somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে যায় লঙ্কায়: শ্রীলঙ্কা সফর/৩

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Faridbest/09-2014/Faridbest_637429



আমাদের নিগম্ব দর্শন শুরু হলো বেলা এগারোটার দিকে সমুদ্র তীরের
‘ফিস মার্কেটে’ থেকে। মাছ ধরার নৌকাগুলোর বেশিরভাগই ততোক্ষণে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে মাছ বাজারে তাদের সারারাতের সংগ্রহ উজাড় করে দিয়ে নিজেদের ডেরায় চলে গেছে। কাজেই মাছ বাজারে ভিড়ভাট্টা বা বেচাকেনা কোনোটাই তেমন নেই। তবে সমুদ্র থেকে তখনো একটা দুটা মাছ ধরার ট্রলার খাড়ির বুকে প্রচণ্ড ঢেউ তুলে সশব্দে ফিরে আসছে আর খাড়ির দু পাড়ে সারি সারি ট্রলার পতাকা উড়িয়ে নোঙর করে আছে। যতোদূর চোখ যায় মাছ ধরার নৌকাগুলোর সবই যন্ত্রচালিত, বেশ ঝকঝকে তকতকে আর রঙের ক্ষেত্রে আকাশি নীলের প্রতি এদের পক্ষপাতিত্ব আছে বলে মনে হয়। এখানে আমরা একটা সেতুর কাছাকাছি গাড়ি থেকে নেমেছি। এই সেতুর নিচ দিয়েই চওড়া খাড়িটা নিগম্ব শহরের একটা বড়সড় লেগুন থেকে বেরিয়ে সাগরে মিশেছে। সেতুর একদিকে সমুদ্র যাত্রার পথ আর অন্যদিকে বিস্তৃত জলাভূমিতে অসংখ্য বক এক পায়ে দাঁড়িয়ে মাছ ধরে খাচ্ছে। দৃশ্যটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়- তারপরেও আমরা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে মাছ ধরার ট্রলারগুলোর সাগর থেকে ফেরা, বকের ওড়াউড়ি আর মাছ ধরার কলাকৌশল লক্ষ করি।

আমার কন্যা যখন এক সময় প্রশ্ন করে, ‘ওরা এরকম একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে কেন?’ কেবল তখনই আমি বুঝতে পারি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম দেশে কখনোই কোথাও এক পায়ে দাঁড়ানো মৎসসন্ধানী বকের দেখা পায়নি। শ্রীলঙ্কা দেশটি চারিদিক থেকেই সমুদ্র বেষ্টিত। কাজেই এদেশের মানুষের এক বিরাট অংশ যে পেশাদার মৎসসন্ধানী তথা ধিবর সম্প্রদায় ভুক্ত তাতে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। মাছ ধরার প্রচলিত সব ধরণের পদ্ধতি ছাড়াও সমুদ্রের পানিতে বকের মতো এক পায়ে দাঁড়িয়ে মাছ ধরার দৃশ্য কেবলমাত্র শ্রীলঙ্কাতেই চোখে পড়ে। সাগরের ঢেউয়ের মধ্যে বাঁশের একটি মাত্র খুঁটি অবলম্বন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বড়শি হাতে এক পায়ে ভর দিয়ে বসে থাকে মৎস শিকারিরা। দৃশ্যটি বিদেশিদের কাছে এতোটাই চমকপ্রদ যে এই পেশাদার জেলেদের ছবি শ্রীলঙ্কার টুরিস্ট ইনফরমেশনের বিভিন্ন প্রচার পুস্তিকা এবং পোস্টারে ঠাঁই পেয়েছে। কলম্বোর সুভ্যেনির শপগুলো ছাড়াও সারা দেশে যেখানে পর্যটকদের আনাগোনা সেখানেই পাওয়া যায় কাঠ, মাটি অথবা কোনো ধাতব পদার্থে তৈরি এক ঠ্যাংগে মৎসজীবীর প্রতিকৃতি।

