somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাগীদার..

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ভাগীদার..


মেজাজটা খিচড়াইয়া গেল কেরামইত্তার । যাইবেই তো । এডা আবার নতুন কোন আপদ আইসসা জুটছে । নিজেরই চলেনা ঠিক মতোন, নুন আনতে পান্তা ফুরাইন্নার অবস্থা হের উফরে আবার নতুন ভাগীদার আইছে । এ্যাদ্দিন এইহানে চার জনে মিইল্লা আছিলো তো ভালোই । হুদা বাসষ্ট্যানের এই জায়গাডার বখরা দেওয়া আছে পুলিশগো । হাত পাইত্তা যা পাওয়া যায় হের থেইক্কা পুলিসগো দিয়া থুইয়াও লোকাল মাস্তানদের নিয়মিত ফেনসিডিল, গাজার আসনাই মিডাইতে হয় । এইয়ার বাইরে তাগো রাজ্য নাই । থাকলেও হেহানে অন্য রাজাগো রাজত্ব । হেগো প্রবেশাধিকার নাই । হের উপর আবার নতুন এই ভাগীদার, তা ও আবার মাইয়ামানুষ ।

হিসাবটা ঠিক মেলাতে পারেনা কেরামত আলী সিকদার ওরফে কেরামইত্তা ।

কি যেন নাম কয় রোগটার.. পোলিও না ফোলিও, হেতেই হেই ল্যাংডা বয়স থিক্কা লুলা অইয়া যাওয়া দুই ঠ্যাং নিয়া হাতে বানাইন্না হুইল চেয়ার ঠেইল্লা ঠেইল্লা ইনাইয়া বিনাইয়া দিনশ্যাষে হের কামাই শ’দুই । চাইরজন হাত-পাতনেওয়ালাদের মইধ্যে হের আয়-রোজগারডাই বেশী ল্যাংড়া হওয়ার সুবাদে । আইজ কাইলকার মানুষগুলোও কেমন যেন বজ্জাত আর হারামী অইয়া গেছে । তিন টাহা চাইর টাহা দামের খবরের কাগজ কেনার পরে ফেরত পাওয়া খুচরা খাচড়া এক-দুইটাহার বেশী দান-খয়রাত করতে যেন হাত আর ওডেনা মানুষগুলানের । কপালডা ভালো থাকলে দু’একজন যে বেশী দেয়না, হেডা না ।
ক্যারে বাপ, পাঁচ-দশ টাহার একটা নোট দিলে কি অয় ! হেতে কি তোগো ট্যাকে টান ধরবে বেআক্কল ! দুইআনা চাইরআনার যুগ তো গেছে হেই কবে বাপ-দাদার আমলে ।

মনে মনে এইরকম বাপ-বাপান্ত করা তার নিত্যদিনের খাসলত ।

পেরথমে ভাবছিলো, মাইয়া মানুষটা নেহায়েত ভুল কইররাই এইহানে আইয়া পড়ছে । সিনামার একটা গানও মনে পড়ছিলো হের ।
“পুরান পাগলে ভাত পায়না...” । হয়তো ভাত না পাইয়া একদিনেই ওই আবাগীর বেডিও চইল্লা যাইবে এইহান থাইক্কা, এমোন ধারনা জন্মাইছিলো হের । কিন্তু আইজ কুড়ি – পচিশ দিন হইয়া গেল, বেডির নড়ন চড়ন নাই । কুড়ি – পচিশ দিন না আরও বেশী ? হিসাবেরও ঠিকঠিহানা থাহেনা আইজ কাইল। একটা সিলভারের বাডি হোমকে ফালাইয়া রাইকখা কেমনে হাত পা ছড়াইয়া পাগলীর মতো পেরথম দিন যেমন বইয়া আছিলো, আইজ এ্যাদ্দিন পরেও ঠিক হেমন কইররাই বইয়া রইছে । বে-শরম ।

আসলেই পাগল না ...কি ?

