১/
এক মেজর সাহেব বিয়ে করে তার নুতন বউকে নিয়ে কোয়ার্টারে এসেছিলেন ! বিয়ের আগে কোয়ার্টারে তিনি একাই থাকতেন !বউ নিয়ে আসতেই তার কুকুরটা এমন ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে যে থামছেই না ! তখন মেজর সাহেব গম্ভীর কন্ঠে কুকুরকে বলছেন - ঘেউ ঘেউ বন্ধ কর ...এক
কুকুর ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে--
মেজর সাহেব বললেন - ঘেউ ঘেউ বন্ধ কর ...দুই
কুকুর ঘেউ ঘেউ বন্ধ করে নি !
মেজর সাহেব চিৎকার করে বললেন - ঘেউ ঘেউ বন্ধ কর ...তিন
বলেই তিনি গুলি করে কুকুরকে মেরে ফেললেন !
মেজর সাহেবের স্ত্রী আতংকে, রেগে বললেন - তুমি মানুষ না কসাই ? সামান্য কারনে একটা জীবের প্রান নিয়ে নিলে ? তোমার এই স্বভাবের কথা জানলে তোমাকে বিয়েই করতাম না !
মেজর সাহেব তখন আরো গম্ভীর গলায় বললেন - চুপ করো ...এক
সেই দিন থেকে বউ একদম চুপ হয়ে গিয়েছিলেন !
আমার ইচ্ছে ছিলো আমিও মেজর সাহেবের মত করবো ! কিন্তু আমার কেসটা একটু ভিন্ন !
আমার ক্ষেত্রে মেজর সাহেবের কথাগুলো আমার আগে বউ বলে দিয়েছিলো ! সেই থেকে আমি চুপ !
২/
শহরের বড়ো এক রেষ্টুরেন্টে খেতে গেলাম,, দেখি প্রত্যেক ওয়েটারের পকেটে,, 4/6 টা করে চামচ রাখা রয়েছে।।
ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করলাম -- "পকেটে এতোগুলো চামচ রয়েছে কেনো??"
ওয়েটার বললো - "স্যার,, আমাদের হোটেল মালিক সিষ্টেম ঠিক করতে,, শহরের নামকরা "কাউন্সিলেন্সী ম্যাকেনজি"-কে নিয়ে আসেন।। ম্যাকেনজি বলেন,, কেবলমাত্র চামচ নিয়ে আসার জন্য,, এক একজন ওয়েটার ডেলি,, 10/12 বার কিচেন রুমে গিয়ে থাকে।। এর কারনে,, ওয়েটার প্রতি মান্থলি প্রায় 15 ঘন্টা অপচয় হয়ে যায়।।"
খাওয়া এবং ওয়েটারের সঙ্গে কথা,, দুটোই সমান তালে চলেছে।। হঠাৎ,, আমার হাত থেকে চামচ পড়ে যায়।। সঙ্গে সঙ্গে ওয়েটার পকেট থেকে নতুন চামচ বের করে,, আমাকে দিয়ে দিলো।।
এরপর দেখি,, প্রত্যেক ওয়েটারের প্যান্টের চেইনের সঙ্গে,, একটা লম্বা সুতো ঝুলছে।। আমি জিজ্ঞেস করলাম --"প্যান্টের জিপারে সুতো ঝুলছে কেনো ??"
ওয়েটার বললো - "স্যার,, আমরা ওয়াশরুম গিয়ে,, প্যান্টে হাত দিলে,, বাধ্য হয়ে হাত ধুতে হবে।। এতেও সময় নষ্ট হবে।। তাই,, ম্যাকেনজি এই সিষ্টেম বলে দিয়েছেন।। আমরা সুতো ধরেই চেইন খুলি,বন্ধ করি। হাত ধোওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না।। সময় এবং জলের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়!!"
বললাম - "দারুণ আইডিয়া তো !! শাবাস!!"
এরপর ফিসফিস করে বললাম -"কিন্তু,, প্রস্রাব করার পর,, "ওটা" প্যান্টের ভিতরে ঢোকাও কিভাবে ??"
ওয়েটার বললো - "স্যার,ওই ক্ষেত্রে আমরা চামচ ব্যাবহার করি !!"