খাড়ির দুপাশে এবং লেগুনের ভেতরে শত শত ট্রলার দেখে স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে প্রতিদিনের এতো মাছ যায় কোথায়! আমাদের মনের কথা বুঝতে পেরেই কিনা জানি না, ভাণ্ডারি আমাদের শুটকি প্রক্রিয়াকরণ দেখাতে নিয়ে আসে। সাগরের তীর ঘেসে বিশাল এলাকা জুড়ে দীর্ঘ সারিতে নানা জাতের মাছ শুকাতে দেয়ার কাজ চলছে। পরিচিত মাছের মধ্যে দেখা গেল টুনা, ম্যাকারেল, সারডিন এবং রূপচাঁদা। নাম না জানা আরও অনেক মাছের মধ্যে একটা খুব ছোট আকারের মাছ দেখে নয়ন বলে উঠলো, ‘নদীর মধ্যে যে মাছ বাতাসে ওড়ে এগুলো হচ্ছে সেই মাছ- খুবই টেস্টি।’
পিতার পুত্র অমিত সঙ্গে সঙ্গেই বলে, ‘ও ফ্লাইং ফিস- মাছের আশায় লঞ্চ বা স্টিমারের মতো জলযানের পেছনে গাংচিল উড়তে দেখলেও আমি কখনো কোনো মাছ উড়তে দেখিনি। আল্লা মালুম ওরা কিসের কথা বলছে! হতেও পারেÑ শুনেছি সমুদ্রে এক ধরনের উড়–ক্কু মাছের দেখা মেলে, এগুলো হয়তো সেই প্রজাতিরই হবে।

আরও অনেক উপকূলীয় শহরের মতো নিগম্বতেও সংরক্ষিত ‘বিচ’ রয়েছে বেশ কয়েকটি। তেমনি একটি বিচে এসে নামলাম। এখানে প্রবেশাধিকার সবার জন্যেই বিনামূল্যে উন্মুক্ত। তবে গাড়ি রাখার জন্যে সামান্য পার্কিং ফি দিতে হলো। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউকে বশে আনবার প্রয়োজনে বিশাল বিশাল পাথরের চাঁই ফেলে ঘিরে রাখা হয়েছে বেশ জায়গা। পাথরের দেয়াল সাগরের জলের ভেতরে কিছুদূর এগিয়ে একটা বাঁক নিয়েছে। ফলে দেয়ালের ভেতরে ঢেউয়ের দাপট নেই, ভয় নেই ভাটির টানে ভেসে যাবার। সমুদ্রের আগ্রাসন থেকে উপকূল রক্ষার পাশাপাশি নিরাপদ সমুদ্র স্নানের এই ব্যবস্থাটি নিঃসন্দেহে চমৎকার। বেশ কয়েকজন ছোট্ট ছেলে মেয়ে হাঁটু পানিতে সামান্য ঢেউয়ের দোলায় মনের আনন্দে হুটোপুটি করছে। আমাদের মধ্যেও কেউ কেউ পানিতে নেমে পড়ার জন্যে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত। কিন্তু এই ঠাঠা দুপুর বেলা সমুদ্র স্নান খুব একটা উপভোগ্য হবে না বলে তাদের নিরস্ত করা গেল। কিন্তু আমি নিজেই এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসলাম।



সাগরের দাপাদাপি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে বড় বড় পাথর খণ্ড ফেলে পানির মধ্যে যে ছোট খাট পাহাড় তৈরি হয়েছে সেই পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছাবার লক্ষ নিয়ে উঠতে শুরু করলাম। বহুদূর থেকে গর্জন করে ছুটে আসা বিশাল ঢেউ পাহাড়ের গায়ে আছড়ে পড়ে যে দৃশ্য এবং শব্দ সৃষ্টি করে চলেছে তা আরও কাছে থেকে দেখবার ও শুনবার আকর্ষণে এবড়ো থেবড়ো পাথরের খাঁজে পা রেখে রেখে অনেকটা উঁচুতে উঠে গেলাম। ওঠার সময়েই দু চার বার পা পিছলে পড়বার উপক্রম হয়েছিল, নামার সময় তা আরও অনেক বেশি কঠিন মনে হলো। অসমান পাথরের চাঁই ক্রমাগত পানিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে গেছে। পাথর বেয়ে ওঠার জন্যে আমার জুতা জোড়াও জুতসই নয়। ফলে যে কোনো সময় পিছলে পড়ে হাড়-হাড্ডি ভাঙার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিল। ঠিক তখনই আমার মনে পড়লো সেই বিখ্যাত ছড়া।

‘আতাই পাতাই দুইটি বুড়ো/ দেখতে পেলো পাহাড় চূড়ো
তরতরিয়ে উঠতে গিয়ে/ পিছলে পড়ে হাড্ডি গুড়ো।’

শেষপর্যন্ত অবশ্য হাড্ডি গুড়ো হবার আগেই অতি সাবধানে খানিকটা নেমে নিচের অংশে অমিতের হাত ধরে ভারসাম্য বজায় রেখে ঠিকঠাক নিচে নেমে এলাম।

