১০ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে, দ্বীপ থেকে সকল লোককে সরিয়ে নেয়া হলেও একজন ধার্মীক লোক কিছুতেই উদ্ধারকারীদের সাথে যেতে রাজি হচ্ছিল না। তার যুক্তি সে সারা জীবন ঈশ্বরের উপাসনায় কাটিয়েছে, তার মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন নেই; ঈশ্বরই তাকে রক্ষা করবেন। পরবর্তিতে নৌকা নিয়ে একজন উদ্ধার কর্মী এলেন উনাকে নিয়ে যেতে, তারও পরে একজন এলেন স্পিড বোট নিয়ে। লোকটার এক কথা তিনি মানুষের সাহায্য চান না ঈশ্বর তাকে সাহায্য করবেন, বলেই তিনি প্রার্থনায় রত হলেন
ইতোমধ্যে ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে সারা দ্বীপ। একটা লোক দ্বীপে আটকা পড়ে আছে জেনে রেডক্রসের হেলিকপ্টার পাঠানো হল তাকে উদ্ধারের জন্য, লোকটা আগের যুক্তি দেখিয়ে এবারও উদ্ধার কর্মীদের ফিরিয়ে দিলেন। অবশেষে ঝড়,জোয়ারে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল দ্বীপ। লোকটা যথারীতি মারা গেল।
লোকটিকে ঈশ্বরের সামনে হাজির করা হল। সে বলল- ঈশ্বর সারা জীবন তোমার প্রার্থনায় কাটিয়েছি,মিথ্যা বলিনি,মন্দকাজ করিনি। আর তুমি কিনা আমাকে উদ্ধার না করে পানিতে তলিয়ে মারলে?
ঈশ্বর বললেন- তোর জন্য আমি নৌকা পাঠিয়েছি, স্পিডবোট পাঠিয়েছে, সর্বশেষ হেলিকপটারও পাঠালাম তুই উঠলিনা, আমি তোর জন্য আর কি করতে পারি বল?
আপনি উটে চড়ে শহরে এলেন। শহরের বাইরে ‘আল্লাহ ভরসা’ বলে উটটাকে ছেড়ে দিয়ে আপনি বাজার,সদাই করতে এলেন। বাজার করে গিয়ে দেখেন উট নাই। হাটতে হাটতে উটটা কোন দিকে হারিয়ে গেছে। মনে মনে আল্লাহকে দুষলেন।
আল্লাহ আপনাকে উটটা ছেড়ে রেখে যেতে বলেন নি। ইসলাম বলছে, আপনি উটটাকে বেঁধে রাখুন। তার পরও নানা বিপদ আপদ হতে পারে,উটটা চুরি হয়ে যেতে পারে,রশি ছিড়ে পালাতে পারে, এর জন্য আপনি আল্লাহর হাওলা করুন।
অর্থাৎ নিজের জান,মাল,ইজ্জত,আব্রু রক্ষার্থে সামর্থের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করুন,যতটুকু সম্ভব নিজে ব্যবস্থা নিন তার পর আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।
ঝড় জলোচ্ছ্বাস তথা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অনেকে নামাজ,দোয়া-কালাম,খতমে খাজেগান পড়ার পরামর্শ দেন।মুসলমান হিসাবে আবশ্যই আমরা আল্লাহতে সমর্পিত, এতে আমিও নিষেধ করিনা। তবে সর্বাগ্রে নিজের সামর্থের সবটুকু দিয়ে নিজের জান,মাল,ইজ্জত,আব্রু রক্ষার চেষ্টা করুন। সামর্থের বাইরেরটার ব্যাপারে আল্লাহর সাহায্য চান।
পরিশেষে-ইন্ডিয়ার পুনে,ওড়িশায় ফণীর আস্ফালন চলছে, সামুর জনপ্রিয় ব্লগার পদাতিক চৌধুরীর সাথে আলাপ হয়েছে। উনি নিরাপদে আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২