somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্যারা ভাইরাস@বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০৩১ সালকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত অথবা সমালোচিত সময় বলাযায়। কারন একটাই, একটুর জন্য বিশ্বকাপের শিরোপাটা হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে আফগানিস্তানের সাথে হেরেছে বাংলাদেশ। লাদেনের ভাতিজা আম্পায়ার ছিল ঐ ম্যাচে। আম্পায়ারের পক্ষপাতিত্তের জন্যই বাংলাদেশ হেরেছে, এমনটি গুজব শোনাযায়। অষ্টেলিয়া, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। চীন ক্রিকেট অঙ্গনে আগের মত দাপট দেখাতে পারে না। বাংলাদেশের এই উন্নতির জন্য অন্যান্য দেশ গুলোর হিংসা হয়। বিশেষকরে চীন বাংলাদেশকে দেখতে পারে না।

২০৩২ সাল।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা একটা জটিল সমস্যায় ভুগছে। প্রায় সব ক্রিকেটারের চোখ ট্যারা [মুরালির চোখের মত] হয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, ক্রিকেটাররা চোখে ঝাপসা দেখে। খেলোআররা ভালোভাবে বল দেখতে পায়না। ব্যাটিংএ নামলে ১০০ রান পেরুনো খুবই কষ্টকর হয়। যারফলে ক্রমাগত হেরেই যাচ্ছে টাইগাররা। সহকারী ব্যাটিং কোচ মোঃআশরাফুলের চোখও ট্যারা হয়ে গেছে।যারফলে ওপেনার সৌম্-সরকারকে কোন নির্দেশ দিলে সেটা অন্নকেউ পালন করতে এগিয়ে আসে। সমস্যা হল আকজনের দিকে তাকালে মনেহয় অন্যজনের দিকে তাকিয়ে আছে। সমস্যা দিন দিন প্রকট হতে লাগলো। আশরাফুলকে সরিয়ে তামিম ইকবালকে সহকারী ব্যাটিং কোচ করা হল। ফলাফল একই, তামিমের চোখদুটো আস্তে আস্তে ট্যারা হয়ে গেল।
আম্পায়ারদেরও একই অবস্থা। ট্যারা হবার ফলে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হন বাংলাদেশী আম্পায়াররা।
ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হতে লাগলো। রাঙ্কিংএ বাংলাদেশ ৩৬ নাম্বারে চলে গেল।
২০৩২ সালকে এদেশের ক্রিকেটের কালো সাল হিসেবে ঘোষণা করা হল।
এই রোগ থেকে বাচার জন্য কোচ সাকিব প্রাণপণে চেষ্টা করে সাকিবেরও চোখ দুটো ট্যারা হয়ে গেছে। এ নিয়ে বউএর সাথে প্রতিদিন ঝগড়া হয় সাকিবের।
ক্রিকেটবোর্ড এই সমস্যা সমাধানের জন্য মিটিং ডাকল। মিটিংএ বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটার ও ক্রিকেটের জন্য সকল নিবেদিত প্রাণেরা অংশ নিয়েছে। সভার প্রধান আকর্ষণ, সদ্য অবশরপ্রাপ্ত তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে অনেক তৈল্যমর্দন করে আনা হয়েছে। সভার শুরুতে অসুস্থ লোটাসকামালের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করা হল। আজকাল আজরাঈল সাহেব প্রায়ই ওনার সাথে দেখা করে যান। বহুদিন ধরে উনি উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন।