দুপুরে সেন্ট ল্যাসলানের কাছেই ভারতীয় রেস্টুরেন্টে ডাল ভাত মাছের ঝোলের লাঞ্চ শেষে, অমিত আর আনিকাকে নিয়ে মোবাইলের সিম কিনতে বের হলাম। মাত্র দুটি পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিয়ে এক একজনের নামে তিনটি করে মোট ছয়টি সিম কেনা হলো। সিমগুলোর দাম খুব বেশি নয় আবার চালুও হয়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গেই। আমার অভিজ্ঞতা হলো শ্রীলঙ্কায় মোবাইল সিম কেনা সহজ কিন্তু মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের দোকান খুঁজে বের করা কঠিন।

মোবাইল সিমের দোকান না চিনলেও মানিচেঞ্জার চিনতে আমাদের চালক কিংবা গাইডের একটুও সমস্যা হলো না। ওরা যেখানে নিয়ে এলো সেখানে পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে ডলার পাউন্ড ইউরো ভাঙাবার ব্যবস্থা আছে। এয়ারপোর্টে একশ ডলার ভাঙিয়ে পেয়েছিলাম তের হাজার রূপি। এখানে ডলারের দাম কিছুটা বেশি। মানি চেঞ্জারের প্রথম দোকানে ঢুকতেই কাউন্টারে বসা মেয়েটি বললো, ‘উই ডোন্ট হ্যাভ ইলেক্ট্রিসিটি। তোমাকে রিসিট দিতে পারবো না।’
আমরা কি লোডশেডিং ঢাকা থেকে নিগম্ব পর্যন্ত বয়ে এনেছি! বললাম,‘রিসিট দরকার নেই, রূপি দিতে পারবে কিনা তাই বলো।’

ডলারে তিন রূপি বেশি পেয়ে ভাঙিয়ে ফেললাম পাঁচ শ ডলার। পরে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরে এক ডলারের বিনিময়ে কোথাও একশ একত্রিশ, বত্রিশ এবং সর্বোচ্চ সাড়ে বত্রিশ পর্যন্ত পেয়েছি কিন্তু একশ ত্রেত্রিশ আর কোথাও পাওয়া যায়নি। বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় মূল্য দ্রুত ওঠানামা করে আর এই হ্রাস বৃদ্ধির ব্যাপারটা এতোটাই অনিশ্চিত যে আগে থেকে ধারনা করার কোনো উপায় অন্তত আমাদের মতো সাধারণ ভ্রমণ বিলাসীদের জানা নেই। তবে শ্রীলঙ্কায় এসে ঢাকায় আশি টাকা দামে কেনা ডলার একশ ত্রিশ বত্রিশে ভাঙিয়ে নিতে ভালোই লাগছিল।

সেন্ট ল্যাসলানের চার তলার ব্যালকনি থেকে কিংবা ছাদে উঠে সমুদ্র দেখা যায়। মাঝে গোটা কয়েক লাল টালির ছাদওয়ালা সুদৃশ্য বাড়ি আর কয়েক সারি নারিকেল গাছ। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের এই বেলাভূমিতে সূর্যাস্ত দেখতে যাবার জন্যে বাহন এবং তার চালককে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রাখার কোনো অর্থ হয় না। ভা-ারি এবং অনূঢ়াকে বিদায় দিয়ে আমরা পায়ে পায়ে হেঁটে চললাম সান্ধ্যকালীন সাগর দর্শনে। সেন্ট এ্যান্থনিস লেন থেকে বেরিয়ে পুরুটোটা রোড ধরে সামান্য একটু এগিয়ে বাঁয়ে ঘুরতেই নিগম্ব বিচপার্ক। অর্থাৎ আমরা যা ধারণা করেছিলাম বেলাভূমি তার চেয়ে অনেক কাছে। কয়েক ধাপ এগিয়ে দেখা গেল এটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ছোট সংস্করণ।

বিচপার্ক সংলগ্ন বেলাভূমি অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সাগরের ঢেউ এখানে ততোটা উত্তাল নয়, দূর থেকে গর্জন করে ছুটে এসে পাড়ে ভেঙে পড়ছে ঠিকই কিন্তু তার আঘাতে তেমন জোর নেই। সন্ধ্যাবেলা এখানে পর্যটক সমাবেশ নেহায়েত কম নয়, কিন্তু পানিতে নেমে ঝাপাঝাপি করতে দেখা গেল না কাউকেই। প্রায় সকলেই বোধহয় সূর্যাস্তের অপেক্ষায় ছিলেন। সাগরে সূর্যাস্তের দৃশ্য পৃথিবীর সব জায়গাতে প্রায় একই রকম। তারপরেও আমরা এক একটি নতুন সূর্যাস্তের জন্য দীর্ঘ সময় বেলাভূমিতে প্রতীক্ষায় থাকি। স্তিমিত তরঙ্গমালার উপর দিয়ে নিগম্বর সূর্য অস্ত গেলে সৈকত জুড়ে ফেরিওয়ালাদের ভ্রাম্যমাণ গাড়িগুলোতে বাতি জ্বলে ওঠে। ফেরিওয়ালাদের সংখ্যা এখানে খুব বেশি নয়, তাছাড়া হাঁকডাকেরও বাড়াবাড়ি নেই। অন্ধকার ঘন হয়ে আসার আগেই নিরুপদ্রব সৈকতে কিছু শ্রীলঙ্কান ভাজাভূজির স্বাদ পরীক্ষা করে ফেরার পথে পা বাড়ালাম। আমাদের মুখে মুখে ‘নিগম্বর’ নাম বদলে ইতিমধ্যেই ‘দিগম্বর' হয়ে গেছে!