হুইল চেয়ারডা ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া ভিক্ষা খোজার উছিলায় বার তিন পাগলীডার চাইরপাশে চক্করও দিয়া আইছে হে রোজ । আত্মসম্মান আছে কেরামইত্তার । চাইরজনের দলের লিডার হে । আগ বাড়াইয়া প্রতিদন্ধীর লগে কথা কওন হের সাজেনা । দ্বিতীয় দিনে পাগলীডার ঠিকুজি বাইর করার ভার দিছিলো এক চোউক অন্ধ বুড়ী আবুইল্লার মা’য়েরে । আবুইল্লার মা কোনও কিছু বাইর করতে পারে নাই মাইয়া মানুষটার প্যাড থিক্কা । মাগী নাহি মুক-ই খোলে নাই । কেবল কিছুক্ষন উদাস দৃষ্টিতে তাকাইয়া আছিলো আবুইল্লার মার দিগে তারপরে আগের মতোই মন দিছিলো জট লাগা চুল থিক্কা উঁকুন বাছতে । “হুমমমম....পাগল, শেয়ান পাগল না হইলেই বাইচ্চা যাই” , মনে মনে নিজেরে শ্বান্তনা দেয় কেরামইত্তা ।

হের নাম কেরামত আলী সিকদার অথচ ব্যাডারা ক্যান যে হেরে হুদা কেরামইত্তা কইয়া ডাহে ! এই এউক্কা অভিমান তাই অনেকদিন থাইক্কাই বাজে বুহে । মাইনষের দয়ায় যে জীবন চলে হেতে বেশীক্ষন এই অভিমানের চারাগাছে পানি ঢালা চলেনা । কেরামইত্তার ও চলেনা । চলার কোনো সুযোগও নাই । তাই নিত্যকার মতোই মন দেয় হাত পাতায় । আইজ তিন দিন পরে হের খেয়াল হইল, জমা কম হইতেছে । বিশ্ব এজতেমার দিন যতোই ঘনাইয়া আইতেছে মানুষ ততোই আইতেছে বানের লাহান । অথচ রোজগার-পাতি কমতেছে ।
কিল্লইগগা ?
থাইক্কা থাইক্কা প্রশ্নডা হের মাথার মইদ্যে চাগাড় দিতে থাহে । দুদ উতলাইন্নার মতো খালি বলক দেয়, খালি বলক দেয় । উত্তরডাও পাইয়া যায় আবুইল্লার মার কাছ থেইক্কা ।
-“ওই মাগী আসলে পুরাপুরি পাগল না । মাতায় এট্টু ছিড আছে মনে হয় । হগল ব্যাডারা হেরে পয়সা দিয়া যায়.. ।” আর কি মিডা একখান যে হাসি দ্যায় মাগী !
যুগপৎ স্বাইক্ষ্য দেয় আর দুই’জন । দুই চোউক অন্ধ আজাহার মোল্লা আর সর্ব কনিষ্ঠ দিল্ল্যুয়া ওরফে দিলদার হোসেন । দিলদার হোসেনের বেত্তান্তডা কি ?
কেরামত আলীর এমোন প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিলো দিলদার হোসেন ওরফে দিল্ল্যুআ’ কে এই সিন্ডিকেটে ঢুকতে ।

-“ রিকসাওয়ালা বাপ আর একটা বিয়া কইররা মায়েরে আর মোগো হালাইয়া গ্যাছে । আর মায় মোরে আর দুই বুইনেরে নিয়া পড়ছে পান্তে ।”
আট - নয় বচ্ছরের দিলদার হোসেনের উত্তরডা ছিলো এরহমডাই, একদম নামতা পড়ার মতো । আর হেই থেইক্কা প্যাড নামের নিঠুর বাস্তবতার লগে হাতখড়ি দিল্ল্যুয়ার । বাসষ্টানে খবরের কাগজ ফেরি করা আর ভিক্ষা, এক লগে হের দু‌ইডা কাজ । কেরামইত্তার সুবিধা এই, মাঝেমাঝে দিল্ল্যুয়া তার হুইল চেয়ারডা ঠ্যালে । হেই সোমায় হাতে এট্টু আরাম পায় কেরামত আলী । আর আজাহার মোল্লার লাভ যে, দিল্ল্যুয়া কখনো কখনো তার পার্ট টাইম হেল্পার । লাডি ধইররা টাইন্না টাইন্না লইয়া যায় । বাসে তুইল্লা দেয় আবার নামাইয়া ও আনে কখনো কখনো ।