দীর্ঘ সময় আলোচনা করেও কোন সমাধান পাওয়া গেলনা। মিটিংএর প্রায় সকল বরেণ্য বাক্তিরাই ট্যারা। সুতরাং যত ঝামেলা সব ট্যারাদের উপর দিয়ে যায়। হঠাৎ সাকিব আল হাসানের বিজ্ঞানী রবিন্সের কথা মনে পরল। চায়না রোবট দলকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল বিজ্ঞানী রবিন্স। সাকিব দেরি না করে বিজ্ঞানীকে ফোন করলেন। বিজ্ঞানী রবিন্স তখন মশার জন্ম নিরোধক পিল আবিষ্কারে ব্যাস্ত। আজকাল মশার উপদ্রব অত্যন্ত বেড়ে গেছে। দেশের কল্যাণের জন্য ওদের জন্ম নিয়ন্ত্রন করা আবশ্যক। এমনসময় মোবাইল বেজেওঠায় বিজ্ঞানী বেজায় বিরক্ত হলেন। নেহায়েত সাকিব আল হাসানের ফোন না হলে কথা বলতেন না। কথা বলে এক মুহূর্তও দেরি করলেন না বিজ্ঞানী। দ্রুত রেডি হয়ে সভার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। সভায় উপস্থিত হলে সাকিব বিজ্ঞানীর কাছে তাদের সমস্যার কথা বললেন। বিজ্ঞানী অবশ্য আগে কিছুটা শুনেছিলেন, তবে সমস্যাটা যে এত প্রকট আকার ধারণ করবে সেটা বিজ্ঞানী বুঝতে পারেননি। বিজ্ঞানী সকলের চোখের দিকে তাকালেন। বিদেশী কোচ স্টেইন, গেইলের চোখে কোন সমস্যা নেই। বিজ্ঞানী বললেন,
-আপনাদের কাছে কি কোন বিদেশী এজেন্ট এসেছিল? বিদেশী কাউকেকি সন্দেহ হয়?
-হ্যা, প্রতিদিনই অনেক বিদেশী মানুষ আসে, তবে সন্দেহের কিচু খেয়াল করিনি, বললেন বিসিবির সভাপতি মোঃরফিক। রফিকেরও দুই চোখ ট্যারা। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চললো, সমাধানতো হলইনা উল্টো সবাই বিজ্ঞানীর প্রতি বিরক্ত হলেন। দলের সবচেয়ে ঠাণ্ডা মাথার দ্রুত গতি সম্পন্ন অভিজ্ঞ বোলার আবুল হাসানও বিজ্ঞানীর উপর খেপে গেলেন। ২০ বছর আগে টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে পাকিস্তানের কাছে হারার কারন ছিল আবুল হাসান। তখন গুঞ্জন উঠেছিল,
‘‘সব আবুলে মিলিয়া,
দেশটা খাইল গিলিয়া’’
সেইসময় কিছু আবুল ছিল বাংলাদেশে। তারা সবাই কোননাকোন কারনে বিতর্কিত ছিল। আবুল হাসানের নামের সাথে ‘আবুল’ থাকায় খানিকটা দোষ তার ঘারে চেপেছিল।

সেই দুর্যোগপূর্ণ সময়েও তিনি চুপ ছিলেন। কিন্তু আজ আবুল হাসান বিজ্ঞানীর উপর খেপে গেলেন। সভা শেষ হলে বিজ্ঞানী মন খারাপ করে বাড়িতে চলে গেলেন।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বিজ্ঞানী বিষণ্ণ মনে গবেষণাগারে বসে মশার পিল নিয়ে ভাবছেন। তিনি এক গ্লাস পানির সাথে কিছু মশার পিল ও লবণ মেশালেন। হঠাৎ বিজ্ঞানীর চোখের মাঝে ব্যাথা করতে লাগল। ব্যাথা ক্রমাগত বেরেই চলেছে। চোখে সবকিছু ঝাপসা দেখছেন বিজ্ঞানী রবিন্স। চোখে কিছু পরেছেকিনা সেটা দেখার জন্য আয়নার সামনে গেলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু একি হল!! বিজ্ঞানীর দুটো চোখই ট্যারা হয়ে গেছে। উপকার করতে গিয়ে এখন নিজেরি বারোটা বেজে গেল। ব্যাপারটা অনেকটা ওরকম যে," চোর ধরার যন্ত্র