সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। চারিদিকে একটা থমথমে ভাব আছে। ভ্যপসা টাইপ একটা গরম। ভালো ঝড় হবার লক্ষন। হোসেন, তার মেসের বিছানায় শুয়ে জানলা দিয়ে আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো দেখছে। ছোট বেলায় মনে হোতো উপর ওয়ালা বুঝি ক্যামেরা দিয়ে মানুষের ছবি তুলছেন।
এই বড় হয়ে যাওয়াটায় একটা ঝামেলার বিষয়। মেঘে মেঘের বিবাদের প্রতিফলন ঐ বিদ্যুৎ চমকানো অথচ নিজেরা ছোট বেলায় কত কিছু ভেবে নেয়া যেত। এ কারনের কিছু প্রশ্নের উত্তর না জানাই ভালো। ঝড় বৃস্টির সময়,হোসেনের পোলাও খেতে ইচ্ছে করে বেশ। বেগুন ভাজা, পোলাও, কষানো মুরগি আর লেবু।এই বিষয়টা মনা মিয়া খুব ভালো জানে। বৃষ্টি শুরু হলে, পোলাও সন্ধানে যাত্রা শুরু করতে হবে। ভিজতে ভিজতে প্রচন্ড ক্ষুধা বোধ হয়, ভেজা শরীরে মাজখানে কোনো টং দোকানে চা খেতে হবে। এরপর আবার যাত্রা শুরু।
শহরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হোলো, মাটির সোদা গন্ধের বদলে ম্যানহোলের ময়লার গন্ধ বেশি আসে।
সমস্যা নেই, এডজাস্ট করে নিতে হবে খানিক।
মানুষের সারাটা জীবন ই কেটে যায় এই এডজাস্টমেন্টে। এমন ও হতে পারে, একজন মানুষ হয়ত তার জীবনের ৮০% বিষয় ই
এডজাস্টমেন্ট করে যায়, যেন বাকি ২০% এ এডজাস্টমেন্ট না করতে হয়। হয়ত সে চায় না এডজাস্ট করতে। হয়ত সেই ২০% বিষয় তার একান্ত, সগোপনে আগলে রেখে পেলে পুষে বড় করা কোন ইচ্ছে, কোনো আকাঙ্ক্ষা। হতেই পারে।
তারপর ও তাকে সেটাও এডজাস্টমেন্ট করতে বলা হয়। এক জীবনে থাক না কিছু বিষয়, নাই ই হোলো এডজাস্ট। থাকলই না হয়, জীবনের রেজাল্ট শীটে কিছু লাল দাগ।
বাতাস ছুটতে শুরু করেছে।
হোসেন দ্রুত রেডি হয়ে নিল।
কিছু খেয়াল আছে তার পূরন করতে হবে, যা এডজাস্ট করা সম্ভব নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৫০