somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

@ পরিচয়ে প্রাধান্য কোথায়: মুসলমানিত্বে নাকি বাঙালিত্বে?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরিচয়, এ শব্দটির সাথে বাকী সবকিছুর এতই সখ্যতা যে, একে বাদ দিলে যেন অন্যসবকিছু অসার। পৃথিবীর প্রাণীকুলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠতার দাবীদার মানুষের জীবনেও এ শব্দটি এক সীমাহীন অবস্থান দখল করে আছে। পরিচয় প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি কথা বলে উঠে তা হলো- 'আমি কে?' এই ছোট্ট একটি প্রশ্ন পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা রাখে ব্যক্তির অন্তর, চিন্তা, কার্যকলাপ, আচার-আচরণসহ পুরো কাঠামোটাই। তদ্রূপ সমষ্টির ক্ষেত্রে এ প্রশ্নটি পাল্টে দিতে পারে একটি সমাজ ব্যবস্থাকে, রাষ্ট্রকে; এমনকি সমগ্র পৃথিবীকেও। কেননা, পৃথিবী গড়ার দায়িত্ব চেয়ে কিংবা না চেয়ে মানুষেরাই পেয়েছে। অতএব সেই মানুষেরা যদি সঠিকভাবে জানতে পারে তাদের নিজ নিজ পরিচয় এবং পরিচয়ের এ জ্ঞান চেতনায় থাকে জীবন্ত ও কর্মে থাকে তৎপর, তবে পৃথিবী গড়ার কারিগরদের পক্ষে নতুন পৃথিবী গড়ে তোলা মোটেই দুঃসাধ্য কিছু নয়।
পরিচয়ের দিক এবং বিভাগও অনেক বিস্তর, সেসব বিস্তারনে না গিয়ে জাতীয়তা প্রশ্নে বিভাজিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছু আলোকপাত করবো এ লেখায়। পৃথিবীর ভৌগলিক পরিবর্তনের সাথে সাথে ভূপৃষ্ঠে অবস্থানরত মানুষের স্থানীয় পরিচয়ও পাল্টায়। এটি নিতান্তই পৃথিবীর নিয়ম। একটা সময় ছিল যখন বর্তমান বাংলাদেশের অধিবাসীদের এখনো বেঁচে থাকা কেউ কেউ এবং আমাদের পূর্বসূরীরা নিজেদেরকে ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দিত, তারপর আমরা হলাম পাকিস্তানী এবং বর্তমানে বাংলাদেশী। হয়তবা ভবিষ্যতে আরো অনেক পরিবর্তন আসবে তখন পরিচয়েও আসবে নানা বৈচিত্র।

ঠিক তদ্রূপ দ্রুততার সাথে না হলেও মানুষের ধর্মীয় পরিচয়ের ক্ষেত্রেও আসে নানা পরিবর্তন। কেউ এক ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়, কেউ ধর্মকেই নির্বাসনে পাঠিয়ে স্বীয় ইচ্ছাশক্তিকে প্রভু ভেবে তার পূজারী হয়ে যায়, আবার কেউ কেউ ধর্মেকর্মে নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরে আরোহণ করেন, কেউবা উচ্চ থেকে নিম্নস্তরের অতলে নেমে যায় ইত্যাদি।

আলোচ্য বিষয় হলো- ধর্মের পরিচয় আগে না কি ভৌগলিক পরিবর্তনে সৃষ্ট জাতীয়তার পরিচয় আগে? কিংবা অন্য কথায়, আমাদের জীবনে ধর্মীয় পরিচয় অধিক গুরুত্বপূর্ণ না কি জাতীয়তার পরিচয় বেশী গুরুত্বপূর্ণ? বিষয়টিকে সাধারণ পর্যায়ে ফেললে বোধ হয় পর্যালোচনার ঘুড়ির নাটাই ধরে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তাই এটিকে শুধু ইসলামের সাথে সম্পর্কিত রেখে এর পাশাপাশি বুঝার সুবিধার জন্য বাংলাদেশী জাতীয়তাকে সম্পৃক্ত করে আলোচনা করা যাক, অর্থাৎ এতদ অঞ্চলের একজন মুসলমান নিজের জন্য কোনটিকে তার মূল পরিচয় হিসেবে অগ্রাধিকার দেবেন- আগে কি? মুসলমি না বাঙ্গালী?