চুরি হয়ে গেছে"। কোন দুঃখেযে ওই সভাতে গিয়েছিলেন। কোন সমাধান তো হলইনা উলটো অপমানিত হলেন, সাথে ট্যারা চোখ ফ্রী। চোখে ঝাপসা দেখার কারণে গবেষণা করা অসম্ভব। একুলও গেল ওকুলও গেল। চিন্তায় চিন্তায় বিজ্ঞানীর জ্বর এসে গেল। চোখে প্রচণ্ড ব্যাথা। বিজ্ঞানী গ্লাসের পানি দিয়ে চোখ ধুলেন। সাথে সাথে চোখ জ্বলতে লাগল বিজ্ঞানীর। কারণ পানির সাথে মশার পিল ও লবণ মেশানো ছিল।আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেননা বিজ্ঞানী। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বিজ্ঞানী রবিন্স।

পরদিন সকালে নিজেকে মেঝেতে আবিস্কার করলেন বিজ্ঞানী। চেয়ারে ভড় করে উঠে দাঁড়ালেন অসুস্থ বিজ্ঞানী। চল্লিশ বছরের বিজ্ঞানী জীবনে কোনোদিন অসুস্থ হননি তিনি। কিন্তু আজ ওনার এই করুন দশা। কোনক্রমে হেঁটে বাথরুমে ফ্রেশ হবার জন্য ঢুকলেন উনি। আয়নার দিকে তাকিয়ে তো ওনার চোখ কপালে উঠে গেল। উনি আর আগের মতো ট্যারা নন ! চোখে সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন তিনি। একি স্বপ্ন নাকি কাল রাতে যা ঘটেছিল সেটা স্বপ্ন বিজ্ঞানী বুঝতে পারলেন না। উত্তেজনায় জ্বর, দুর্বলতা লাফিয়ে পালালো বিজ্ঞানীর। বিজ্ঞানী শক্ত সামর্থ লোকের মতো দ্রুত পায়ে হেঁটে গবেষণাগারে এলেন। একটু আগেই যে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিলো সেটা ওনার মনে নেই। গবেষণাগারে এসে মনে পড়ল পানির সাথে মশার জন্ম নিরোধক পিল ও লবণ মেশানো ছিল। তিন পদার্থের বিক্রিয়ার ফলে এন্টি-ট্যারা সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজনায় বিজ্ঞানী আরেকবার জ্ঞান হারালেন।

বিকেলে পুনরায় মীটিং ডাকা হল। বিজ্ঞানী যথা সময়ের আগেই মীটিংএ উপস্থিত হলেন। উত্তেজনা চেপে বসে রইলেন বিজ্ঞানী।এখন আর কেউ বিজ্ঞানীকে পাত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু একজন অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে বিজ্ঞানীর দিকে তাকিয়ে আছে।ব্যাপারটা বিজ্ঞানী খেয়াল করলেন। বিজ্ঞানীদের কৌতূহল আর সন্দেহ একটু বেশিই থাকে। এখানেও তার বেতিক্রম হলো না।সভা শেষে বিজ্ঞানী লোকটার সাথে কথা বলতে চাইলেন। কিন্তু লোকটা তার বেক্তিগত কাজের বাহানা দেখিয়ে চলে যেতে চাইল। এতে সন্দেহ আরো প্রকট হলো বিজ্ঞানীর। বিজ্ঞানী রবিন্স সাকিব আল হাসান কে ডাকলেন। সাকিব এলে বিজ্ঞানী লোকটার সাথে কথা বলার আর্জি পেশ করলেন। এত কিছুর পড়ও বিজ্ঞানীর উপর বিশ্বাস হারাননি কোচ সাকিব। বিজ্ঞানী বললেন, -- তোমার নাম কী? -আরিফ হুদা।
--তুমি আমার দিকে ওভাবে তাকিয়েছিলে কেন? -না স্যার, এমনি। --মিথ্যা বলবেনা। আমি জানি ক্রিকেটাররা ট্যারা হবার পেছনে তুমি জড়িত। এ কথা বলে কষে একটা চর মারলেন লোকটার গালে। লোকটা বুঝতে পারল যে সে ধরা খেয়ে গেছে। হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল লোকটা। তারপর বলতে শুরু করল, - আমি সব বলবো, তবে আমাকে ক্ষমা করে দিতে হবে। --ঠিক আছে।
