দেশে থাকাকালিন সময় থেকেই মাছ ধরার সখ। যদিও আমার ধৈর্য্য বেশ কম। বর্শিতে মাছ ঠুকর না দিলে মেজাজ খারাপ হয়ে যেতো। আমার সাথে মামাতো ভাইকে দেখতাম অনেকক্ষন ধৈর্য্য ধরে মাছ ধরতে। সাধারনত আমাদের ধরা মাছগুলো বাসায় খুব একটা কাজে লাগতো না। হাস, মোরগই খেতো। অনেক বড়ো পরিবার ছিলো। দুই-তিনটি মাছে কিছুই হতো না। তারপরও আমাদের মাছ ধরার কাজে কোন অবহেলা ছিলো না। অনেক সময় মাছ ধরে অনেককেই ফ্রি দিয়ে দিয়েছি। বর্ষায় টিলার নীচে পানি আসলে আমাদের সুখের দিনের শুরু। মা-বাবা শত পিটুনির ভয়েও কাজ হতো না। কলেজ/ইউনিতে থাকাকালীন বিভিন্ন পরিচিত লোকজনের সাথে চুক্তিভিত্তিক মাছ ধরতে যেতাম। আমাদের কাজ ছিলো শুধু মাছ ধরা।
এখানে আসার পর অনেকদিন নদীর পাড় দিয়ে হেটেছি আর লোকজনের মাছ ধরা দেখেছি। কিন্তু লাইসেন্স করতে কিছুটা ঝামেলা ছিলো। এইসব দেশে সব জায়গায় মাছ ধরা যাবে না। নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় শুধু মাছ ধরতে পারবে। তাও যাদের লাইসেন্স আছে শুধু তারা মাছ ধরবে। অন্যথায় জেল জরিমানা আছে। গ্রীষ্মের লম্বা ছুটির দিনগুলোতো মোটামুটি ঘটি-বাটি নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া যায়।সখটাকে পকেটে রেখে দিয়েছিলাম এতোদিন।
গত সপ্তাহে লাইসেন্সের জন্য ভর্তি হয়ে গেলাম। পকেটে ব্যাংক কার্ড ছিলো। সাধারনত পকেটে ক্যাশ টাকা রাখা হয় কম। কার্ড দিয়েই সব জায়গায় পে করা যায়। কিন্তু উনারা ক্যাশ টাকা নিবেন। কি আর করার। প্রায় ৩০ মিনিট ঠান্ডা আর বৃষ্টির মধ্যে হেটে অটোমেট থেকে টাকা তুলে এনে ভর্তি হলাম। বেশ ভালোই চার্জ করলো। ঐ দিনই দুই ঘন্টা ক্লাস। অফিস শেষ করে রাত করে ক্লাস করা
![:(](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_15.gif)
ছবি নেট থেকে সংগ্রিহীত