাকতেন। রাতে ইভনিং ওয়াকের সময়ে অনেকদিন স্যারের মুখোমুখি পড়ে গিয়েছি। উনি মাথা নীচু করে হাঁটতেন দেখে আশেপাশে কিছু হয়ত খেয়াল করতেন না। আমি একাধিকবার দূর থেকে তাকে আনিসের সাথে হাসিমুখে কথাও বলতে দেখেছি।

স্যার একটু অবাক হয়েই বললেন, ‘এ্যাঁ, ওহ্‌...তাই নাকি? তোমার হাজবেণ্ড কোন ডিপার্টমেন্টে?’
বললাম, ‘স্যার, ট্রিপল ই তে। আপনার সাথে মনে হয় পরিচয় আছে। ড আনিসুজ্জামান তালুকদার।’
‘এ্যাঁ! তাই নাকি? তুমি আনিসের ওয়াইফ? আরে বল কী! আনিসকে তো আমি খুব ভালোভাবে চিনি! ইয়ং সায়েন্টিস্ট হিসেবে গোল্ড মেডেল পাইছে না? আরে...কী বল! একে তুমি আমাদের প্রাক্তন ছাত্রী, তার ওপরে কলিগের ওয়াইফ! দাও দাও...কী লিখতে চাও রিকোমেণ্ডশন লেটারে, ইচ্ছামত লিখে আনো! সই করে দিব। কোনো সমস্যা নাই। আমার ওয়াইফও তো পিএইচডি করতে যেতে চেয়েছিল। ফান্ডিং পাওয়াই তো টাফ! তুমি কি ফান্ডিং কিছু পাইছো?...’ ইতিমধ্যে স্যারের মুখের রেখাগুলো একেবারেই উধাও!

আমি ‘ইচ্ছামত লিখে আনো’ এহেন আশ্বাসবাণী পেয়ে পাশের কম্পিউটার রুমে গিয়ে একেবারে সার্ফ ডিটারজেন্টে ধুয়ে নিজের প্রশংসাপত্র লিখে আনলাম। স্যার এক নজর চোখ বুলিয়ে একটু মুচকি হাসলেন। মুখে অবশ্য কিছু বললেন না। মনে মনে হয়ত ভাবলেন, ‘আহা! লিখুক! বেচারির একটা শখ হইছে!’ হাসিমুখেই সিগনেচার করে দিলেন।
পেশাজীবীদের জন্য একটা প্রফেশনাল রিকোমেণ্ডশন লেটারেরও প্রয়োজন পড়ে।
আমার প্রাক্তন বস, যাকে এসডিই (সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার) থাকা অবস্থায় এক্স এন (এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে পেয়েছিলাম, সেই জনাব শামসুর রহমান স্যারকে অনুরোধ করলাম।
স্যার অত্যন্ত সহৃদয় ও ভালোমানুষ। আমার এই পড়তে যেতে চাওয়ার ইচ্ছের কথা শুনে স্যার মন থেকে খুশি হলেন বলে মনে হলো। যত্ন সহকারে আমার লিখে নিয়ে যাওয়া রিকোমেণ্ডেশন লেটার নিজে সংশোধন করে জরুরি কিছু শব্দ যোগ করে আমাকে একটা রিকোমেণ্ডেশন লেটার লিখে দিলেন। অধঃস্তন একজন কর্মকর্তার প্রতি স্যার যে সহমর্মিতা ও সহযোগিতা দেখালেন তা আমাকে কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত করে তুললো।
এই দু’জন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আজ এই লেখার মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাভরে জানিয়ে গেলাম। (ক্রমশঃ)

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৭
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×