প্রথম থেকেই নুহাশ পল্লীকে হুমায়ূন আহমেদ এর শেষ ঠিকানা হিসেবে মেনে নিতে পারছিলাম না। হুমায়ূন এর অশীতিপর মায়ের ইচ্ছাও শাওন (স্ত্রী) এর মন কোনও ভাবে গলাতে অক্ষম ছিল। শাওনের হুমায়ূন-দোহাই এর কারনে সবার মতো একটা সময় মেনে নিতে হয়েছে। কিন্তু একটা ছবি দেখে আজ আমি সত্যি আতঙ্কিত। দেখুন ছবিটা, মনে হচ্ছে উনার কবরের ঠিক পাশেই পিকনিক হচ্ছে। মুসলিম এর কবরস্থান খুবই পবিত্র জায়গা, কবরস্থানের ভিতর সব ধরণের মানুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত, তাছাড়া কবর স্থান শুটিং কিংবা ছবি তোলারও ও জায়গা নয়।

পরিশেষে, আমার সকল ব্লগার ভাইদের কাছে জানতে ইচ্ছে করছে আচ্ছা আমরা কয়জন জানি বাংলা সাহিত্তের পল্লীকবি জসীমউদ্দিন এর কবরস্থান কোথায়। মাত্র ৩৬ বছরের (মৃত্যু-১৯৭৬) বাবধানে মানুষ উনার শেষ ঠিকানা ভুলে গেছে এবং এই প্রজন্ম জানেও না (পাঠ্য পুস্তকে উনার কবরস্থান এর কথা বলা হয়নি)।মিডিয়াকেও কখনও দেখিনি এই বাপারে কিছু বলতে। তাই খুব শঙ্কিত হয়ে গেছি এই ভেবে, আজ থেকে ২০ বছর পর হুমায়ূন এর শেষ ঠিকানার কথা তখন কার প্রজন্ম জানবে কি না।