টিভি, টেবিল ফ্যান, ব্লেন্ডার কিংবা এ ধরনের জিনিস ঠিকমতো কাজ না করলে দু’ একবার থাপ্পর লাগাই আমরা । মাঝে মাঝে থাপ্পর খেয়ে ঠিকই কাজ করা শুরু করে এসব ।
সদ্য ভূমিষ্ট শিশু না কাঁদলে উল্টো করে তার পিঠে একটা থাপ্পর লাগানো হয় । কেঁদে উঠে সে ।
বাসের গায়ে এক থাপ্পর দিয়ে বাসকে থামিয়ে ফেলে হেল্পার । দুই থাপ্পরে আবার বাস ছোটা শুরু করে । যাত্রীরাও মাঝেমাঝে কন্ডাক্টরকে অনুকরন করে এই সুবিধা নেয় ।
তরমুজের গায়ে দু’ এক থাপ্পর মারলে তরমুজ আওয়াজ করে ফলবিক্রেতাকে জানিয়ে দেয় কতটুকু পেকেছে কিংবা পচেছে সে ।
গরু থমকে গেলে কিংবা মন্থর হয়ে পড়লে তাকে গতিশীল করতে নিতম্বে সশব্দে দু’ একটা থাপ্পর বসায় কৃষক এবং রাখাল । আর কুরবানীর হাটে নিতম্বে পাবলিকের থাপ্পর খেয়ে গরু নিজের সুস্থতার প্রমান দেয় ।
সোফা কিংবা আরামদায়ক কোন সিটে বসার আগে দু’একটা থাপ্পর দিলে ধুলোরা ভয়ে পালায় ।
ডোরবেল কিংবা কড়া না থাকলে দু’এক থাপ্পর খেয়ে দরজা ভেতরের মানুষকে খবর পাঠায় ।
শিশুদের গাল আর পিঠগুলিকে চিরকালই পছন্দ করে এসেছে মা-বাবার হাতের শাসনের থাপ্পর । ছাত্র-ছাত্রীদের পিঠগুলিও একদিন শিক্ষকদের খুব পছন্দের যায়গা ছিল ।
শুধু কি শাসনের থাপ্পর, মানুষের পিঠগুলি বাহবা’র থাপ্পর খেয়ে উৎসাহিত হয়েছে যুগ যুগ ধরে ।
সত্যি, থাপ্পরের কত মাহাত্ম্য !
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৩