somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিলিংস!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জন্মের দিন হাসপাতালে থাকলেও পরদিন থেকে তার মায়ের সাথে ইয়ামিন কে থাকতে হচ্ছে পথে। গতকালও দেখা মিলেছিল! আজ রাতে টার্গেট করেই গিয়েছিলাম তাকে দেখতে। মা বাবা দুজনসহ আরও পথে থাকতে বাধ্য শিশু ও মানুষজন বসে ছিল খোলা আকাশের নীচে মশার সাগরে। প্রয়োজন আবাসস্থল। সামর্থ্য নেই! একবার ভেবে দেখুন কেমন পরিস্থিতি? যে শিশুর বয়স দুই দিন সেও লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখের সামনে পথে থাকছে। কি শীত আর কি যে মশা! একবার ভাবলাম মা সহ থাকতে পারে মত বড় মশারী কিনে দিই। তারা বলল তা কিভাবে টাংগাবে? আমার সাইকেল আমার বড় বন্ধু সে আমাকে নিয়ে গেল আশকোনা মার্কেট এলাকায়। কিনে আনলাম কিউট বেবীর জন্য মশারী। তার ভিতর বেবীটিকে রেখে দেখছিলাম আর ছবি তুলছিলাম তখন মনে হচ্ছিল পৃথিবী পেয়েছি! কি আনন্দ বলে বুঝাতে পারবো না। মনে হচ্ছিল বাবুটার পাশে সারারাত এভাবে বসে থাকি।

আজ যেন মানুষের সত্য প্রেম সত্য মায়া হারিয়ে গেছে। সব মনেহয় টাকায় মেপে মেপে চলে। আমরা বুঝছি না কোথায় মজা কোথায় আসল? তথাকথিত সৌখিনতার খরচে আজ আমরা বাধাহীন উন্মাদ ! একবার পাঁচ শত টাকা দিয়ে বার্গার না খেয়ে কমদামি সেফ ফুড খেয়ে অবশিষ্ট দিয়ে এ রকম অসহায় শিশুদের দিয়ে দেখুন। তারপর বলবেন! সে সকল শিশুর তৃপ্তির গভীরতাকে যদি আপনি ধরতে পারেন তাহলে এ কাজের জন্য পাগল হয়ে যাবেন। কারণ আমরা তো মানুষ! কোমলমতি অসহায় অভুক্ত অসুস্থ শিশুর তৃপ্তির হাসি এ পৃথিবীর সেরা এক জিনিস! আমাদের সমস্যা হলো আমরা কষ্টের কাছে যায় না তার সাথে মাখামাখি করি না। তা না হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে জিরো বয়সের বেবি আর তার মা কিভাবে খোলা অাকাশের নীচে থাকে?? কিসের ভোট? কিসের গনতন্ত্র? এজন্যই এহেন গনতন্ত্রকে ঘৃণা করি। খালি শুনি গনতন্ত্র লুন্ঠিত! যেখানে মানবতা লুন্ঠিত সেখানে আবার কিসের গনতন্ত্র? গনতন্ত্র কার জন্য? লেখার অধিকার চাই! কলমের অধিকার চাই! সহ্য না হলে ব্রাশফায়ার করুন তবুও শান্তি পাব! এ সকল চিত্রের সম্মুখীন তো আর হব না। কিছুক্ষণ আগে দেশের এক নং একজনকে মোবাইলের দুই একটা ছবি দেখিয়েছি। শুধু জিজ্ঞেস করেছি আপনার আমার বাড়ির পাশের রাস্তায় গভীর রাতে মাসুম শিশুদের এ কেমন চিত্র? বলুন আমাদের কি হবে?
তাই বলছি বন্ধুগন ভেবে দেখুন! আপনি অনেক করেন বুঝলাম কিন্তু চোখের সামনে আগুন লেগেছে তখন কি অনেক করছেন ভেবে অন্ধের মত চলে যাবেন নাকি দৌড়ে গিয়ে পানি দিবেন? আপনি দশটা এতিমখানার খরচ বহন করলেও যখনই আপনার চোখের সামনে শিশুর গায়ে আগুন লেগেছে দেখেন তখন কি চলে যাবেন? আমি তো মনেকরি অবশ্যই না! যদি চলে যান তাহলে মনে করব আপনার ফিলিংস সত্য না। আপনি হিসাব করে চলেন। মনে রাখবেন মানবতা বা ট্টু ফিলিংসের কোন ব্যারিকেড় বা কোন বর্ডার বা ধর্ম নেই! বিবেচনা করতে হবে কষ্টে যে শিশুটি আছে, সে একান্তই আপনার শিশুর মত!
দয়াপূর্বক!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×