প্রথমত ফেবু পেজ গুলাকে দোহাই দিচ্ছি, দয়া করে নিজের পেজের কাটতি বাড়াবার জন্য কাল্পনিক কিছু লিখবেন না। ফেসবুক এক কথায় বাংলাদেশের সবথেকে বড় সংবাদ প্রাপ্তির স্থান, অন্তত আমার মতে। এখন আপনার পেজের কাটতি র চেয়ে দ্রুত সংবাদের সঞ্চালন প্রয়োজন।
মখা সাহেব সহ রাজনিতীর মানস পুত্রদের আমি কি বলবো তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। কোন দেশের/ দলের গুরুত্বপুর্ন্য পদে আসিন কোন ব্যাক্তির মুখে এরকম কথা শুনবো, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি আশা করি নাই।
তদ্রুপ অবাক হই নাই সোহেল রানার যুবলীগে না থাকা নিয়ে। হতেই পারে, পারে না! একটা নাম একটা লিস্ট থেকে সরাতে কতক্ষন ই বা লাগে বলুন? আর ক্ষমতাশীল দলের লেজ ধরে থাকার জন্য অনেকেই আনুগত্য মুলক নিজের নামের পাশে দলের একটা পোস্ট বসিয়ে নেয়। নিতেই পারে। আর ক্ষমতাশীল দল ও এতে আপত্তি করে না। থাকুক না, যখন লাগবে না তখন না হয় একটা প্রেস কনফারেন্স এ বলে দিবো যে এই লোক নিজের ইচ্ছায় নাম লাগিয়েছে, আমাদের লিস্ট এ তার নাম নাই। (বাংলালিঙ্ক দাম হয়ে গেলো কি? হতেও পারে)
সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সর্বদাই শাবাস দেবার মতো। এখনো তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে শাবাসের শাবাস দেয়া উচিত অই সব লোকেদের যারা নিজে এক লাফে নেমে গেছে উদ্ধারের কাজে। হাত দিয়ে উদ্ধার কার্য চালাবার মানসিকতা সাধারন মানুষের ই থাকে। মানবতার সেবায় নিজেকে সামনে এগিয়ে দেয়া, মানুষের ই থাকে। এটা সাধারন মানুষের গুনাবলি, টক শো টকার দের না।
একবার চিন্তা করলে কেমন লাগে? কেউ আপনার কানের কাছে বলছে, আমাকে বাচান! কেউ তার নিজের অঙ্গহানির বিনিময়ে বাচতে চাচ্ছে? চোয়াল শক্ত হয়ে আসে বাকি কথা গুলা চিন্তা করলে। স্বাধিন দেশে স্বাধিন মানুষের বেচে থাকার নিশ্চয়তা নাই। তারা গরিব এই কি তাদের দোষ? এই জন্য কি গরু ছাগলের মতো তাড়িয়ে তাদের কর্মস্থলে ঢুকাতে হবে? মা কে বাচ্চা প্রসবের ও সময় দিবে না, বোন কে ওষুধ কেনার টাকা র জন্য সুপার ভাইজারের কাছে যেতে হচ্ছে, সাভার ট্রাজেডির প্রতিটা মুখ এক একটা কাহিনি, যা প্রকাশ করে মানুষ রুপি কিছু পশুর কথা।
সেনাবাহিনীর ভারি সরঞ্জাম ব্যাবহার না করায় অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন। বিষয় টা আমি ও বুঝি। কিন্তু কি করবো বলুন, যে ইট সিমেন্টে উহা কে দাড় করানো হয়েছে না, তাতে যদি ভারি সরঞ্জাম ব্যাবহার করা হয় তবে আরও অনেকে মারা যাবার আশঙ্কা আছে। এটার জন্য যে হালায় বাড়িটারে দাড়া করানোর অনুমতি দিছে অরে গদাম দেওয়া উচিত। (গদাম শব্দটিকে বাংলা অভিধানে নেয়া টা আসলেই জরুরি হয়ে পরেছে দেখছি।)
লিখছি লিখবো। আর কিছু না হোক, কিছু না করতে পারি, লেখায় সহানুভুতি জানাবো, সাথে প্রতিবাদ।
সাভার ট্রাজেডি, এই নাম মুছতে দেয়া যাবে না। এ নাম , তার সাথে আগের ঘটে যাওয়া পোশাক শিল্পের ট্রাজেডি গুলা যেন ভুলে না যাই। আর যেন এরকম কিছু না ঘটে বাংলাদেশে। এগিয়ে আসার সময় আমাদের সবার।