বাংলাদেশের টিভি নাটক, মঞ্চ নাটকে অভিনয় ও রচনায় যে কজন কিংবদন্তির অবদান সবচেয়ে বেশী তাঁদের মধ্যে তিনি একজন। অসম্ভব শক্তিমান অভিনেতা তিনি।
একাধারে ছিলেন নাট্যকার, শক্তিমান অভিনয়শিল্পী, নাট্য অনুবাদক, শিক্ষক প্রাবন্ধিক। তাঁর অনুবাদের মানও এককথায় মাস্টারক্লাস।
দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত নাট্যদল নাগরিক নাট্যাঙ্গন ও নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় তাঁর হাতেই গড়া। বাংলা নাটকে মঞ্চ হোক আর টিভি হোক দুটো শাখাতেই তাঁর শক্তিমান অভিনয় ছিলো অতুলনীয়।
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো, জনতার রঙ্গশালা, দেওয়ান গাজীর কিসসা, নূরলদীনের সারা জীবন এর মতো বিখ্যাত সব মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৫৯ সালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেছিলেন। পরে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি। কর্মজীবনে দীর্ঘকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন ইনামুল হক।
আজ চলে গেলেন অসামান্য এই মহীরুহ। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এই অসামান্য মানুষটির প্রতি।