somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সরকার। কৌমিদের জালিয়াতি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান শাকিবের "সন্তান যার যার বউ
সবার" মুভিটি তখনকার "তেতুলতত্ত্ব" মুভির
কাছে শুধু ফ্লপ না 'চুপার ফ্লপ'। তেতুলতত্ত্ব
টি এত হিট ছিল।
দেওবন্দ থেকে ফতোয়া আসল "মেরে
সরকারি সামান নেহি দরকারি"। হাত
তালি দিতে দিতে চামড়া উঠাইয়া
বলেছিলাম 'এ কলি যুগেও সত্যিকার ইসলাম
আছে।'

যখন ভুল ভাঙ্গিলঃ তেতুলতত্ত্ব যখন
পুরোদন্তে ব্যবসা করিয়েই চলেছে ঠিক
তখনি সেই তত্ত্বের জনক আসিলেন সিলেট
আলিয়া মাঠে দরগাহ মাদ্রাসার
দস্তারবন্দীতে। প্রিয় একজন নায়েক
আসিবেন শুনে হুরহুর করে সাথে কয়েকজন
সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে উপস্থিত হইলাম
পিন্ডালের নিচে। নিশ্চিত ছিলাম হয়
শরীর বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে
অথবা আমদানিকৃত মস্ত কোন ফতোয়া নিয়ে
আলোচনা হবে। সব ভুল টুটিল বটে
শরীরতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা হয় নাই কিন্তু
খাদ্যতত্ত্ব নিয়ে বিশদালোচনা হইল।

"তোম্রা মনে কর এদের সরকারি কোন
ভাতা নাই এরা খায় কি?
কিন্তু তোমরা জাননা তোম্রা যাহা
বাপের জন্মেও দেখ নাই তাহাই আম্রা
খাই"।
# ইহাকেই_বলে_ডাবলস্ট্যান্ডবাজী ।

★আমার/আমাদের বাপের জন্মেও দেখিনি
তারা সরাসরি কোন সরকারি ভাতা
পাইতে।
★আমার বাপের জন্মেও দেখি নাই এভাবে
একটি তত্ত্ব সুপার হিট হয়।
★আমার বাপের জন্মেও দেখি নাই কেউ
নিজ রক্তের সাথে বেঈমানি করে।
★আমার বাপের জন্মে অনেক কিছু দেখা
হয় নাই তবে এখন থেকে দেখব।
.
.

এদিকে চুত্মারাণী হইয়া গেছে পীরে
সাহেব্জাদা। গ্রীকমূর্তিয়ান্দোলনের
"হার্টথ্রব নায়েক"।
গ্রীকমূর্তি শুধু হাইকোর্টের সাম্নে ক্যান?
আম্রা চাই ইহা হোক প্রতিটি জেলা
শহরে। প্রতিটি মসজিদের সামনে এবং
পিছনে। হাটে-ঘাটে।
পহেলা বৈশাখে মঙ্গলশুভাযাত্রা সব
সরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারি ভাবে পালন
করুক।
# ইহা_আম্রা_চাই । # মন্তেকে_চাই ।

এদিকে মসজিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধত্ব!
সাম্প্রদায়িকঙ্ঘম দেশে মসজিদ-মন্দির
থাকিবে সমান। গ্রীকপুরাণে
আছে।
মরুর দেশের বালুকণাও চায় না তাদের উপর
ছোটছোট মসজিদ করুক হন্টক। তাই বালুর
ঝড়্রে ডুবিয়ে দিয়েছে ছুডুছুডু মসজিদ গুলো।
আমার দেশে নেই বালুকণা তবে ভয় নাই ডর
নাই আছে জুব্বাওয়ালা/ওয়ালিরা।
ডুবুক সব ছুডুছুডু মসজিদ। মাথাচাড়া দিয়ে
জাতির সাম্নে উদিত হোক গ্রীকমূর্তি।
#ইহা_আম্রা_চাই। #মন্তেকে_চাই।
# জয়বাংলা ।


একজন প্রশ্ন করলেন "তাহাতে আপনাদের এত জ্বলে কেন? "
উত্তর দিলাম এভাবে...

"আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পূর্বে আমি
একটা প্রশ্ন এবং কিছু কথা বলব। প্রশ্নটি
হল.. আপনাদের বলতে কাদের বুঝাতে চাচ্ছেন?
আপনি/আপনারা হয়ত জানেনইনা যে
কৌমি মাদ্রাসাকে এদেশের সর্বস্তরের
মানুষ প্রান দিয়ে ভালবেসেছিল বলে
এতদিন দেদারসে কাটাইতে পারছেন। এবং
সরকারিওয়ালাদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার
করেছেন।

নিজ কানে শুনা কয়েকটি
ফতোয়াবাজি..
১। উঁচা টুপি পরা হারাম- সেই টুপি
এখন হালাল ফ্যাশান।
২। কাটা পাঞ্জাবী
হারাম- কজনে এখন লম্বাকোর্তা পরে?
৩।পাতলা পাঞ্জাবী হারাম- আর এখন হালাল
ফ্যাশান।
৪। ছবি তোলা হারাম- বিবর্তন
হইয়া হয়েছে "প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা
হারাম"। -সবাই এখন পরিবর্তন হইয়াছে-
অনেকে এখন ফেবুতে ছবি ছাড়ে।
কাড়িকাড়ি প্রমাণ আছে।
৫। ইংরেজি পড়া হারাম- এখন ইহা ছাড়া চলেনা।
৬। স্যান্ডু গেঞ্জি হারাম- এখন তাহাও
লাগেনা।
৭। মহিলাদের শিক্ষার ব্যাপারে "হারাম হারাম হারাম"। - এখন
কৌমি মহিলা মাদ্রাসা আছে।
ইত্যাদি ইত্যাদি ছাড়াও যাহা আলিয়া মাদ্রাসা
করত সব হারাম ছিল এখন ধীরেধীরে হালাল
হইতেছে।

আম্রা জন-সাধারণ সব দিয়ে
সাহায্য করেছি বিনিময়ে তারা দিয়েছেন
হালাল-হারামের অত্যাচার। বলেছেন..
আপ্নাদের এত জ্বলে কেন? উত্তর দেই..
কালকে এসে যে বিষয়টি আবর্তনের
মাধ্যমে হালাল হইল তাহা আমাদেরকে
কিছুকাল পূর্বেও বলা হয়েছে হারাম।
নিজেদের এখন বড্ড বোকাবোকা লাগে।
তিক্ত হইয়া হঠাৎ করে বলিয়া উঠিলাম
"আজ থেকে সকল গোঁড়ামিপূর্ণ লোকদের
থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখিব। "
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×