কেন জানি ঝোকের বশে একটা প্রজেক্ট ধরলাম, একটা লেখালেখির জন্য ব্লগ (http://amaderlekhoni.wordpress.com/) বানালাম। এতে আমার ছোট বোন রে লাগায় দিলাম, সে আর তার বান্ধবী রা লিখবে। তারা আবার লেখা লেখিতে নতুন, কিছু অল্প সল্প গল্প লিখে, তাই মনে করলাম তারা এবং তাদের মতো আরও অনেকে যদি এতে উপকৃত হয় তবে আমার এই কর্ম সার্থক। অনেক দিন ধরে কোন সার্থক কাজ করি নাই। শেষ কবে সার্থকতার সাথে কোন কাজ করেছিলাম তা মনে করতে পারছি না। মনে করলে আর একটা প্রবন্ধ লেখা যাবে আর কি।
উপরের কথা গুলাকে ভূমিকাও বলতে পারেন, আবার আবল তাবল পাগলের প্রলাপ বলতে পারেন। আমার আজকের প্যাচাল হচ্ছে ছোট গল্প। স্বাভাবিক ভাষায় কাল্পনিক লেখা যার আয়তন বা দৈর্ঘ্য উপন্যাস হতে কম। কত কম তা একজন লেখকের উপর নির্ভর করে। যেখানে উপন্যাস বড় কোন প্লটের উপর গড়ে উঠে, ছোট গল্প একটা ভাব আনে, সোজা কথায় আপনার মনে একটা আলাদা আবেগ আনবে, যার জন্য একান্ত ভাবে ছোট গল্পের চরিত্র গুলো দায়ী। এখন লেখক দায়ী কিনা তা আপনাদের কাছে বিবেচ্য। যাই হোক কেউ ই চায় না নিজের উপর তীরের নিশানা আনার! নাকি?
কোন লেখা, যে লেখে তার মনের অন্তস্থল থেকে উঠে আসে। লেখক এর মনের অন্তস্থল হতে উঠে আসা আবেগ এক শিল্পের মাধ্যমে কাগজের উপর কলমের মাধ্যমে ফুটে উঠে। আর আমরাও হারিয়ে যাই কল্পলোকের কোন এক স্তরে। এই স্তরে নেয়াটা লেখকের দায়িত্ব, যে যত ভালো ভাবে নিতে পারে সে তত জনপ্রিয়। হ্যামিলনের বাশিওয়ালা তো সবাই হতে পারে না, কিছু কিছু হয়।
কত বড় হতে পারে ছোট গল্প? কেউ কেউ বলে ১০০০-৯০০০ শব্দ, কেউ কেউ বলে ১০০০-২০০০০ শব্দ হবে। তবে ১০০০ শব্দের নিচে হলে তাকে আমরা ফ্লাস গল্প বলে থাকি। তবে অনেক কল্পকাহিনী লেখক দের মতে ৭৫০০ শব্দের কম হওয়া উচিত না।
আমি ইতিহাসের ছাত্র নই। ইতিহাসে আমি পাতিহাস টাইপের পাবলিক। তাই ইতিহাস টানলাম না, তবে যদি সময় পাই কখনো তবে ঢেকি গিলার মতো করে লিখবো। আমি আবার একটু ইজি কাজে বিজি মানুষ তো, আর তার উপরে ইতিহাসের বিষয়, তো কবে ইতিহাস টা লিখবো তা ভাবার বিষয়।