একথার উত্তর অনেক বিস্তারিতভাবে দেয়া যেতে পারে, তবে এখানে আমি কেবলমাত্র কয়েকটি প্রশ্ন রাখবো পাঠকের বিবেকের কাছে-

১) পৃথিবীতে আসার পূর্বে আপনি কি ছিলেন? বাঙ্গালী নাকি স্রষ্টার অনুগত রূহ (বা মুসলিম)?

পৃথিবীতে আসার পূর্বে যখন আমাদের কোন আকৃতি বা দেহ ছিল না, তখন আমরা ছিলাম আমাদের স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট রূহ বা আত্মার সমষ্টি। সৃষ্টির পর একবার তিনি সকল রূহকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন: أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ অর্থাৎ, "আমি কি তোমাদের রব নই?" জবাবে আমরা সকলেই এ স্বীকৃতি দিয়ে এসেছি আমাদের সর্বশক্তিমান প্রতিপালকের সম্মুখে যে, بَلَى "নিশ্চয়ই (আপনি আমাদের রব)।" [সূরা আল আ'রাফ-এর ১৭২নং আয়াত দেখুন Click This Link

তখন আমরা কেউই পৃথিবীর এ ভৌগলিক কোন সীমারেখার অধীনে ছিলাম না। বরং আল কুরআনের এ তথ্যের দ্বারা অকাট্য হলো যে, মানব জীবনের পূর্ব সূত্রিতার সাথে বন্ধন রয়েছে ধর্মের তথা ইসলামের পরিচয়ের; কোন অবস্থাতেই যুগের পরির্তনের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল ভৌগলিক পরিচয়ের নয়। তাহলে কিভাবে একজন মুসলমানের জন্য মুসলিম পরিচয়ের পূর্বে/চেয়ে বাঙ্গালী পরিচয় প্রাধান্য পেতে পারে?

২) পৃথিবী থেকে চলে যাবার দিন বা তার পরবর্তী সময়ে আপনার কোন পরিচয়টি কাজে লাগে বা লাগবে? বাঙ্গালী নাকি মুসলিম?

আপনার লাশটি যখন কবরে শোয়ানো হবে,তখন কি বলে শোয়াবে সবাই? তখন বলবে-
بِسْمِ اللَّهِ وَعَلَى سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থাৎ, "(আমরা এই লাশ) আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের উপর রাখছি।" [সুনানে আবূ দাউদ: 2798, মাকতাবাহ্ আসশামেলাহ্ ৩.১]

আর এ কথা সর্বজন বিদিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ হলো শুধুমাত্র ইসলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামও আরব হিসেবে তাঁর জাতির কথা বলে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি তো কোন সাধারণ মানুষ বা নেতা-দার্শনিক ছিলেন না; বরং তিনি স্বয়ং বিশ্বস্রষ্টার মনোনীত বিশ্বনবী ও রাসূল ছিলেন। পরন্তু তিনি নিজের থেকে বানিয়ে বানিয়ে কোন কিছুই বলতেন না; বরং যা বলতেন তা ওহী থেকেই বলতেন:
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى - إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
"এবং (তিনি) প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না; (বরং) কোরআন ওহী, যা (তাঁর প্রতি) প্রত্যাদেশ হয়।" [সূরা আন-নাজম: ৩-৪ ]

তাই, যদি কেউ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ইসলামকে সারা জীবন পেছনে রেখে অগ্রাধিকার দিয়ে যায় কোন আঞ্চলিক ভৌগলিক পরিচয়কে কিংবা কোন নেতা যেমন- শেখ মুজিব, কামাল পাশা, গান্ধি বা লেলিন, মার্কসকে ও তাদের আদর্শকে, তবে মৃত্যুর পর কবরে শোয়ানোর সময় কি করে তাকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের উপর রাখা যাবে? পরন্তু পরিচয়ের এ অগ্রাধিকারের ভিত্তি রচিত হয় চিন্তায় ও অন্তরে। মানুষের যাবতীয় কাজকর্মের সংকল্প তথা কাজের শুরুটাই হয় চিন্তা ও অন্তর থেকে, আর সেসব সংকল্পের বাস্তবায়ন ঘটায় মানব শরীর। অর্থাৎ, এ অগ্রাধিকার বক্তির জীবনের কাজকর্মকেও প্রভাবিত করে থাকে। তাই সে মুসলিম হিসেবে যা করার কথা সেটাকে পরে স্থান দিয়ে আগে নিয়ে আসে বা তার চিন্তা-বিশ্বাস অনুযায়ী তার কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পায় তার বাঙালী পরিচয় নির্ভর কার্যক্রম। অতঃপর যদিও স্বজন-প্রতিবেশীরা শোকাতুর হয়ে তাকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের উপর রেখেও যায়, তবে আল্লাহ্ কিভাবে তাকে গ্রহণ করবেন তাঁর রাসূলের আদর্শে? মানুষের সুস্থ বিবেক এটাকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না। এবং যারা সে ব্যক্তিকে তার সারা জীবনের অগ্রাধিকার দেয়া আদর্শ থেকে মৃত্যুর পর তাকে বিচ্যুত করে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শে রেখে যাচ্ছেন, তারাও কিরূপ আচরণ করলেন?

অতএব, চিন্তায় ব্যাপকতা নিয়ে দেখুন জীবনটাকে, অবশ্যই সঠিক উত্তরের সন্ধান পেয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ্।

৩) মুসলিম পরিচয়ের আগে বাঙ্গালী পরিচয় দানের মত দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে কি আপনি/আপনারা মাঝখানের এই প্রাপ্ত জীবনের সময়টুকুকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন না?

অর্থাৎ, প্রথম প্রশ্ন গেল জীবনপূর্ব সময়কে নিয়ে আর দ্বিতীয় প্রশ্ন জীবন পরবর্তী সময়কে ঘিরে এবং এই তৃতীয় প্রশ্নটি এ দু'য়ের মধ্যবর্তী পার্থিব জীবন বিষয়ক। যদি কেউ মুসলিম পরিচয়ের পূর্বে তার আঞ্চলিক ভৌগলিক পরিচয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে, তবে পূর্বের দু'টি প্রশ্নোত্তরের আলোকে যে কেউ তাকে এ দোষে দুষ্ট বলতে পারবে যে, নিঃসন্দেহে সে আখেরাতের অনন্ত জীবনের তুলনায় দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনকে প্রাধান্য দিয়েছে। কেননা, পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে যে, মুসলিম পরিচয় শুধুমাত্র একটি পরিচয় নয়; বরং এর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে ব্যক্তির পৃথিবীপূর্ব রূহের জগৎ এবং পৃথিবী পরবর্তী অনন্ত জীবনের শান্তি কিংবা শাস্তি। এটি এজন্য অনিবার্য হয়েছে যে, যাঁর সম্মুখে দাঁড়ানোর জন্য আমরা ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে যাচ্ছি জীবনকে পাড়ি দিয়ে স্বয়ং সেই আল্লাহ্ তা'আলা মানব জাতির পার্থিব এই জীবন সম্পর্কে ঘোষণা দিচ্ছেন:
وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَلَلدَّارُ الْآَخِرَةُ خَيْرٌ لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
অর্থাৎ, "পার্থিব জীবন ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। আখেরাতের আবাস মুত্তাকীদের জন্যে শ্রেষ্টতর। তোমরা কি বুঝ না?" [সূরা আল-আন'আম: ৩২]

জি, এই বুঝটুকুই আমাদের জন্য অনেক বড় প্রয়োজন একজন মানুষ হিসেবে, একজন মুসলমান হিসেবে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে। তবেই কেবল পৃথিবীতেই নয়; বরং অনন্ত জীবনেও আমরা হতে পারবো সফল, সার্থক হবে আমাদের এই পরিচয়, এই জীবন। কেননা, এই পার্থিব জীবন ও এই পার্থিবতার পরিচয় নিছক একটা খেলা, একটা তামাশার ব্যাপার মাত্র; যা আমরাও বুঝতে পারি। তবে এমন এক সময়ে তা বুঝতে পারি যখন আর পিছু ফেরা যায় না, যখন সংশোধনের আর কোনই সুযোগ অবশিষ্ট থাকে না।

