somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট ছোট কথামালা-৮

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
এক.



সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - এর ছাত্রদের জমায়েত- পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। রাতের অন্ধকারে ল্যামপোস্টের নিচে টিয়ার শেলের ধোঁয়ার মধ্যে বাংলাদেশের পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে আছে এক দুঃসাহসিক তরুণ। ছবি: আলামিন লিওন।


মধ্যরাতে হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নেতাদের নির্দেশ উপেক্ষা করে বেশ কিছু শিক্ষার্থী মধ্যরাতেই রাস্তায় নেমে এসেছে।
কবি সুফিয়া কামাল হল ছেড়ে বাইরে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রীরাও। রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলের মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে এসেছেন।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারী শিক্ষার্থীরাও এখন আর কোটা চায় না। তারাও কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাস্তায় নেমে এসেছে। সরকারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায়ও তারা জানিয়েছে, নারীদের এখন আর কোটার দরকার নেই।

প্রতিবাদী চরিত্র মানব সভ্যতা বড় সৌন্দর্য।

দুই.



চলতি বছরের জানুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের শহর কাঠুয়ার রাসানা এলাকায় মুসলিম বাকারওয়াল সম্প্রদায়ের আসিফা বানুর ওপর চালানো নৃশংসতার তিন মাস পর উত্তাল ভারত।
মাত্র ৮ বছর বয়সেই যে ভীতিকর নির্যাতন তাকে সইতে হয়, তার কল্পনাও কষ্টসাধ্য। ধর্ষণ, হত্যার সেই অকল্পনীয় বর্বরতার বর্ণনাই এখন উত্তাল করে দিয়েছে ভারতকে, বিবেকবান প্রতিটি মানুষকে।



‘‘তাকে না খাইয়ে রাখা হয়েছিলো পুরোটা সময়। এমনকি শ্বাসরোধে হত্যার আগে একজন পুলিশ অফিসার তাকে শেষ বারের মতো ধর্ষণের জন্য জোর করছিলো। তার মাথায় পাথর দিয়ে দুবার আঘাতও করা হয়। পরে জঙ্গলে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়।’’


ধর্ষণে অভিযুক্তদের পক্ষে আন্দোলন

হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা এই ঘটনার অভিযুক্তদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কারণ, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই হিন্দু আর বাকারওয়ালরা মুসলিম। এই মামলা তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের কয়েকজনও মুসলিম। হিন্দু অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, ‘এদের বিশ্বাস করা যায় না।’

মা'গো, এই পোষ্টটি লিখছি আার কাঁদছি। মানুষ হিসাবে জন্ম নিয়ে, একটি মেয়ের পিতা হয়ে বড় অসহায় ভাবছি নিজেকে।

আসিফা বানু যদি হিন্দু হতো, আর তাকে যদি মসজিদে রেখে এমন নির্যাতন করে মেরে ফেলা হতো , আমি কি অপরাধীকে বাচানোর জন্য মিছিল করতাম? আমি মুসলিম, এই পরিচয় কি আমি মানুষ এই পরিচয়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠতো?

তিন.



জাহিদুল ইসলাম সরকার লিখেন-

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নববর্ষ পালন বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার পক্ষে বিপক্ষে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। এক শ্রেনীর মতে, মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্য, বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বার ঐক্যের প্রতীক। অপর পক্ষের মতে, মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনোই বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বার প্রতীক ছিল না বরং এটা বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলমান জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক।

প্রথমত, মঙ্গল শোভাযাত্রা কোনভাবেই বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্য নয়। ইউকিপিডিয়ার তথ্য মতে, মাত্র ১৯৮৯ সালে এই অপসংস্কৃতিটিকে যুক্ত করা হয়েছে নববর্ষ পালনের সঙ্গে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সালে খোলস পাল্টে নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো, প্রথম দিকে বাঘ, হরিণ, ময়ুরের মতো নিরীহ প্রাণীর মুখোশ নিয়ে এ উৎসব করা হতো। কিন্তু গত দুই তিন বছর ধরে কথিত অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন ভয়ংকর দৈত্য-দানবের প্রতিকৃতি যুক্ত করা হচ্ছে।

এ বছর এ প্রশ্নটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়-

নতুন বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির, পেঁচা, ময়ূর ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে ও মুখোশ পরে মঙ্গল শোভা যাত্রার যে র‌্যালি বের করা হয়, এখানে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে?

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×