somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"গুম" ক্রিকেটিয় কল্প কাহিনী

২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

1
বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রান
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন পর বাংলাদেশে টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আশর বসবে। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার উধাও।
খবরটা বিজ্ঞানী রবিন্সের কানে যেতে বেশী সময় লাগল না। কিছুদিন আগে একজন রাজনীতিবিদ গুম হয়েগিয়েছিল, এখন ক্রিকেটার গুম হয়ে গেছে। দুদিন পর না বিজ্ঞানী নিজেই গুম হয়ে যান। এরকম আর চলতে দেওয়া যায় না। দ্রুত কিছু একটা করতে হবে বিজ্ঞানীর। বিজ্ঞানী রবিন্স তার শিষ্য রবিনকে সাকিব , তামিমকে খুজেবেরকরার দায়িত্ব দিলেন।
অবাক হবার কিছু নেই, গুরু শিষ্যর নাম একই। রবিন আর রবিন্স এই শুধু পার্থক্য।


ওদিকে হয়েছে কি, ইন্ডিয়ান জঙ্গি বনাম পাকিস্তানি জঙ্গিদের মাঝে ক্রিকেট খেলা হবে। তাই জঙ্গিরা সাকিব ও তামিমকে তাদের দলে খেলানোর জন্য উঠিয়ে নিয়ে গেছে। রবিন গোপন সুত্রে এই খবর জেনে ফেলেছে। ওদের ফিরিয়ে আনতে বের হল রবিন ।

আজ দুই দলের মাঝে খেলা হবে।
সাকিব ইন্ডিয়ান জঙ্গিদের হয়ে আর তামিম পাকিস্তানের জঙ্গিদেরr হয়ে খেলবে। জঙ্গলের মাঝে এক বিশাল স্টেডিয়াম তৈরি করেছে ওরা। খেলা শুরু হবার আগেই ইন্ডিয়ান জঙ্গিরা সাকিবকে বলে দিয়েছে, খেলা জিততে না পারলে গুলি করে বুক ঝাঁজরা করে দেওয়া হবে। তামিমকেও একি কথা বললো পাকিস্তানীরা। তার মানে যে কোন একজনকে মরতে হবে। যথা সময়ে খেলা শুরু হল।
টসে জিতে ইন্ডিয়ানরা ব্যাটিং করছে। রাম ও লক্ষণ নামে দুজন জঙ্গি খুব ভাব নিয়ে ওপেনিং ব্যাটিং করতে নামল। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হয়ে গেল লক্ষণ। আউট হলে কি হবে, সে কিছুতেই ব্যাটিং হতে নামবে না। ঘার তেরা হারামজাদার মত মাঠের মধ্যে বসে রইল। আম্পায়ার হল শ্রীলংকার, তাও আবার রামের বংশধর। তাই এই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত লক্ষণ মানবে কেমন করে? ইন্ডিয়ান জঙ্গিরা আম্পায়ার বদলানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে। শেষ পর্যন্ত লাদেনের ভাতিজাকেই আম্পায়ার করা হল। তবে লক্ষণ আর ব্যাটিংএ নামতে পারল না। সাকিব আর রামের রানের উপর ভর করে ৩০০ পেরুল জঙ্গিরা সাকিব ১২৫* ও রাম ১৫২* রান করেছে। এবার পাকিস্তানিদের ব্যাটিং করার পালা। প্রথমে তামিম ও একটা পাকিস্তানি জঙ্গি ব্যাটিংএ নামল। তামিম এসেই ব্যাটে আগুন ঝরাতে লাগলো। মাত্র ৫০ বলে ৮৩ রান করে আউট হল তামিম। দলিও রান তখন ১৩০. এরপর নিয়মিত জঙ্গিদের উইকেট পড়তে লাগলো। এক পর্যায়ে স্কোর দারালো ৬ উইকেটে ১৬০ রুন। এরপর ব্যাটিংএ এল এক গোবদা গুবদা জাম্বু মার্কা পাকিস্তানিজঙ্গি। ওই জাম্বু এসেই এমন ভাবে পেটাতে লাগলো যেন ঐ বুঝি স্বয়ং ক্রিস গেইল। বিশেষ করে সাকিব যখন বোলিং করতে আসে তখনে এর মার শুরু হয়। লক্ষণ তো রীতিমত খেপে গেছে সাকিবের উপর। মাঝে মাঝে সে সাকিবকে মারার জন্য তেড়ে আসে। তবে সতীর্থ খেলোয়াড়েরা তাকে আটকেদেয় বলে কিছু করতে পারে না। এদিকে সাকিবের অবস্থা খুব খারাপ। হেরে গেলে গর্দান যাবো। কিকোরে এই জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচা যায় সেই উপায় খুঁজতে লাগলো সাকিব। পালাবের কোন পথ খোলা নেই। চারদিকে জঙ্গিরা বন্দুক কাঁধে নিয়ে খেলা দেখছে। একটা উপায় আছে। খেলার মাঝে গণ্ডগোল বাধিয়ে খেলা পরিতাক্ত করতে পারলে বেঁচে যাবে ওরা। দুদলের জঙ্গিরা খুব উস্রিঙ্খল। মাঝে মাঝে মাঠে মারা মারি লেগে যায় ওরা। এক জঙ্গি বোলিং করতে গেলে মটকুটার পায়ে বল লাগলো, কিন্তু আম্পায়ার LBW আউট দিল না। সুযোগ পেয়ে গেছে সাকিব। সাকিব এক জঙ্গির কানের কাছে গিয়ে চুপি চুপি কিছু একটা বললো। তখন জঙ্গিটা আম্পায়ারের সাথে তর্ক শুরুরু করল। ওর কথা হল বলটা পুড়ো মিডেল স্ট্যাম্পের সোজা ছিল, তাই আউট দিতে হবে। সাথে অন্য জঙ্গিরাও ওর সাথে যোগ দিল। খেলার মাঝে একটা হাঙ্গামা বেধে গেল। কিন্তু কোন কাজ হল না।

শেষ পর্যন্ত সাকিবের দল হেরে গেল। সাকিব ৮ অভারে ১০৩ রান দিয়েছে। ওর বাজে বোলিংএর জন্য খেলাটা হেরেছে জঙ্গিরা। ইন্ডিয়ান জঙ্গিরা সাকিবের উপর বেজায় খেপে গেল। কারন ১ নাম্বার অলরাউন্ডার বলেই ওকে নিয়ে এসেছেছিল ওরা। আর ওর জন্যই ম্যাচটা গঙ্গার জলে ভেসে গেল। পাকিস্তানিরা অকৃতজ্ঞের মত তামিমকে মাঠে রেখে চলে গেল। ইন্ডিয়ান জঙ্গিরাতো বেজায় খুশি। এই দুজনের কারণেই মুলত ওরা হেরেছে। দুজনকে এক সাথে গুলি করে মারার সিদ্ধান্ত নিল জঙ্গিরা। সবাই ২ হতচ্ছাড়াকে মেরেফেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। ওদের সর্দার হল শুকলা । শুক্লার আবার দয়ার শরীর। ওদের মারার আগে শেষ ইচ্চা জানতে চাইল জঙ্গিদের প্রধান শুক্লা। সাকিব ও তামিম কিছুখন চিন্তা করল। এমন একটাকিছু চাইতে হবে যেটা সহজে ওরা এনে দিতে না পারে। যত দেরি করা যাবো ততই মঙ্গল। অনেক ভেবে চিন্তে তামিম বললো
--- আমরা দুধের আইসক্রিম খাব।
ওদের শেষ ইচ্চা শুনে জঙ্গিদের মাঝে হাসির রোল পরে গেল। কয়েকটা জঙ্গি রীতিমত দাপা দাপি শুরু করেছে। মরার আগে এমন অদ্ভুত ইচ্ছে কারো হয় নাকি! কিন্তু তারা আকবারো ভাবল না যে এই ঘন জঙ্গলে আইস্ক্রিম আনা অসম্ভব। লোকালয় থেকে আনতে আনতেই গলে যাবো। যখন আইস্ক্রিম আনতে গেল তখনি তাদের টনক নড়ল।
. . চলবে


. .
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×