অতএব, সময় ও সুযোগ থাকতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমি কে? কি আমার পরিচয়? কোন পরিচয়কে আমি আগে নিজের জন্য গ্রহণ করবো এবং সে অনুপাতে জীবনকে ঢেলে সাজাবো- পার্থিব পরিবর্তনশীল পরিচয় বাঙালী? না কি পূর্বাপর অনন্ত জীবন কেন্দ্রিক পরিচয় মুসলিম?

১৭ ডিসেম্বর ২০০৮, মদীনা মুনাওয়ারা, সউদী আরব।

______________________এটি একটি মন্তব্য, পোষ্টের সাথে যুক্ত করলাম
_____________অনেকেই এক বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছেন কিংবা হালকাভাবে নিচ্ছেন। আমি মোটেই তা মনে করি না।

কেননা, দেশে দেশে বেশ কিছু উর্বর মস্তিষ্কের লেখক রয়েছে, যারা তাদের লেখালেখির মাধ্যমে মানুষকে আখেরাতমুখীতা থেকে সরিয়ে নিয়ে দুনিয়া বিলাসীতে পরিণত করার অতি সূ্ক্ষ্ম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে তাদের বড় হাতিয়ার হলো দেশ ও জাতীয়তাকে ব্যবহার করা।

সত্যি বলতে কি, আমি যখন দেশের গানগুলো রেডিওতে শুনতাম, আমার দু'চোখেও অশ্রু নামতো, এখনো দেশ প্রসঙ্গে মনটা ভিজে উঠে। দেশের প্রতি এহেন ভালবাসা ভাল, কিন্তু এক্ষেত্রে সতর্কতার খুবই প্রয়োজন রয়েছে। কেননা, এ পথ ধরেই একসময় শয়তান দেশকেও মানুষের জন্য একটা ইলাহ্ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। তখন দেশকে ভালবাসার পরিবর্তে মানুষ আল্লাহকে ইলাহ্ হিসেবে যা দেবার তা তাঁকে না দিয়ে দেশকে দিতে থাকে; আর এভাবেই দেশকে নিজেদের প্রভু বানিয়ে নেয়। কিন্তু পৃথিবীর কোন ভালবাসাই আমার স্রষ্টার ভালবাসার উপরে যেতে পারে না। আর স্রষ্টার ভালবাসার অংশ হলো স্রষ্টাপ্রদত্ত দ্বীন ইসলামকে ভালবাসা, তাঁর প্রেরিত রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসা।

তাই প্রয়োজনের সময় ভালবাসার সবটুকু বরাদ্দ করতে হবে সর্বাধিক প্রিয় স্রষ্টার জন্য! তারপর পর্যায়ক্রমে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, দেশ-দেশবাসী ইত্যাদি।

লক্ষ্য করতে হবে যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেশকে ভালবাসার কথা বলেছিলেন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার সময়, কিন্তু দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে প্রিয় জন্মভূমিকে ত্যাগ করেছিলেন। এটাই আমাদের জন্য রাসূলের জীবন থেকে এ ব্যাপারে বড় শিক্ষা যে, তিনি দেশকে অগ্রাধিকার দেননি; বরং ধর্মের জন্য দেশকে ত্যাগ পর্যন্ত করেছেন। এবং বিদায় হজ্জের ভাষণে তিনি আরব-আযমের ব্যবধানকে ধুলিষ্মাৎ করে দিয়ে আমাদের জন্য শিক্ষা রেখে গেছেন যে, ভৌগলিক জাতীয়তার পরিচয় মূখ্য নয়; বরং মূখ্য হলো দ্বীন-ধর্মের পরিচয়।

আর তিনি সেই ব্যক্তি যাঁর ব্যাপারে আমাদের স্রষ্টা আমাদের জানিয়েছেন যে, "তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে।" [আল কুরআন] অতএব, এতেই কল্যাণ, এতেই সাফল্য, যদি আমরা বুঝতে পারতাম...।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৯
৫১টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×