স্বাক্ষী দুজনার কাছ থেকে যা জানা গেল তার সারমর্ম হলো এই -
- মাইয়াডা পাগল না । দিল্ল্যুয়ার লগে ঠিকমতো কতাবার্তা কয় । কার বার্তে কেডা আছে হেইডা জিগায় । মনে অয় এক্কেরে খারাপ না ।
তয় দিল্ল্যুয়া একটা গোপন কতা কিন্তু এই সমাবেশে গোপনই রাহে । হোমকে রাহা সিলভারের বাডিতে যত পয়সা জমা অইছিলো দ্বিতীয় দিন পাগলীডা দিল্ল্যুয়ারে তার থাইক্কা কয়েকটা টাহা দিয়া কইছিলো- “
- মুখটা শুকনা লাগতিছে যে । আয় বাবা চা আর রুটি নে আয়, তুই আর হামি খাবোনেনে ।”
দিল্ল্যুয়া চা দিয়া রুডি ভিজাইয়া খাইতে খাইতে ভাবছিলো - বাহ.. বেশতো মাগনা খাওয়া । এ্যাদ্দিন এগো লগে থাইক্কাও এইরহম কেউ-ই হেরে খাইতে কয় নাই । দিলদার আলী খাইতে খাইতে আড়চোউক্ষে অবাক হইয়া দেখতে আছিলো পাগলীডারে । নির্বিকার বইয়া থাহে সব সোমায় । অথচ এহোন কেমন হাসিহাসি মুখে হের দিকে চাইয়া রইছে । ঠিক দিল্ল্যুয়ার মায়ের চোউক দুইডার মতোন চোউক দিয়া যেন কইতেছে - আর দুইডা ভাত দেই তরে ?
হের পরের দিন আবারও পাগলীডা হুদা তারে না , সবাইরে রুডি কিইন্না খাওয়াইলো ।
কেরামইত্তার উফরে তার অনেক রাগ হয় । কেরামইত্তার অর্ডার দেওয়া আছে, ঐ পাগলীডার ধারেকাছে না যাইতে -
... যদি দেহি কোনও কামে হের কাছে গ্যাছো তয় খবর আছে তোগো । আর নাইলে মাগীরে যাইতে ক এহান দিয়া । ভাগ বওয়াইতে আইছে হারামজাদী !
কেরামইত্তা যেনো মার্শাল – ল জারি করে ।

পুরো পাগল হোক কিম্বা আধ-পাগল, তাদেরও তো কাজ থাকে । মেয়ে মানুষটাকে মাঝে মাঝে উধাও হয়ে যেতে দেখে কেরামত আলী । কোথায় যায় ? কার কাছে যায় ? কে আছে তার ? তবে দিন দিন যে এই পাগলীর চেহারাটা খোলতাই হচ্ছে তা নজরে বেশ লেগে থাকে কেরামত আলীর ।

মোনের মইদ্যে কেমোন জানি করে এট্টু । সিনামার শাবনুরের চেহারাডা ভাইসসা ওডে চোকখুতে । মোনের মইদ্যে এই আকামইয়া ভাবনারে ঠাই দেওয়া ঠিক না । তোবা ...তোবা... । মাতার টুফিডারে টাইন্না ঠিক করে । ভিতর ভিতর ফুসলাইয়া উটতে থাহে কেরামইত্তার মেজাজ । এত্তোদিনের সাঙ্গপাঙ্গো তিনজনেই ক্যামন যেন দুর দুর থাহে আইজকাইল এইডা হের চোউক এড়ায় না । ঐ মাইয়া মানুষটা আওয়ার পর থিক্কাই সব কিছু ক্যামন ক্যামন যেনো হইতেছে । ভালো না...ভালো না । মনের মইদ্যে গজরাইতে থাহে কেরামইত্তা । পাগলীডার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে । মাগী যে কই কই যায়, হেআন দিয়া আর ফিইররা না আইলেই ভালো ।

