somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ - তসলিমার আত্মজীবনী ও বহু বিবাহ

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামুতে এন্ট্রি নিয়ে কি সমস্যায় পড়লাম রে বাবা !!...লিখতে হবে , ভালো লিখে মোডারেটর দের দৃষ্টি গোচরীভূত হয়ে ফাস্ট পেইজ এ অ্যাকসেস নিতে পারলেই কেবল অন্য পোস্ট এ কমেন্ট করা যাবে...বস্তুত , আমি একজন সর্বভুক পাঠক । আর ,আমার ভুমিকা বরাবরি পাক-ইন্ডিয়া ফাইনাল ক্রিকেট ম্যা্চে , উত্তাল বিক্ষুব্ধ জনসমুদ্রে প্যাভিলিয়ন এ বসা শান্ত , নিরুদ্বিগ্ন ,নিরপেক্ষ দর্শকের মত...খেলা ও দর্শকের তাণ্ডব দুটোই দেখি , এর পুরো রস আস্বাদনে বিনোদিত হই , আবার খেলা শেষে বাড়ি চলে যাই ...প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল ...:-D

-কি নিয়ে লিখবো বুঝতে পারছিনা ...তবে , কদিন ধরেই একটা বিষয়ে মস্তিষ্ক ও রিহদয়ে জোর আন্দোলিত হচ্ছে ...তা নিয়েই লিখছি...ভালো না খারাপ জানিনা...আমার মত টাই লিখছি ...মস্তিষ্কের ক্ষরণ শুরু হয়েছে ,তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনীমূলক বইগুলো পড়ার পর থেকেই... বলতে দ্বিধা নেই , মানসিকভাবে আমি একজন রক্ষণশীল মুসলিম নারী।ছোটোবেলা থেকে এই বড়বেলা অবধি লম্বা একটা সময় যে ধর্মীয় অনুশাসনে বড় হয়েছি , যেসব মুল্যবোধ ধারন করেছি তার পক্ষে বড় শক্ত , সঙ্ঘাতমূলক হয়ে যায় তসলিমার বোধগুলো নিয়ে চিন্তা করতে গেলে... !!!

-এমন না যে , আমি উনার লেখা পড়ে হিপনোটাইজড হয়ে পরেছি বা ধর্ম অথবা আল্লাহ্‌ , সামাজিক সংস্কার কে মানি বলেই তসলিমার মতানুসারে নিজেকে নির্বোধ , পুরুষ প্রজাতির কাছে
অসহায় আত্ম সমর্পিতদের কাতারে নিজেকে শামিল করে ফেলছি। আমার কাছে , হিজাব -পর্দা প্রথা সেরেফ একটা শালীন ভদ্র পোশাক । এই পোশাক ধারন করাটা যে নারী প্রগতির অন্তরায়
তা কিন্তু কখনোই মনে হয়নি !...লাইফ ইজ বিকামিং টু টাফ নাউ-আ-ডেজ ... এখন আর কারো ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের পোশাক নির্বাচন নিয়ে মেল/ফিমেল ডিস্ক্রিমিনেশন করাটা উচিত নয়।
মেয়েরা স্বীয় মেধা , কঠোর অধ্যবসায় আর পরিশ্রম দিয়েই সমাজের সব ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করছে !!! ...ইন হিয়ার , ড্রেস কোড ডাজনট ম্যাটার ফর স্টাব্লিশমেন্ট ইন লাইফ !!

-এনিওয়ে , তসলিমার ইন ফ্যাক্ট ,কোন নামকরা সেলিব্রিটিস বা সাহিত্যিকেরই ব্যক্তিগত যৌন জীবন নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই !...সেক্স নিয়ে উনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সরল অকপট
স্বীকারোক্তি নিয়ে পক্ষে - বিপক্ষে অনেক বিতর্ক হয়েছে ...আমি আর তা উসকে দিতে চাইনা ...উনার মত উনি দিয়েছেন , প্রত্যেকের ই অধিকার আছে তার নিজের জীবন , স্বীয় দর্শন অনুসারে যাপন করার...যদি তা অন্য কারো সমর্থন যোগ্য নাও হয় তা নিয়ে কাউকে গাল বকে হেনস্থা করা ঠিক নয়...তবে , উনার লেখা পড়ে ভিন্ন একটা ভাবনা আমার মাথায় এসেছে !

-তসলিমা তৎকালীন আধুনিক , প্রগতিশীল , শিক্ষিত সমাজের প্রেমময় জীবনের যে চিত্র অলঙ্করন করেসেন , তা যদি সত্য হয় ...তাহলে , ইসলাম যে বহুবিবাহ প্রথা সমর্থন করে তা নিয়ে
তথাকথিত প্রগতিশীলরা এতো চিৎকার চেঁচামেচি করে কেন?...এখনো চারপাশে অনেক অনুরনন শুনতে পাই পরকীয়ার ...একজন পুরুষ বা নারী যখন তার স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি সব ডেডিকেশন অগ্রাহ্য করে পরনারী বা পর পুরুষের সাথে শারীরিক বা মানসিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন , তখনি তো তারা তাঁদের সবথেকে বড় এক্সপ্লয়টেশন টা তাঁদের নিজ নিজ পার্টনার এর সাথে করেই ফেলেন !!...পার্থক্য টা এখানে তারা এটা করেন সমাজ , নিজেদের পরিবার- পরিজন কে এটা লুকিয়ে আর ইসলাম এই ইলেগাল সম্পর্ক টাকেই লিগালাইজেশন দিতে বোলেছে ...!!!

-যদি হিম্মত থাকেতো বিয়ে করুন । আপনাদের রক্ষিতা , লুক্কায়িত , প্রকাশ্য প্রেমিকাদের বিয়ে করে , স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সাথে ইনসাফ করুন । নইলে একজনকে নিয়েই সুখে থাকুন।
চুরি করে ,আর ব্যভিচার নয় জরায়ুর স্বাধীনতার নামে !!!

-যদি আমরা ইসলামি আইন কানুন মানতাম তাহলে সমাজে নিশ্চয়ই টানবাজার পতিতালয় বা ব্রথেলহামের অস্তিত্ব থাকতো না ! নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ মেহেরবান ...আমীন ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×