২০৩০ সাল। এখন ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আকাশ
ছোঁয়া। বছরের শুরুর দিকে চীন ক্রিকেট
অঙ্গনে পা রেখেছে। অল্প দিনেই
চীনারা ক্রিকেটে বেশ উন্নতি লাভ করেছে।
শুধু উন্নতি বললে ভুল হবে। রীতিমত ক্রিকেট
বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে ওরা। কারণ ওরা যে কয়টি ম্যাচ
খেলেছে সবকটিতে জিতেছে । ক্রিকেটের বড়
বড় দল গুলোকে তুলোধুনা করেছে ওরা।
শ্রীলংকা, অষ্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড,
দক্ষিনআফ্রিকা,ওয়েস্ট উইনডিজ
দলকে একে বাড়ে গুলিয়ে ফেলেছে চাইনিজরা। এর থেকে রেহায় পায়নি ক্রিকেটের দেশ
ইংল্যান্ডও। চায়না দলের সাথে হোয়াইট
ওয়াশ হয়েছে ইংলিশরা। অন্য সব দলের এই
করুন পরিণতি দেখে পাকিস্তান ও ভারত
ভয়ে ওদের সাথে খেলতেই চাইছেনা।
কি টেস্ট, কি ওয়ানডে, কি টুয়েন্টি টুয়েন্টি , সব ফর্মাটেই ওরা সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনেক বলে কয়ে পাকিস্তান ও ভারতের
সাথে খেলল চাইনিজরা। ফলাফল একই, বিশাল
ব্যবধানে ইন্ডিয়া পাকিস্তান হেরেছে।
চাইনিজ বোলারদের বোলিং তোপে একজন
পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের দাঁত ভেঙ্গে গেছে। চাইনিজ ক্রিকেটারদের
মাঝে ৫ জন হলো বিধ্বংসী ক্রিকেটের। ২জন
ব্যাটসম্যান,২জন বোলার ও ১জন উইকেট
কিপার। আর যারা আছে তাদের দলে তেমন কোন
ভূমিকা নেই। ওরা শুধু দলের শোভা বর্ধন করার
জন্যই আছে। বিশ্বের সব বাঘা বাঘা দলকে পরাজিত
করলেও বাকি রয়ে গেল শুধু বাংলাদেশ।
বাংলাদেশও ক্রিকেট অঙ্গনে কম যায়না।
২০২৭ সালের বিশ্বকাঁপে দলটি সেমিফাইনাল
খেলেছে। দলে আছে ৪-৫ জন
বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান ও ৩জন দুনিয়া কাঁপানো বোলার। এছারাও
ব্যাটিং কোচ হিসাবে আছে একসময়ের
সবচেয়ে ড্যেসিং ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল,
তার সহকারী কোচ হিসাবে আছেন আশরাফুল।
বোলিং কোচ হলো ডেল স্টেইন। প্রধান কোচ
হলো এক সময়ের সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ও ক্রিকেট
অঙ্গনে শক্তিশালী দল। কিছুদিন আগেও
ভারতের সাথে ওয়ানডে সিরিজ
জিতে এসেছে বাংলাদেশ। চায়না ক্রিকেট
দলকে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানায় খেলার
জন্য। সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারিয়েছে চাইনিজরা।
তাহলে বাংলাদেশ বাকি থাকবে কেন? খুব
সহজেই চাইনিজরা সাড়া দেয় টাইগারদের
আমন্ত্রণে।
বিজ্ঞানী রবিন্স
জানতে পারে বাংলাদেশে বিশ্ব বিখ্যাত এক ক্রিকেট দল আসবে। এই দলটি সম্পরকে অনেক
শুনেছেন বিজ্ঞানী। বাঘা বাঘা দলগুলোর
কি দশা করেছে সেটা চিন্তা করে বিজ্ঞানীর
মায়া হলো। বাংলাদেশ
দলো বুঝি জেনে শুনে সিংহের গুহায়
পা দিয়েছে,তবে আশা একটাই এই দলটি হলো টাইগার টিম।
৫ টি একদিনের ম্যাচ
খেলবে চাইনিজরা .বিজ্ঞানী সবকটি ম্যাচের
টিকিট সংগ্রহ করল। নির্ধারিত দিনে খেলে শুরু হলো।
বিজ্ঞানী রবিন্স কোন এক কাজের
কারনে মাঠে যেতে পারেননি। কি আর
করা টেলিভিশন একমাত্র ভরসা।
বিজ্ঞানী বাসায় বসে খেলে দেখছেন। "BD
SPORTS" খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে। টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং করছে। শুরু
হলো খেলা। চাইনিজ বলার বল
হাতে দৌড়াতে শুরু করে। প্রথম বলেই আউট
হয়ে যান বাংলাদেশের ওপেনার বেটসম্যান
নাসির হোসেন। যে নাসির ব্যাটিংএ
নামলে যেকোনো বোলার ভয় পেতো সে প্রথম বলাই বোল্ড হয়ে গেল! শুধু তাই নয়
৩টি স্ট্যাম্পই ভেঙে গেছে। বিজ্ঞানীর
কাছে ব্যাপারটা খটকা লাগলো। বলার
