somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিউটনের মধ্যাকর্ষন থুড়ি বাতেনের বিচিঘর্ষন সূএ (আপেল গাছের তলায়)…। :-B :D :| /:)

২৬ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছুটির দিন।মাএই একটা গরমাগরম(১৬+);) ছবি নামাইলাম নেট থেকে।চিন্তা করছিলাম কোন প্লেয়ার দিয়া চালামু এমন সময় মোবাইলটা টিনটিন বাজনা বাজান শুরু করল।খাবলা মাইরা মোবাইলটা তুইলা বাজখাই গলায় জিগাইলাম,
কেডা?
মামা আমি বাতেন।এক পাউন্ড মাখন আর মধু লাগানো গলায় উত্তর আইল।
শালা বাইন.. …ফোন করার আর টাইম পাও না।
দোস্ত খেপস ক্যা।ভালো খবর আছে।কামরুপ কামাখ্যা থেইকা এক সাধু আইছে।ওরে সিস্টেম কইরা এক পোটলা কামাখ্যার solid গাঞ্জা জোগার করছি।(এইখানে একটু বাতেনের কথা বলে রাখা ভাল।ssc.hsc তে প্লেস পাওয়া পোলা।uni তে আইসা প্রেম সংক্রান্ত মাইনকা চিপায় ফাইসা এহন সবসময় পাস ফেল লইয়া টানাটানি অবস্তা।হেন কোন ড্রাগ নাই যেইটা বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিন্তু বাতেন খায় নাই।এই লাইনের পোলাপাইনের কাছে ওই হইল উইকিপিডিয়া।কোন জায়গার কোন মাল ভালো,কিসের লগে কি মিলাইয়া খাইলে ফিলিংস কড়া এইসব ব্যাপারে ওর জ্ঞান এর সুনাম ঢাকা শহর ছাড়াইয়া জেলা শহরেও ছড়াইয়া পড়ছে।ওর টেবিল,চেয়ার,বিছনা,বালিশ,শার্টের পকেট,গাড়ি,মানিব্যাগ সবকিছুই মালে মালে সয়লাব।মাদকবিষয়ক ওর একটা বিখ্যাত theory হইল "একই মাল ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সেবন করিলে ভিন্ন ভিন্ন মাএার ফিলিংস হইবে")B-):P
যাক আমরা আবার ফোনালাপে ফিরে আসি।
তো এখন কি করতে হবে?আমি হাল্কা উত্তেজিত।
এহনই নিচে আয়।আমি তোর বাসার সামনে। গাজ়ীপুরে একটা আপেল বাগানের খবর পাইসি আইজকা ওইখানে বইসা খামু।দেখি আপেল গাছ এর তলায় কেমন ফিলিংস হয়।
ওকে মামা খাড়া।এহনই আইতাসি।আমিও ওর সুরে সুর মিলালাম।
ঝড়ের গতিতে নীচে আইসা দেখি শালায় দাড়িয়ে আছে মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে।
ল মামা উইঠা পড়।রওনা হই জলদি।আর দেরি সহ্য হইতাছে না।
লাফ দিয়া উঠলাম ওর ১৯৭৫ আমলের Volkswagen এ।
ছুটির দিনের রাস্তা।বেশী সময় লাগল না।রাস্তাঘাট ঠিকমত বুঝে উঠার আগেই দেখি সুন্দর,মনোরম সবুজ একটা মাঠের সামনে দাঁড়ানো।মাঠের ওপারে নদী আর নদীর তীরে সারি সারি আপেল গাছ।আহা বড়ই সৌন্দর্য #:-S 8-| । বেশীক্ষন সৌন্দর্য দেখার টাইম পেলাম না।বাতেন আমারে গুতিয়ে মাঠ পার করে ওপারে একটা বড় আপেল গাছের তলায় নিয়ে বসাল।
বসার পর ওর পকেট থেকে বের হতে লাগল কামাখ্যার পোটলা আর অন্যান্য tools & materials.এইসব এর প্রক্রিয়াজাতকরনে ও এতই দক্ষ যে অন্যদের দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।আমি বসে বসে উদাস মনে আশপাশের দৃশ্যাবলী দেখছি আর নানা দার্শনিক ভাবনা ভাবছি এমন সময় শুনি ধুপ করে একটা শব্দ আর বাতেন ওরে মারে বাবারে মাইরা ফালাইলরে গেলামরে বইলা মাটিতে শুয়ে পড়ল।কাছে যেয়ে দেখি ঘটনা তেমন কিছু না।ওর মাথায় গাছ থেকে একটা আপেল পড়ছে আর তাই নিয়ে এত হইচই।
শালা!এত হইচই এর কি হল।এমন চিল্লাইলি আমি ভাবলাম কেউ তোরে নাপাম বোমা মারসে।শালা ফাউল।
ও দেখি একটু লজ্জা পেয়ে গেলো।(যদিও লজ্জা জিনিসটা আসলে কি ওয় ঠিকমত কইতে পারবো কিনা আমার সন্দেহ আছে)।বলে আসলে দোস্ত মনোযোগ দিয়া process করতাছিলাম তো কোনদিকে খেয়াল আছিল না।ভাগ্যভালো ডাবগাছের নীচে বসিনাই নাইলে তো গেছিলাম আইজকা।তারপরেই তার রাগ গিয়া পড়ল আপেলের উপরে।শালার আপেল তোর নিকুচি করি।বলেই আপেলটা কুচি কুচি করে কাটা শুরু করল।
কাটতে কাটতেই আচমকা লাফিয়ে উঠল ইউরেকা ইউরেকা বলে।
আমি বললাম আবার কি হল?
মামা একটা আইডিয়া পাইছি।আপেলের বিচির পেস্ট জিনিসের লগে মিশাইয়া খামু।দেখি ঘটনা কি ঘটে। :| :-B
আমি তো জানিই ওর এইরকম হাজারো আইডিয়ার কথা।বললাম কোন সমস্যা নাই।
এইবার দেখি ওয় আপেলের বিচি বাইর করে ওইগুলারে ঘষে পিষে পেস্ট বানিয়ে জিনিসের সাথে মিশাল।তারপরে স্টিক বানিয়ে গালভরা হাসি নিয়ে একটা ধরিয়ে দিল কড়া টান।দুই চার টান দিয়ে আমারে দিয়ে বলে মামা সেইরাম ফিলিংস।নতুন একটা আবিষ্কার কইরা ফালাইলাম।আমি টান দিয়ে কোন ফারাক পেলাম না।যাইহোক এইসব ব্যাপারে বাতেনের কথার উপরে কথা নাই।আমিও বললাম হ মামা,সেইরাম ফিলিংস। :-B :P

