আমি তোমায় ভালোবাসি।
পৃথিবীর প্রতিটা জাতি, যে কোন জাতির যে কোন মানুষ তার সংসারকে ভালোবাসে। সে তার গ্রামকে ভালোবাসে। সে তার থানা, জেলা দেশকে ভালোবাসে। সে জন্মের পর থেকে বুঝতে পারে যে সে তার মাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। সে তার বাবাকে ছাড়া বাঁচাটাও একটা শূন্য বাতাসে বসবাসের সমান। সে যখন বুঝে, সে অবশ্যই স্বীকার করে যে তার জন্মের পেছনে তার একজন জন্মদাতা ছিল, পিতা ছিল। সে যখন দেখে তার কোন খেলনাও তার বাবা নিয়ে আসে, ভাবে এটাও বুঝি তার বাবা তৈরী করেছেন। মানে এরও একজন নির্মাতা আছে। আসলে পৃথিবীর যে কোন জিনিসের কোন না কোন নির্মাতা থাকে। একমাত্র অদৃশ্য মহান সৃষ্টিকর্তা/আল্লাহ ছাড়া।
স্পষ্ট পবিত্র কুরআনে আছে, ইহুদী জাতিকে যখন আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্টিত করার ঘোষনা দেন। তখনও পৃথিবীর বুকে আরো অনেক জাতি ছিল। আমরা স্পষ্ট জানি যে ইহুদী জাতি হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর বংশধরকে বলা হয়। অর্থাৎ হযরত ইউসুফ (আঃ) এর পিতা ইয়াকুব (আঃ) এর দশ পুত্রদের কর্তৃক যে জাতির সৃষ্টি হয়েছে, তাকে ইহুদী জাতি বলা হয়। এখন যদি তারাও তাদের জাতির আদি পিতার নাম বলে তবে হযরত ইবরাহিম (আঃ) কে নিদের্শ করে না। অন্য কেউও করে না। পবিত্র কুরআনেও বলা হয়েছে, হযরত ইয়াকুব (আঃ) থেকেই ইহুদী জাতির সৃষ্টি। কিন্তু তারাও হযরত ইবরাহিম (আঃ) এবং পুর্ব পুরুষ হযরত নুহ (আঃ), হযরত শীষ (আঃ), শুরুতে হযরত আদম (আঃ) কে ও বিশ্বাস করে। এমনকি তারা হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর বংশধর হওয়া সত্বেও তারা হযরত মুসা (আঃ) এর ধর্ম গ্রন্থকে পালন করে কিন্তু হযরত দাউদ (আঃ) বা হযরত ঈসা (আঃ) এর ধর্ম গ্রন্থকে পালন করে না। আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্ম গ্রন্থকেতো স্বীকৃতিই দেয় না।
আর দেশে আসেন। বাংলাদেশের মুসলমানদের অত্যন্ত প্রিয় সৌদিআরব। এই সৌদিআরবও একজন ব্যক্তির নামে প্রতিষ্টিত। ১৯৩২ সালে আব্দুল আজিজ আল সৌদ কয়েকটা গোত্র বা রাজ্যকে একত্রিত করে এই সৌদিআরব নাম দিয়ে সৌদিআরব দেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন। আমরা এই সৌদিআরবকে অত্যন্ত সম্মান করি, কারণ তাদের দেশে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কুরআন, পৃথিবীর শ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এসেছিলেন। অথচ তার দেশের টাকার নোটেও তাদের বাদশাহের ছবি থাকে। তারাও তাদের দেশের স্রষ্টা হিসেবে আব্দুল আজিজ সৌদকে সম্মান করে।
এর পর অনেক প্রিয় বাংলাদেশীরা পাকিস্থানকে অত্যন্ত ভালোবাসে। অথচ ঐ খানেও পাকিস্থানীরা জিন্নাহ সাহেবকে পাকিস্থানের স্রষ্টা হিসেবে মান্য করে। এমনকি তাদের দেশের টাকার নোটেও জিন্নাহ সাহেবের ছবি প্রকাশিত হয়।
পার্শ্ব বর্তী দেশ ভারতেও মহাত্মা করম চাঁদ গান্ধীকে জাতির পিতা হিসেবে মান্য করে। আরোতো রইল, আমেরিকা, সাউথ আফ্রিকা সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই তাদের দেশের স্রষ্টা আছেন। সমস্যাটা শুধু বাংলাদেশে। কেন যে বুঝি না, মানুষ অনেক কাজ রেখে এই বিষয়টা নিয়ে তর্ক করে।
ঐ দিন দেখলাম, জনাব রুহুল কবির রিজবী সাহেব বলছেন 'মুক্তিযুদ্ধে যার ভূমিকা নেই, তাকে জাতির পিতা বানানো হচ্ছে।' বাহ কি চমৎকার যুক্তি দেখিয়েছেন। কমপক্ষে স্বীকার করেছেন যে একজন জাতির পিতা লাগে। নইলেতো আমি অনেক বিএনপি নেতা দেখেছি, তারা যুক্তি দেখান যে, আমরা মুসলমান জাতি, আমাদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ), কেউতো বলেন যে হযরত আদম (আঃ)। কিন্তু তারা সৌদি আরব বা পকিস্থানের জাতির পিতা হিসেবে সৌদ সাহেব বা জিন্না সাহেবকে স্বীকৃতি দেন। সৌদ সাহেব বা জিন্নাহ সাহেবকে নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ নাই।
এবার রিজবী সাহবে বললেন যে শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ব করেন নাই, তাইলে উনি জাতির পিতা হবেন কি ভাবে। আসলে উনি খুব জ্ঞানী মানুষ। আর সাউথ আফ্রিকানরা মুর্খ, তারা কোন যু্দ্বা না করা নেলসন ম্যান্ডেলাকে, যে জীবনের অধিকাংশ সময় জেলে কাটিয়েছে তাকে জাতির পিতা বলে। আমেরিকানরা ওয়াশিংটনকে বলে, যে যুদ্ধ না করে আলোচনা করেই দেশ স্বাধীন করে ফেলল, হায়রে মুর্খ আমেরিকা, রিজভী নেতার কাছে জ্ঞান নিতে আসো। মহাত্মা গান্ধী মার খেতে খেতে, ধুতি পড়ে আলোচনা করে দেশ স্বাধীন করে ফেলল। হায়রে ভাগ্যবান জিন্নাহ, গান্ধির জয়কে ভাগাভাগি করে এক অংশে হুক্কা টেনে টেনে, গাঁজা খেয়ে খেয়ে, কোন বোমা না মেরে, কোন গান্ধির মত মার না খেয়ে, হাতের মোটা চুরুট (সিগারেট) টেনে টেনে, একটা জঙ্গি মুসলমান জাতি পাকিস্থানের জাতির পিতা হয়ে গেলেন। আসলে পাকিস্থানীরা মুর্খ হয়ে জিন্নাহ সাহেবকে জাতির পিতা বলে ভালো করেছে। রিজভীদের মতো জ্ঞানি হলেতো তারাও হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বা হযরত আদম (আঃ)কে জাতির পিতা বলতো, তখন আমার মতো মুসলামও কষ্ট পেতাম, এই জঙ্গি গোষ্টিকে উনারা তৈরী করে গেলেন। আল্লাহ আমাদের ঐ দুই নবীকে কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
আমার জীবনের একটা ঘটনা না বলে পারছি না। আমি এমবিএ করার জন্য নর্দান সাইপ্রাসে গিয়েছিলাম। তখন, আমাদের সাথে একি ফ্লাইটে পরিচয় হলো সিলেটের সাত-আটজন লোকের সাথে। শুনলাম তারাও স্টুডেন্ট। এর মধ্যে একজন মইন, সে পাঠশালা পাশ করেছে কি না সন্দেহ। যাইহোক, সে অন্য একজনের সার্টিফিকেট দিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য কাজ করা। সে ঐখানে যাবার পর শুনতে পেলো তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। মোটামুটি সাত-আট মাসের মধ্যে তার একটা ছেলেও জন্ম হলো। এবার তাকে আমার সাথের ক্লাশ মেট টিপু ও কৃপা সবসময় টিটকারী মারতে লাগলো, তুমি এই দেশে আর তোমার স্ত্রী বাংলাদেশে ছেলে জন্ম দিলো। তুমি দেশে নাই, অথচ একটা সন্তান জন্ম হতে হলে দশ মাস দশ দিন লাগে। মইন সাহেবের সন্দেহ হলো, আসলেতো আমি এই দেশে, তাইলে আমার সন্তান জন্মাবে কিভাবে! ফোন দিয়ে বউকে গালাগালি শুরু করলো। বউ বুঝালো, তুমি থাকতেইতো আমাদের যে মিলন হয়েছে, তার ফল আমদের এই সন্তান। একবার গর্ভে বাচ্চা জন্ম হয়ে গেলে, আর স্বামীকে লাগে না। সেই বাচ্চা অটোমেটিক গর্ভে বড় হতে থাকে। কিন্তু মইন সাহেব নাচোড় বান্দা, উনার সন্দেহ রয়ে গেল। উনি বুঝলো যে উনি প্রতিদিন উনার বউয়ের সাথে মিলার পরতো বাচ্চা হবে। পরে শুনেছি, উনি দেশে আসার পর উনার স্ত্রীকে তালাকই দিয়েছেন। হায়রে মইন ভাই!
আর, হায়রে রিজভী সাহেব। কবে যে বলে ফেলেন। জনাব জিয়াউর রহমান সাহেব মরে গেছেন, উনি আবার বিএনপির প্রতিষ্টাতা নাকি, এখনতো ম্যাডামকে ফালূ সাহেব দেখছেন, তাইলে ফালু সাহেবই তো বিএনটির পিতা হবেন। আমার পুরো সন্দেহ আছে, রিজভী সাহেব, উনার ফ্যামিলিতে উনার পিতাকে কতটুকু সম্মান করেন। আরে বাবা, পৃথিবীর আদি কয়েক সভ্যতার মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা শ্রেষ্টতমদের একটা, এরও জাতির পিতা আছে। তাদের ইতিহাস হযরত ঈসা (আঃ) আসার প্রায় ৩০০০ বৎসর আগে থেকে কিন্তু তাদের জাতির পিতা হলো মাত্র ১০০ বৎসর আগে।
রাজনীতি কি একে অন্যকে সমালোচনা করার জন্য। গনতন্ত্র কি শুধুই সমালোচনা। এটা কি গিবত পর্যায়ে পড়ে না? আর সমালোচনা করতে কেন আমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবো। আমরা কি এমন পর্যায়ে পড়ে গেলাম যে, দেখছি একটা কুকুর পাগল হয়েছে, জানি ও কামড় মারলে জলাতন্ক রোগ হবে, তারপরও কি ঐ কুকুরকে দুধ-ভাত খাওয়াবো। আরে বাবা, প্রাণে মারি আর না মারি, তাকেতো খাঁচায় রাখতে পারি।
মানুষ যখন বড় হতে শুরু করে, প্রত্যেক পরিবারে এমকি আমি নিজে দেখেছি খুব কাচড়া/চোর/গুন্ডা পরিবারেও শিক্ষা দেয়া হয়, মা-বাবাকে সম্মান করবে। ভাই-বোনদের সাথে হারামী করবে না, কারো হক মেরে খাবে না। কিন্তু জানি না, রিজভী হুজুর কোথা থেকে কি শিক্ষা পেয়েছে!
আসলে কতিপয় লোকের কাছে এখন হিরো হবার তাড়াহুড়ো শুরু হয়েছে। নিজেকে ফোকাস করতে চাচ্ছে। হয়তো পদের জন্য, হয়তো নাম কামানোর জন্য। কিন্তু তাই বলে নিজেকে জারজ সন্তানের পরিচয় দিয়ে করবে? ঐদিকে আরেক মহান ব্যক্তিত্ব, যার নাম বাংলাদশের দুইটা বড় দলের একটা বিএনপি-র মহাসচিব হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে, জনাব গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। উনি উনার ম্যাডামের সাথে তাল মিলিয়ে বললেন যে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ঠিক নয়। এর গননা আবার করা উচিৎ। হায়রে বেটা, খালেদা জিয়া না হয় মেট্রিক পাশ করে নাই? আসলে গয়েশ্বরের পড়ালেখার সার্টিফিকেট প্রকাশ করা দরকার। আর যদি এত সন্দেহ ছিল, জিয়াউর রহমানের আমল গেল, বেগম খালেদা ফালুর তিন আমল গেল, তোমরা কেন সঠিক হিসাবটা বের করো নাই। আমার এক বন্ধুর সন্দেহ হচ্ছে, ওরা যেভাবে টাল হয়ে কথা বলছে, কখন জানি বলে ফেলে, খালেদা জিয়ার এক প্রেমিক নয়, আরো আছে, এর সঠিক তথ্য বের করতে হবে।
জনাব তারেক রহমান সমিপেষু, আপনার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ২৭শে মার্চ রাতে আপনার বাবা, জীবনের ঝুকি নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। কোন মান-সম্মানের দিকে না তাকিয়ে আপনার মাকে বীরাঙ্গনা জেনেও স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছেন, বুঝেন কত বড় মনের মানুষ। উনার জীবদ্দসায় কখনও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা নিয়ে, দেশের স্বাধীনতার স্থপতি নিয়ে কথা বলতে শুনিনি, অনেক খুজেছি, পাইনি। তাইলে কেন, এখন এসব হচ্ছে? আপনি কি বুঝেন না, এসবের জন্য যে শেখ মুজিবকে জানতো না, সে জানছে, সেও মুজিবকে নিয়ে খুজাখুজি করছে, আলোচনা করছে। আমি এই ইংল্যান্ডে দেখেছি, একজন লোক সে শেখ মুজিবের নাম শুনেনি, কিন্তু আপনাদের আলোচনাতে শেখ মুজিবের নাম শুনে ইউ টিউবে সার্চ করে, শেখ মুজিবের ভাষণ শোনে ভক্ত হয়ে গিয়েছে। আমার খুব ক্লোজ একটা ফ্রেন্ড, তার বড় ভাই বিএনপি করে, তাই সে বিএনপি, সেও এখন আপনাদের আলোচনা শোনে শেখ মুজিবকে গুগল সার্চ মেরে, শেখ মুজিবের এসব দেখে ভক্ত হয়ে গিয়েছে।
জনাব তারেক রহমান, যে কোন শিক্ষীত মানুষ জানে, বুঝে যে- যে কোন জাতির সৃষ্টির পেছনে কারো না কারো হাত থাকে। এর মধ্যে যদি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়, তবেতো অধিকর্তা একজন থাকবেই। একটা সংসারে কর্তা বিদেশে থেকে টাকা রুজগার করে সংসার চালায়, এখন সে বাজার করলো না বলে কি তাকে সংসারের কর্তা থেকে বাদ দিয়ে দিবেন। সে দেশে আসলেতো সেই কর্তার মতো ক্ষমতা খাটায়, দেশে না এসে বিদেশে মারা গেলেওতো কর্তার সম্মান পেয়ে দাপন করা হয়, দোয়া-দুরুদ পড়া হয়। নাকি, এগুলোও অস্বীকার করবেন। নাকি সংসারে কর্তা বাবা থাকতে, দুধের শিশুকেও কর্তা বানিয়ে বাবাকে অবসরে দিয়ে দিবেন।
জনাব তারেক রহমান। অনেক হয়েছে। দলের হাল ধরেন, নতুবা আপনারও যোগ্যতায় ঘাটতি মনে হলো আপনার স্ত্রীকে আনেন। আপনার মাকে দিয়ে হবে না। একটা পিয়নের চাকরি করতে গেলে মেট্রিক পাশ লোক লাগে। অনেক হয়েছে, বাংলাদেশে ছাগলের হাল চাষ অনেক হয়েছে। আপনি এখন লন্ডনে বসবাস করেন, মনটাকে পৃথিবীর উপযোগি করেন। আপনার মাকে দয়া করে ঘরে নামাজ, জিকির-এ লাগান। আখেরাতে কাজে আসবে। আর ঐ সব পর পুরুষ ফালু ভাইদের সাথে হজ্জ করতে ও আর না পাটিয়ে, আপনি শুধু একা নিয়ে যান, আল্লাহর কাছে তওবা করতে বলেন। আপনিও তওবা করেন, মায়ের হয়ে।
এখনকার প্রজন্ম আর কথায় নয়। ইতিহাসে বিশ্বাস করে। কাজে বিশ্বাস করে। এখন পৃথিবীর সব খবর, সেই আদিম যুগের খবর হোক আর কয়েক বৎসবর পরের খবর হোক, মানুষ নেটে টিপ মেরেই বের করতে পারে। তাই কে জাতির পিতা, আর মুক্তিযুদ্ধে কতজন মারা গিয়েছে, এগুলো নিয়ে বিতর্ক করে কোন লাভ হবে না। পৃথিবীর কোন যুদ্ধেরও সঠিক শহীদের বা গনহত্যার হিসাব নাই। আর আজকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করছেন। আমিও গবেষণা করে দেখেছি, পৃথিবীর সব বড় গনহত্যার হিসাব গুলো অনুমান নির্ভর বলা হয়েছে। এমনকি, বাড়িয়ে বলা হয়েছে। এগুলো নিয়ে সমালোচনা করে, নতুন স্মার্ট প্রজন্মের কাছে আপনারা হাস্যকর হচ্ছেন। কেউতো বলে, আপনার মা স্মার্টফোনই চালাতে পারেন কি না সন্দেহ আছে। নইলে এই যুগে এসব উদ্ভট কথা বার্তাা বলতে পারেন। আর তাদের মতে, চামচারাই চামচামি করবেই। তাতে ঐ চামচাদের জন্য আপনার পিতার সম্মান নষ্ট হবে। আজ গিয়েছে, বিমান বন্দরের নাম থেকে, পরে মানুষের মন থেকেই মুছে যাবে। কারণ মানুষ যত চর্চা করবে, শেখ মুজিবের সংগ্রাম, কথাবার্তা, ইংলিশ বক্তব্য দেখে ভক্ত হবে। আর আপনাদের আচরণের জন্য একজন মুক্তিযুদ্ধা সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান সাহেব সমালোচিত হবেন।
জনাব তারেক রহমান, দয়া করে আপনি বুঝার চেষ্টা করেন। পত্রিকায় যখন আপনার সম্পর্কে লেখালেখি হলো। আপনি ছোটবেলা পড়া লেখা করতেন না। আপনাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আপনার ভাই যখন নেশা গ্রস্থ হতো। তখন আমার সামনে অনেক লোক বলে, এত ভালো মানুষ জিয়াউর রহমান ছিল, কিন্তু তার ছেলেদের মানুষ করতে পারলো না। পড়ালেখা করাতে পারলো না। এটা আপনাদের জন্য আপনার পিতাকে দোষারূপ করা হচ্ছে।
জনাব তারেক রহমান, দয়া করে থামেন। আপনার লোকদের থামান। পৃথিবীর কোন জারজ সন্তানও তার পিতার ডিএনএ টেস্ট নিয়ে বাড়াবাড়ি করে না। চেষ্টা করে লুকিয়ে রাখতে। পৃথিবীর কোন জাতিই তার জাতিকে নিয়ে সমালোচনা করে না। আলোচনা হতে পারে কিন্তু সেটার ভাষাও মার্জনীয় হওয়া চাই। আমি যদি কোন অমার্জনীয় শব্দ ব্যবহার করে থাকি, তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
সব শেষ কথা, আমাদের সবার মুক্তিযুদ্ধ বা জাতির পিতা বা জাতীয় বীরদের নিয়ে সমালোচনা বাদ দিতে হবে। সাথে সরকারের কাছে আমাদের দাবি পৌছাতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কোন ভূল তথ্য দিবে, তার রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ঐ ভুল তথ্য দাতাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।