সময় ১৯৭১, পাকিস্তান জাতিসংঘের অনুমোদন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতি এবং মানবাধিকার নীতির তোয়াক্কা না করেই বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) মানুষের উপর অতর্কিত ও বর্বরোচিত হামলা শুরু করে। বাংলাদেশ নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী জীবন বাঁচাতে ভারতের দিকে ছুটছে,অগণিত মানুষ মরছে, নারী-রাপুরুষেরা অমানবিক ভাবে পাকিস্তানী হানাদার কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছে। সে সময়ে পাকিস্তান বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর তাদের এই অত্যাচার ও গণহত্যার খবর গোপন করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিল। আর এই যুদ্ধের ভয়াবহতাকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটে কিছু পাকিস্তানী মানুষ। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিশাল সংখ্যক পাকিস্তানীরা তাদের নিজেদের স্বার্থে ও উন্নত জীবনের খোঁজে ছুটছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দিকে; তাদের মূল লক্ষ্য ছিল স্ক্যান্ডেনেভিয়া, বিশেষ করে নরওয়ে। ১৯৭১ এ পাকিস্তানীরা নরওয়ে সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে শুরু করে। হাজার হাজার পাকিস্তানী সে সময় নিজেদের যুদ্ধবিদ্ধস্থ বাংলাদেশী বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে যায়; এবং ধীরে ধীরে এক সময় তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্বও গ্রহণ করে। আমি নিজে এমন কিছু পাকিস্তানীকে দেখেছি, যারা এই মিথ্যা কথাটা বলে ইউরোপে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে। অথচ এই পাকিস্তানীদের যদি এখন আপনি ১৯৭১ সমন্ধে জিজ্ঞ্যেস করেন, তখন তারা ইতিহাস না জানার ভান করবে। বলবে ঐ সময় দুই পাকিস্তানের মধ্যে আসলে কি হয়েছিল তারা তা জানেই না। কেনই বা পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হলো, কিভাবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করলো, এসবের কিছুই তারা জানেনা। আর এরা হলো পাকিস্তানী। তারা নিজেরাই মানবাধিকারের তোয়াক্কা করেনা, মনের মধ্যে সন্ত্রাস আর মৌলবাদ লালন করে, সন্ত্রাস আর মৌলবাদের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, আবার সুযোগ বুঝে মানবাধিকারের কথা বলে, নিজেরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তা বেঁচে খায়। আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে নিজেদের দোসর, রাজাকাদের বাঁচাবার বেলায় বাংলাদেশের আভ্যন্তরিক বিষয়ে নাক গলায়, এমনকি সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করে। অথচ নিজেরাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গোপন করে। এমনকি নিজেদের দেশের পাঠ্য পুস্তকে ইতিহাস বিকৃত করে ভুল ব্যাখ্যা দেয়, তাদের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানা থেকে সুকৌশলে দূরে রাখে, নিজেরা ইতিহাস না জানার ভান করে, আবার আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়। আমাদের সঙ্গে দেখা হলে এরা বলতে ভুলে না ''হামলোগ তো ভাই হে না''; কিন্তু কে না জানে বিশ্বে এরাই সবচেয়ে প্রতারক জাতি হিসেবে পরিচিত।
আলোচিত ব্লগ
পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)
( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)
তিন
আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।
চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়
গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন
গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ
একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন