এবার ঈদের দিন সকাল থেকেই বৃষ্টি। যাই হোক না কেন ঈদের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেলাম। প্রথমে ইমাম সাহেব কিছু নসিহত মুলক কথা বললেন। যদিও সুন্নাহ হচ্ছে রাসুল সাঃ ঈদগাহে প্রথম যে কাজটি করতেন তা হল সালাত। আমাদের এখনে ঈদের জামাত ছিল ৮.৩০ এ। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের ঈদের নামাজের নিয়ত শিখালেন। প্রথমে আরবিতে বললেন। তারপর বললেন যারা আরবি পারবেননা তাঁরা বাংলা এই নিয়ত বলবেন...। এভাবে তিনি নিয়তের বাক্য গুলো নির্ধারিত করে একটি সুস্পষ্ট বিদআত করলেন। এরপর নামাজ পরালেন ৬ তাকবিরের সাথে (৬ এবং ১২ উভয়ই সহিহ । তাই ১২ তাকবিরের পাশাপাশি ৬ তাকবীরও মাঝে মাঝে অনুশীলন করা উচিত।)।
এরপর নামাজের ২য় অংশ অর্থাৎ খুতবা দিলেন আরবিতে।
আর এর কিছু কুফল লক্ষ করলাম।
১.
কিছু ছেলে মোবাইল এ গেম খেলছিল।
২.
কেও কেও মোবাইল এ কথা বলছিল
৩.
আর মানুষ পরস্পর কথা বলছিল।
৪.
কেও কেও ঝিমুছছিল।
এতে করে খুতবার যে মহৎ উদ্দেশ্য (সাধারন মানুষকে নসিহত করা।) তা অসম্পূরন থেকে যাচ্ছে।
আর এর মুল কারন হচ্ছে ৯৮ % মানুষ ইমাম সাহেবের সুর করে পরা কথা গুলো কিছুই বুঝতে পারছিলনা।
এর রিমিডাল হিসেবে আমাদের দেশের অলামায়ে কেরাম বাংলায় আলোচনার প্রছলন করলেন, যা একেবারে শুরুতে দেয়া হয়। কিন্তু তাঁরা সমস্যার মুলে না গিয়ে নতুন একটি বিদাতের সূচনা করলেন।
আর এ সমস্যার সঠিক সমাধানটি হল খুতবা মাতৃভাষায় দেয়া। এতে খুতবার লক্ষ উদ্দেশ্য পুরন হয় এবং অধিকাংশ মানুষ খুতবার দিকে মনযোগী হবে।
এরপর ইমাম সাহেব মিলাদ পরালেন এবং আরও একবার বিদআত করলেন।
সবশেষে সম্মিলিত মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ করলেন।
আল্লাহ্ আমাদের কে বিদাতের কাল থাবা থেকে রক্ষা করুন । আমীন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




