জুলাইয়ে ৯৮০ জনের মতন লোকের মৃত্যু হইছে । মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ । ইউনুসের ভাষণে ৯৮০ জনের জন্য সমবেদনা ছিলো কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের জন্য কোন সমবেদনা ছিলো না। ছিলো না দুই লাখ মা বোনের ইজ্জতের কোন কথাও! বলতে গেলে মুক্তিযুদ্ধের কোন আলাপই ছিলো না !
৯৮০জনের মৃত্যুকে বলা হইলো গণহত্যা । কিন্তু ৫ আগষ্টের পর থিকা এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগ এবং সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হইছে ৮৯৫৮ জন । এইসব হত্যা নিয়েও কোন আলাপ ছিলো না ! এই সংখ্যাটা ৯৮০জনের কয়গুণ মিস্টার নোবেল লরিয়েট ?
আওয়ামীলীগ আর সংখ্যালঘু লোকেরা বোধহয় মানুষ না । এদের রক্ত পচা নর্দমার পানি । আওয়ামীলীগ আর সংখ্যালঘু মরলে তোমাদের কিচ্ছু আসে যায় না কারণ তোমরা স্বাধীন বাঙলাদেশ-২ নামের এক আজব দেশের বাসিন্দা ! যেখানে অনিয়মই নিয়ম !
ইউনুসের ভাষণে এনজিও তুষ্টি ছিলো বেশ জোরেশোরে ! সেনাবাহিনীর গুনকীর্তন ছিলো উল্লেখযোগ্য । কিন্তু একমাসে কি কি করছে তার কোন ফিরিস্তি ছিলো না । ছিলো এই করবো সেই করবো হেন করবো তেন করবো । মানে করবোতেই...!
সর্বপোরি ভাষণে স্পষ্ট প্রতিয়মান হইছে এনজিও চালানো ইউনুসের জন্য দেশ চালানো ভীষণ পেরেশানিতে পরিণত হইছে । স্পষ্টতই স্বীকার কইরা লইছে ক্ষমতা নেওয়ার পর থিকা এই আন্দোলন সেই আন্দোলন এই দাবি সেই দাবির কারণে সে ঠিকঠাক অফিস করতে পারতেছেনা ! অথচ নির্বাচিত সরকার হইলে সে এই আলাপ দিতেই পারতো না ! দাবি ফেইস করার হিম্মত না থাকলে এনজিও চালাও গা দেশ চালাইতে আইসো না !
ধারাবাহিকভাবে শিল্পকলখারকানা গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়াতে শ্রমিকদের হালকা তেল দিয়া কাজে ফেরত যাইতে বলছে । কিন্তু শ্রমিকরা ছাত্র নয় । ছাত্রদের ভাতের টেনশন করতে হয় না । কিন্তু শ্রমিকদের করতে হয় । শ্রমিকরা তেল খায় না তারা নগদ সমধান চায় । নইলে অর্থনীতির অবস্থা পথে পথে করে দেয় !
ইউনুসের চোখে মুখে শ্রমিক অসন্তোসের জন্য ভীষণ টেনশন পরিলক্ষিত হইছে ! একমাসের ভিত্রে আশা করি বুঝতে পারছে বাকি সময় তার কীভাবে কাটবে !