গত দুই দিন থিক্কা আবার হরতাল দেছে ক্যারা য্যানো । কামাইপাতি কম হইবে এইডা ভাব্বিয়াই কাইল দিয়া মেজাজটা হের তুঙ্গে । হরতাল মাইনেই গন্ডোগোল যত্তো । কোনহান দিয়া কেডা যে বোমা মারে , কেডা যে গাড়ী ভাঙে, ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় । তহন তো পুলিশেরা যারে হোমকে পায় হেরেই মারে । হুইল চেয়ারডা সাবদানে ঠ্যালে কেরামইত্তা ।
এই যাহ্... গন্ডোগোল তো লাগলোই । মিছিলকারীরা ওবারব্রীজের নীচে আইতেই পুলিশেগো লগে লাগলো মাইর । ধুমমমমম. কইররা একটা বোমাও ফাডলো এইমাত্তর । একটা ছোড মিনিবাসে আগুন দেছে যেন ক্যারা । মাইনষেরা দৌড় আর দৌড় । পুলিশেরা লাডি নিয়া । মোনে অয় কেয়ামত আইয়া পড়ছে । বাসষ্ট্যান ছাইররা জোরে জোরে হুইল চেয়ারডা ঠ্যালে কেরামইত্তা । উলডাইয়া যায় হের হুইল চেয়ারডা মাইষের ধাক্কায় , পুলিশের লাডির বাড়িতে । ল্যাংড়া ঠ্যাং নিয়া আছড়াইয়া পড়ে কেরামইত্তা রাস্তার পাশে । মাতাডা গিয়া টাক খায় ফুটপাতের ইডার লগে । রক্ত এট্টু বাইরাইছে কি মাতা দিয়া ? কফাল ডা কি ফাটছে ? একটা চোউক আডা আডা লাগে ক্যা ?
হাতটা বাড়াইয়া দ্যায় কেরামইত্তা । কেউ যদি এট্টু উডাইতো হেরে । হালার পুত দিল্ল্যুয়া ও এহোন নাই ধারেকাছে । কোতায় যে গেছে চু..... বাই !

কেউ নেই । বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও । বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে।

চাইরপাশ দিয়া মানুষগুলান জেবন লইয়া দৌড়ায় । কেউ হের দিগে ফিইররাও চায় না । জোরে জোরে ট্যাং দুইডারে টানে কেরামইত্তা । ট্যাঙে জোর নাই । চোহে ঝাপসা ঝাপসা দ্যাহায় সব । হুইল চেয়ারডা কই ? ওইডা ধর্তে পারলেও অইত । খাড়াইতে পারতো এট্টু । হাত দুইডা দিয়া হে আবার শূন্যে হাতড়ায় । এই সোমায় কেডা য্যানো হাত দুইডা ধরে , হ্যাচকা টান মারে ।
- আন্নে আজি বাইরিয়েছেন ক্যানে ? মরিতে ? দ্যাখেন নাই কালিকে কত্তো গন্ডোগোল হইয়েছে ?
মুহের কাছে কেডা য্যানো কতা কইয়া ওডে । হের পর দুইডা হাতে জাবরাইয়া ধইররা হেরে হুইল চেয়ারে বওয়াইয়া দ্যায় । তারপর ঠ্যালতে ঠ্যালতে নিয়া যাইতে থাহে । এতুক্ষনে কেরামইত্তার য্যানো হুশ অয় । মুক দিয়া এইবার কতা বাইর অয় –
- এই মাগী, তুই তাইলে বাইরাইছো ক্যা ? মুই মরলে তোর কি ?
- তয় আন্নে মরি যান । আই চলি যাতিছি ।
চেয়ারডারে কাউল্লার আধখোলা চায়ের দোকানের সামনে রাইকখা ঠ্যালাওয়ালী চইল্লা গেলে কেরামইত্তার ভিত্রে কি জানি অয় ।