- আমার নাম সঞ্জয় গুল। আমার বাবা পাকিস্থানী, মা ইন্ডিয়ান, আর আমার জন্ম চীনে , বেরে ওঠা বাংলাদেশে। বিজ্ঞানী অবাক হলেন। কী অদ্ভুত জীবন প্রণালী রে বাবা!!!! ---আচ্ছা আচ্ছা তুমি তাহলে সংকর জাতের মানুষ। এই চক্রান্তের পেছনে কাদের হাত আছে?, বললেন সাকিব। -যে চায়না রোবট গুলোকে আপনারা ক্রিকেট অঙ্গন থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এটার পেছনে ওদেরই হাত আছে। ওরা চায় এ দেশের ক্রিকেট মাটির সাথে মিশে যাক। বিজ্ঞানী আগেই রোবট গুলোকে সন্দেহ করতেন।
--রোবট গুলো এখন কোথায়? -ওরা মিরপুর স্টেডিয়ামের নিচের গুহাতে আছে। -- তুমি আমার দিকে ওভাবে তাকিয়েছিলে কেন? - ক্রিকেটাররা যেসব স্থানে যাতায়াত করেন সেসব স্থানের বিশেষ বিশেষ কক্ষ গুলোতে একটা বলয় সৃষ্টি করেছে রোবটগুলো। এখানে যারা এসেছেন সবাই ট্যারা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আপনি হলেন না! যারা ট্যারা হয়েছে তারা আর ভাল হবে না। তখনি সাকিব চেচিয়ে উঠলেন,
---তবেকি আমি আর ভাল হব না? সাকিবের চোখে মুখে হতাশার ছাপ্‌। বিজ্ঞানী সাকিবকে থামিয়ে দিয়ে সঞ্জয়কে প্রশ্ন করলেন, --তাহলে গেইল, স্টেইনরা এই বলয়ের ভেতর গিয়েও ট্যারা হলোনা কেন? -এটা শুধু একটা বিশেষ আবহাওয়ার মানুষের ক্ষতি করতে পারে। ওনারা এদেশের আবহাওয়ায় বেড়ে উঠেনি, তাই ওনাদের কোন ক্ষতি হয়নি। বিজ্ঞানী তার আবিষ্কৃত এন্টিট্যারা সাকিবকে দিলেন, এটি ব্যবহারের ফলে সাকিবের চোখ ভাল হয়ে গেল। গোপনীয়তা রক্ষার্তে এই এন্টিট্যারা আর কাউকে দিলেন না। পরদিন সাকিব ও বিজ্ঞানী গুলকে সাথে নিয়ে বিশেষ রাস্তা দিয়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের নিচে রোবটের গুহায় প্রবেশ করলেন। একি! স্টেডিয়ামের নিচেও একটা স্টেডিয়াম তৈরি করেছে রোবটেরা। সাত আটটি রোবট সেখানে ক্রিকেট খেলছিল। আহা, বিজ্ঞানী রবিন্স ও কোচ সাকিব আল হাসান যদি ওদের এই অবস্থা না করত, তবে ওরা উপরের স্টেডিয়ামেই সবার সামনে খেলতে পারত। গুল তার ভুল বুঝতে পেরে ওদের সাহায্য করছে। রোবটগুলো গুহাটিকে অনেক ভাল ভাবে তৈরি করেছে। ২৪ ঘণ্টা গুহায় ফ্লাডলাইট জ্বলে , তাই রোবটগুলোর খেলতে কোন অসুবিধা হয়না। বড় বড় ৫টি মেশিন দিয়ে ট্যারা হবার বলয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এগুলো ধ্বংস করতে পারলেই আর কেঊ নতুন করে ট্যারা হবে না। তিনজন এমন ভাবে হাঁটাচলা করছে যেন তিনজনই রোবট। কিছু কিছু রোবটকে মানুষের আকৃতি দেওয়া হয়েছে, তাই দুজনকে কেউ চিনতে পারল না। গুলকে সবাই চেনে, গুল ওখানকার রাস্তাঘাট ভাল করে চেনে। চুপি চুপি ওরা রোবট নিয়ন্ত্রক কম্পিউটার কক্ষে গেল।
ওখানে একটা রোবট বসে কম্পিউটার অপারেটিং করছিল। বিজ্ঞানী কৌশলে রোবটের সুইচ অফ করে দিলেন। তারপর কম্পিউটারের প্রগ্রাম পাল্‌টাতে চেষ্টা করলেন। এর মাঝে কয়েকটা রোবট রুমে ঢুকে বিজ্ঞানী ও গুলকে বন্দী করে নিয়ে গেল। রোবটেরা বুঝে গেছে যে ওরা ওদের শত্রু। সাকিব পাশে রাখা কিছু যন্ত্র দেখছিলেন, হঠাৎ রোবট আসার শব্দে লুকিয়ে পরেছিলেন। ওরা চলে যাওয়ার সাথে সাথে রুমের দরজা বন্ধ করে দিলেন সাকিব। রোবটগুলো ওদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলো। বিষাক্ত সালফিউরিক এসিড ওদের শরীরে পুষ করা হবে। সালফিউরিক এসিড পুষ করার জন্য ২টি রোবট ওদের দিকে এগিয়ে আসছে। রোবটেরা ওদের দেহে সিরিঞ্জ পুষ করে দিলো। বিজ্ঞানী ও গুল জোরে চিৎকার দিলো। কিন্তু না ওদের কিছুই হলো না, কারণ রোবটেরা ভুল করেছে। সুইয়ের মাথায় প্লাস্টিক লাগানো ছিল। ওটা খুলতে ভুলে গিয়েছিলো রোবটেরা। এবার প্লাস্টিক খুলে সুই উন্মুক্ত করল রোবট দুটো। যখন সুই ঢোকাবে তখনি রোবটগুলো থেমে গেল। হাত থেকে সিরিঞ্জ ফেলে দিলো রোবটগুলো। যে রোবট গুলো ওদের ধরে রেখেছিল সেগুলোও ছেড়ে দিলো। বিজ্ঞানী অবাক আর বিস্ময়ে রোবটগুলোকে দেখছে। এরপর এক এক করে সকল রোবট মাটিতে লুটিয়ে পড়ল .নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেল ওরা। সাকিবের কথা মনে পড়তেই দ্রুত কম্পিউটার কক্ষে গেলেন দুজন। কম্পিউটার টি মেঝেতে পড়ে আছে, আর পাশে রাগান্বিত মুখ করে সাকিব দাঁড়িয়ে আছেন।
--কী হয়েছে? ---আপনাদের ধরে নিয়ে যাবার পর আমি কম্পিউটারের প্রোগ্রাম পাল্টানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিলো না, তাই রাগ করে কম্পিউটার ভেঙ্গে ফেলেছি। এবার বিজ্ঞানী সব বুঝে গেছেন। তিনি সাকিবকে থামিয়ে দিয়ে বললেন --নিজের অজান্তেই আমাদের জীবন রক্ষা করেছেন আপনি। সকল রোবটের প্রোগ্রাম এই কম্পিউটারের সাথে যুক্ত ছিল। কম্পিউটার ভেঙ্গে ফেলার কারণে রোবট গুলোর প্রোগ্রাম নষ্ট হয়ে গেছে। আপনি যদি ক্রিকেটার না হয়ে বিজ্ঞানী হতেন সেখানেও এক নাম্বার থাকতেন। --- তাই নাকি!! তাহলে আমরা সবাই বেঁচে গেলাম ! --হুমম বিজ্ঞানী ওই বড় বড় পাঁচটি মেশিন অকেজো করে দিলেন। সকল ট্যারা ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা ওনার আবিষ্কৃত ঔষধ ব্যবহার করে ভাল হয়ে গেলেন। আবারও সাকিব আমাদের দেশের ক্রিকেটের মান বাঁচিয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত মশার জন্ম নিরোধক পিল মানুষের উপকারে আসল। সুতরাং মশাও ও আমাদের জন্য উপকারী। তাই বিজ্ঞানী মশা ধ্বংসের পরিকল্পনা বাদ দিলেন।
///////END//////
অনেক কষ্ট করে গল্পটি লিখলাম। কোন ভুল
ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। আর গল্পটির কোন
অংশটি ভাল বা খারাপ লাগল তা জানাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×