তারপরে কয়দিন ধরে বাতেনের সাথে যোগাযোগ নাই।এরমধ্যে শুনি গঞ্জিকাসেবী সমাজে নাকি দাবানলের মত বাতেনের আপেলের বিচি theory ছড়িয়ে পড়ছে।বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিনই আমন্ত্রন আসছে এই থিওরি হাতে কলমে দেখানোর জন্য।বাতেনের এখন tight schedule. আর বাজারে নাকি আপেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।সরকার ও নাকি আচানক জনগনের এই আপেলপ্রীতি দেখে যারপর নাই আনন্দিত।জনগনের স্বাস্হ্যর কথা বিবেচনা করে অচিরেই আপেল আমদানি দ্ভিগুন করা হবে এবং ভর্তুকি প্রদান করা হবে দাম কমানোর জন্য এই মর্মে সরকারী এবং বিরোধী দল ঐক্যমত হয়েছে। :D :| B:-/
**শেষখবর এইযে নিখিল বাংলাদেশ ইয়ং গাঞ্জু সোসাইটি বাতেনকে "বিচি বাতেন" উপাধিতে ভূষিত করেছে। B-))


বি দ্রঃ ইহা একটি গাজাখুরী(Fun) পোস্ট।লেখার বিষয়বস্তু সম্পুর্ন কাল্পনিক।লেখার ভাষারীতিও প্রথাগত নয়।কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।ধন্যবাদ।
৩১টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×