৩/
আমেরিকার এক অফিসিয়াল পার্টি তে আমি আর এক চাইনিজ বন্ধু চাং অনেকক্ষন ধরে গল্প করছিলাম।বেশ কিছুক্ষন পরে চাংকে জিজ্ঞেস করলাম,আচ্ছা এই যে শোনা যায় সব চাইনিজ কে একরকম দেখতে এটা কি ঠিক? তোমার কি মনে হয় এটা ঠিক?
চাং এর থেকে উত্তর এলো -সরি, এটার উত্তর চাং দিতে পারবে,আমি চ্যাঙের বউ।আগামীকাল আমাদের ছেলের স্কুলে ম্যাথস্ এক্সাম আছে,চাং বাসায় ছেলেকে ম্যাথস্ প্র্যাক্টিস করাচ্ছে,আমি ওর হয়ে পার্টি টা অ্যাটেন্ড করলাম।
৪/
রাতে ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি ভয়ংকর দর্শন এক ভুত আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে।
বলল, ঠিক আছে, আগে তুই করে নে।
কোনরকমে বললাম, আপনিই করুন। আমার লুংগিতে হয়ে গেছে।
৫/
ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হোটেলে খেতে গেলো
ম্যানেজার - ওয়েটার কি কি খাবার আছে?
ওয়েটার- sir তান্দুরি চিকেন, মালাই কোফতা,কাশ্মীরি আলুর দম, মিক্সড ভেজ,আলু ফুলকফি................!!
ম্যানেজার - মালাই কোফতা আর চার খানা রুটি নিয়ে এসো!
ওয়েটার - কিন্তু sir সব খাবার তো শেষ হয়ে গেছে এখন তো কিছুই বেঁচে নেই....!
ম্যানেজার(রেগে গিয়ে) - এতোক্ষন ধরে ফিরিস্তি শোনাচ্ছিলিস কেন? প্রথমেই তো বলতে পারতি......!
ওয়েটার- ম্যানেজার সাহেব আমিও রোজ ATM এ যাই,ওই ATM আমাকে pin code,amount, receipt সবকিছুই জিঞ্জাসা করে আর lastএ বলে "No Cash"।এই বার বুঝতে পারছেন তখন আমার কি রকম লাগে!
৬/
জামাই উকিল।তাই জামাইয়ের ৭টা সাদা শার্ট ও ২টা কালো কোর্ট আছে।
জামাই যখনি বউকে শশুর বাড়ি থেকে আনতে যান, তখনই ৭টা শার্টের যে কোনো একটার সাথে মেচিং জিন্স পরে শ্বশুর বাড়ি চলে যান।
শাশুড়ি তাকে আজ বলেই বসলো," তোমার কি একটাই শার্ট? প্রতিবারই দেখি এই শার্ট টা ই পরে আসো,"
জামাই উকিলের আজ মগজ গরম ছিল তাই বলে উঠলো,"হ্যাঁ তাতে কি হয়েছে? আপনারও তো চারটি মেয়ে,সেই তো প্রতিবার বড়টাকেই ধরায়ে দেন আমি কি কিছু বলি?
৭/
তারাপদ রায়ের মাদ্রাজ ভ্রমণের একটা ছোটো ঘটনা ওনারই জবানিতেঃ
সেবার স্টেশনের কাছে যে হোটেলে উঠেছিলাম সেখানে খাবার ব্যবস্থাও ছিলো। তা সকালে ব্রেকফাস্ট করতে নেমেছি, বেয়ারা হাসিমুখে বললো "ভানাক্কম"। ভাবলাম নাম জিজ্ঞেস করছে নিশ্চয়; উত্তর দিলাম "তারাপদ রায়"।
রাতে খেতে নেমেছি আবার সেই বেয়ারা আর আবার "ভানাক্কম"। ভাবলাম ভুলে গেছে বোধহয়; আবার বললাম, "তারাপদ রায়"।
একটু পরে এক তামিল বন্ধুকে ব্যাপারটা বলতেই সে এই মারে কি সেই মারে, বলে কিনা "ভানাক্কম" তামিল greeting .. আমাকে ওই বেয়ারা greet করছিলো নিজের ভাষায়।দেখলাম বড্ড ভুল হয়ে গেছে।
পরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট করতে নেমে আগেই বেয়ারাকে দেখে বললাম "ভানাক্কম"। বেয়ারা এক গাল হেসে বললো, "তারাপদ রায়"।