যে আবাগীর বেটিরে তাড়াতে পারলেই কেরামত আলীর মনে স্বস্তি জুড়তো , গায়ের জ্বালা কমতো সেই আবাগীর বেটি তার চোখের সামনে দিয়ে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে । তার চলে যাওয়া পথে তাকিয়ে থাকতে থাকতে পোড়া বারুদের গন্ধ নয় , নাকের কাছে কিসের একটা মিষ্টি সুগন্ধের আভাস টের পায় কেরামত আলী ।

আইজ মানুষজন কম । কম তো অইবেই ! দুইদিন থিক্কা আবার হরতালের লগে কি য্যানো দেছে ক্যারা । কি জানি কয় , অবরোদ । হেইডা আবার কি ? এরে ওরে জিগাইয়া কেরামইত্তা বুইজ্জা যায়, অবরোদ কি ! কয়দিনের অবরোদ হেডা কেউ কইতে পারে নাই । মনে মনে দোয়া করে, মাইনষে জানি অবরোদ না মানে । মানলে এই আমাগো মতো ফহিরগুলা খাইবে কি ? তয় রুজির মালিক আল্লায়, হে একটা ব্যাবস্তা করবেই !

বাসষ্ট্যানে আইজ ভীড় নাই খুউব । বাস ও কোম কোম। হের সাঙ্গ-পাঙ্গোরাও নাই ধারে কাছে । দুইদিন যাবৎ দিল্ল্যুয়ার দ্যাহা নাই । দ্যাহা নাই আরেকজোনার ও । ক্যামোন যানি থমথইম্মা চাইরদিক । থমথইম্মা কেরামত আলীর মোনডা ও । কেমন য্যানো খাইল্লা খাইল্লা লাগে ।
আইজ দুইদিন ভাগীদার আধ-পাগলীডার দ্যাহা নাই । মাজে মইদ্দ্যে যেরহম উধাও অইয়া যায় আইজ দুইদিন থাইক্কা তেমনি হের পাত্তাও নাই ।
চিন্তাডা পুস্কুনিতে ইডা ছোড়ার মতো টুপ কইররা পইড়রা ঢেউয়ের লাহান ছড়াইতে থাহে কেরামইত্তার মোনে । অবরোদে পাগলীডা আইবে কেম্নে ! আইতে পারবে তো ! নাহি আইবেনা ! মোনডা খোঁস-পাচড়ার মতো চুলকাইতে থাহে । হাত দুইডা থমকাইয়া থাহে হুইল চেয়ারের চাক্কায় । চোউক দুইডা চাইয়া থাহে কোতায় জানি । বুহের খাচার মইদ্দ্যের পাখিডা ঝাপটায় ।
আইতে পারবে তো !
আইবে তো হে !

বাসের দরজায়, রাস্তার এ মাতায় ও মাতায় চোউক ঘোরে হের রোজকার লাহান । কই, কাউরে কি দ্যাহা যায় ?
ঐতো ..... ঐ তো ...আবাগীর বেডি আইতেছে কাউল্লার চা দোহানের সামনে দিয়া । লগে দিল্ল্যুয়া । কতা কইতে কইতে আইতেছে আবার হাসতেও আছে দুইজনে ।
মনে মনে গাইল দেয় কেরামত আলী “.....ওরে হারামজাদা দিল্ল্যুয়া...... আয় তুই , আইজ তোরে দ্যাহামু .... “

আধফোঁটা ফুলের মতো একটুকরো হাসি ছড়িয়ে যেতে থাকে কেরামত আলীর মুখে ।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
১৮টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×