যেভাবে দৌড়াচ্ছছিল সেভাবে কোন মানুষ
দৌড়াতে পারেনা। একইভাবে উইকেট
কিপারের হাবভাব বেশি ভালো ঠেকলনা। চাইনিজ বোলিং তোপে বাংলাদেশ ১০০
রানে গুটিয়ে গেল। ব্যাটিংএ
নেমে চাইনিজরা মাত্র ৬ ওভারেই জিতে গেল।
কোন উইকেট পড়লনা ওদের।
একইভাবে ব্যাটসম্যানরা তো রানের জন্য
দৌড়াচ্ছছিলনা। দৌড় দিলে মনেহয় এদের জাত নষ্ট হয়ে যাবে। তারা শুধু ৪/৬ মেরাই ১০০
রান পূর্ণ করল। ওরাকি আসলেই মানুষ না অন্য
কিছু? এই প্রশ্নটা বিজ্ঞানীর মনে বার বার
উঁকি দিচ্ছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও
একি অবস্থা বাংলাদেশের।
"যাহা উনিশ তাহাই বিশ,
জেনেে শুনে পান করছি বিষ"
এই প্রবাদ পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল।
বিজ্ঞানী বুঝতে পারলেন আসলে কি ঘটছে। তাই
চাইনিজ ক্রিকেটের সাথে দেখা করার
সিদ্ধান্ত নিলেন বিজ্ঞানী। ওদের
দেখা পাওয়া কি এতই সোজা! নেহায়েত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বলে দেখা করার সুযোগ
পেলেন। প্রধান কোচ ও দলের
খেলোয়াড়রা দেখা করে রাজি হচ্ছিলনা।
তবে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই রাজি হলো ওরা।
বিজ্ঞানী বিস্ময়কর ৫ ক্রিকেটারের
সাথে কথা বলেন। এরা কেও স্বাভাবিক মানুষের মত আচরন করছে না।
বিজ্ঞানী বুঝে গেলেন এরা আসলেই কেউ মানুষ
নয়। পাঁচটাই রোবট।
চাইনিজরা প্রযুক্তি বলে ৫টি রোবট
তৈরী করেছে।
২জনকে ব্যাটিং ২জনকে বোলিং & ১জনকে কিপিং পারদর্শীতার জন্য
আলাদা আলাদা সফটওয়ার দ্বারা প্রোগ্রাম
করা হয়েছে। ওদের কপট্রনে শুধুই ক্রিকেট
গুরুপাক খাচ্ছে। বিজ্ঞানী সিদ্ধান্ত নিলেন
ওদের প্রোগ্রাম পাল্টে ফেলবেন। কাল
সকালে ৩য় ম্যাচ। যা করার রাতের মধ্যেই করতে হবে। যেনো কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব
নিয়ে ওদের রুমথেকে বের হয়ে এলো বিজ্ঞানী।
বেরহয়ে আছে বিজ্ঞানী বাংলাদেশের কোচ
সাকিব আল হাসানের সাথে দেখা করলেন।
সবকিছু সাকিবকে খুলে বললেন উনি।
কি করতে হবে সেটাও বুঝিয়ে দিলেন সাকিবকে। পরদিন খেলা শুরু হলো।
চাইনিজরা খেলোয়াড়ের তেজ এর আগের মত
নাই। দেখা গেল ওরা মাঠে ঠিক উলটা কাজ
করছে। ব্যাটিং ও নামে চাইনিজরা ৬০
রনে অল আউট হয়ে যায়। বোলিংএ একি দশা,
কোন বোলার লাইন ও লেংথ বজায় রেখে বল করতে পারছেনা।
হেরে গেল চাইনিজরা। পুরো ক্রিকেট বিশ্ব
অবাক হয়ে গেল,
কেননা বাঘা বাঘা দলগুলো যেখানে কুপোকাত
হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের
ক্রিকেটাররা ওদের নাস্তানাবুদ করেছে!! বাকি ২টি ম্যাচেও বাংলাদেশ জিতে গেল। শুধু
খেলা শুরু হওয়ার আগে কোচ সাকিব ৫জনের
সাথে কথা বলে এবং খেলা শেষে কথা বলে।
যা হবার তা হয়। ইন্ডিয়ার
পত্রিকা গুলো বাংলাদেশে সত্যিকার
ক্রিকেটার বাস করে ও ইন্ডিয়া টিম কে বাংলাদেশের কাছ থেকে ক্রিকেট সেখার
জন্য বললো।
আসলে বিজ্ঞানী সাকিবকে ৫টি ছোট ছোট
চুম্বক দেয় . সাকিব সেগুলো খেলা শুরুর আগে ৫
রোবটের মাথায় লাগিয়ে দেয়। চুম্বকের
রেডিয়েশন এর ফলে রোবট গুলো তেদের বেলেন্স রাখতে পারে না ও তেদের
স্বাভাবিক প্রোগ্রাম পাল্টে যায়। আবার কোচ
সাকিব ম্যাচ শেষে কৌশলে চুম্বক
গুলো সরিয়ে নেওয়ার ফলে কেউ
বুঝতে পারে না। চাইনিজদের একটা চ্যালেন্জ
ছিল যে, যদি কেউ ওদের দলকে হারাতে পারে তবে আর এই দল
নিয়ে ক্রিকেট খেলবে না। সুতরাং সিরিজ শেষ
হবার সাথে সাথে চাইনিজ ক্রিকেটারদের
দাপট শেষ হয়ে গেল
(অনেক কষ্ট করে গল্পটি লিখলাম। কোন ভুল
ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। আর গল্পটির কোন
অংশটি ভাল বা খারাপ লাগল তা জানাবেন।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