সন্ধ্যার পরে সমুদ্র সৈকতের সমান্তরাল পুরুটোটা রোডের পুরোটাই বর্ণিল আলোর মালা পরে রাতের পসরা সাজিয়ে বসেছে। পর্যটকের শহর নিগম্বর এই সড়কের দুপাশেই জ্বলজ্বল করছে হোটেল রেস্টুরেন্ট বার রিসর্ট এবং স্যুভেনিয়ার শপের রঙিন নিয়ন সাইন। শ্রীলঙ্কা বিখ্যাত মুখোশ, হাতির দাঁতের অলঙ্কার এবং শো পিস, কাঠ বাঁশ বা মাটির তৈরি সুদৃশ্য জিনিসপত্র এবং পোশাক পরিচ্ছদসহ কাপড়ের বিপুল সম্ভার সাজানো দু একটা সুভ্যেনিয়ার শপে ঢুঁ মেরে আমি রাতের নিগম্বর ফুটপাথ ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। যে কোনো পর্যটন শহরে রাতের বেলা ফুটপাথ ধরে হাঁটার একটা আলাদা আকর্ষণ আছে। রাত গভীর হলেও এ সব জায়গায় নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। কেউ কখনো জানতে চাইবে না ‘আপনি এতো রাতে এখানে কি করেন?’

রাতের খাবরের ব্যবস্থা সেন্ট ল্যাসলানেই ছিল। তিনটি সেট মেন্যুর মধ্যে যে যার পছন্দ মতো খাবারের অর্ডার দিয়েছিল। একটি নতুন শহরের অপরিচিত সেট মেন্যুতে অনেক সময়েই বিভ্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু দেখা গেল খাবারের মান নিয়ে সবাই বেশ খুশি। পরিবেশনের ব্যবস্থাও ছিল চমৎকার। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বিস্ময়টি অবশ্য অপেক্ষা করছি খাবার টেবিলেই। ডিনারের শেষে আমরা যখন টেবিলে বসে আড্ডা দিচ্ছি তখন পরিবেশনকারি ছেলেদের মধ্যে একজন এসে পরিস্কার বাংলায় জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনারা কি কোলকাতা থেকে এসেছেন?’
বললাম, ‘না। আমরা এসেছি ঢাকা থেকে। বাংলাদেশ- নাম জানো?’
‘অবশ্যই জানি’ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলে ছেলেটি। পরক্ষণেই প্রশ্ন করে, ‘এখানে আপনাদের কেমন লাগছে?’
‘ভালো লাগছে, বেশ ভালো। বিশেষ করে তোমার মুখে বাংলা কথা শুনে আরও ভালো লাগছে। তুমি কি ইন্ডিয়ান?’
আমার প্রশ্নের উত্তরে হাসে ছেলেটি ‘আমার বাড়ি ক্যান্ডির কাছে একটা গ্রামে, আমি খাঁটি সিংহলি।’
‘তাহলে বাংলা বলতে শিখলে কেমন করে?’ আমার বিস্ময় বহুগুণ বেড়ে যায়।
‘শুনে শুনে অল্প কিছু শিখেছি।’

এই অল্প কিছুই যে অনেক কিছু তা হয়তো সে জানে না। বিদেশি ভাষা শিক্ষার ক্লাসে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গলদঘর্ম হয়ে অনেককেই শেষপর্যন্ত ইতি টানতে দেখেছি। আর ক্যান্ডির অখ্যাত গ্রামের ছেলেটি কি অবলীলায় বলে ফেললো, শুধু শুনে শুনেই কাজ চালাবার মতো বাংলা শিখে ফেলেছে। অন্যকোনো ভাষা নয়, সে শিখেছে বাংলা- আমার মাতৃভাষা।

চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৬
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×