আমি কাকপাখি,মুসাফির রাজীব,টিনটিন ,ব্রিগেডিয়ার,তুরাগ হাসান ,মায়া সহ কতিপয় ওয়াচে থাকা ব্লগার এবং অনলাইনের ভবিস্যত ছাগু ভাদা পাদা নাস্তিক মিলে পালন করলাম সবথেকে ফালতু ব্লগ ডে ।
কর্মযজ্ঞ : স্থান ঠিক হল রুপসা ব্রিজ ।কুয়াশার কারনে পোস্টার আসতে একদিন দেরী হয় ।১৮ তারিখ রাতে হাতে পাই পোষ্টার ।১৯ তারিখ ভোর ৬ টায় শুরু হয় পোষ্টার মারা ।তীব্র শীত আর কুয়াশায় বেড়িয়ে পড়ি বাইক নিয়ে ।সঙ্গী মুসাফির রাজীব আর জমিদার ।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে শুরু হয় ক্যাচাল ।তাদের ভাবখানা দেখলে মনে হয় আমরা যেন হিজবুত তাহরীর পোষ্টার মারতে এসেছি এবং এটা কবিরা গুনাহ পর্যায়ের ঘোরতর অন্যায় একটা কাজ ।যাই হোক বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজী করালাম ।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কেবল অহংকার এবং অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকলে এদের মতো দায়ত্বশীল মানুষ সমাজে আর পাওয়া যাবে না ।
অনুষ্ঠান শুরু করার কথা ছিল বিকেল ৪ টায় ।আবারো মাংসের মধ্যে হাড্ডি হয়ে আসল কুয়াশা ।পরিবহনের গাড়ী লেইট যথাসময়ে ব্যানার হাতে না পাওয়ার কারনে কর্মসুচী কিছুটা পিছাতে হলো ।৩টা নাগাদ চলে আসলেন মুসাফির রাজীব,ব্রিগিডিয়ার আর মায়া ।ইতিমধ্যে ফোন করে আসার কথা বলেছেন টিনটিন ভাই আর ছোটভাই তুরাগ হাসান ।আমি এবং মুসাফির বিকেল ৫ পর্যন্ত এস এ পরিবহনে কিন্তু ততক্ষনেও গাড়ী এসে পেীছায় নি ।বাধ্য হয়ে ফিরে আসলাম ।ছোটভাই তুরাগকে একটু বেশী উত্তেজিত মনে হল সে বিকাল ৪ সময় রুপসা ব্রিজে গিয়ে হাজির ।সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসলেন টিনটিন ভাই ।সারক্ষন ক্যাপ পড়া ছিলেন তবে আশংকা করছি তার মাথার চুল আনুপাতিক হারে সামান্য কম আছে ।ব্রিগেডিয়ারের বউয়ের হাত পুড়ে গেছে এই নিয়ে যতটা না চিন্তিত তার চেয়ে বেশী চিন্তিত ১৯ তারিখ হরতাল নিয়ে ।সারাক্ষন কেবল সিগারেটের মুখে আগুন জ্বালাতেই দেখলাম ।নিপাট ভদ্র ভালো ছেলেদের চেহারা ভাবলে চোখের সামনে যেমন একটা নাদুস নুদুস মুখ ভেসে ওঠে তুরাগ ছেলেটি ঠিক তেমনি ।আর মুসাফির তো পুরাই হার্টর্থব ।এমন স্মার্ট আর সুন্দর একটা ছেলে ঠোট লাল করে মাঝে মাঝে পান চিবাবে এই দৃশ্য আমার কাছে সহ্য করার মতো না ।যাইহোক অনেক ত্যানা পেচানো হইল যেটা আদতে বিশ্বব্যাংকের কাজ ।সব গোছগাছ করে সিদ্ধান্ত নিলাম সন্ধা ৭ টায় শুরু করব অনুষ্ঠান ।টিনটিন ভাই হটাত ঘোষনা করলেন তার জরুরী বাড়ী যেতে হবে।মামাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ।প্রচুর পরিমানে মিষ্টি কিনে দিয়ে তিনি দায়িত্ব শেষ করে বাড়ী ফিরে গেলেন ।সাড়ে ৭ টার দিকে শুরু হল অনুষ্ঠান ।কেক,মোগলাই,কোক,মিষ্টি,সামুচা খাওয়ার ফাকে ফাকে আড্ডা আলোচনায় ব্রিজ গরম করে ফেললাম ।রাত সাড়ে ৯টায় একবুক আপসুস নিয়ে বাড়ীর পথ ধরলাম ।ঈশ কেন যে একটু আগে থেকে আয়োজন টা করতে পারলাম না ।তাহলে হয়ত আরো ভাল হতো ।
অনুষ্ঠানের স্থান : রুপসা ব্রিজ
নিশি র্যালী মাঝে শক্ত হয়ে বসে আছেন ব্রিগেডিয়ার সাহেব ।ব্রিযেডিয়াররা মনে হয় এমনই হয় !
এই কেকটাই কাইট্টা কুইট্টা ছাড়খার কইরা খাওয়া হয়
জ্বী আমরা মশা মারতে কামান দাগাই কেক কাটি চাপাতি দিয়া !
কেকটার বারো বারো বারো বাজাচ্ছেন কাকপাখি,মুসাফির রাজীব,তুরাগ হাসান আর ব্রিগেডিয়ার ।
কাউয়ারে কেক দেয় মুসাফির !
এইবার উল্টা কেস মুসাফিররে কেক দেয় কাউয়ায়
ছোটভাই কেক খাচ্ছেন না ভয় পাচ্ছেন বুঝতেছি না পাশেই যে ব্রিগেডিয়ারের অবস্থা !
সামুচাও কি চাপাতি দিয়া কাটতে হয় নাকি ? ব্রিগেডিয়ার বড় নৃশংষ !
আমার হাতের সামুচা খান এখন কোথায় বলেন তো ?
আমরা কজন ভাবিস্ট ব্লগার !হোগা মরা কাউয়ার আকাশ ফাড়া ডাক ।
ছবি তো দেখি ছবি তোলনে ওস্তাদ !
আমি নিশ্চিত এই ছেলেটা বড় হয়ে ছাগু হবে !এর ফ্রেন্ড লিস্টে টমসম বেগম আছে ।
বর্তমান আর্থ সামাজিক প্রেক্ষপটে হোগলা পাতার গুরুত্ব তাতপর্য বিষয়ক গিয়ান গর্ভের আলুচেনা ।
মিষ্টি ক্রেডিট গোজ টু টিনটিন ভাই !
সবাই মিলে একফ্রেমে !
মুসাফির রাজীব আর ভিপি সুমন
পরিশেষে ফুলগুলো চুরি করে আনার জন্য জবের কে ধন্যবাদ ।
আরো ছবি আপ করা হবে !
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫১