somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রুপম হাছান
“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

ভাষা বুঝতে না পারা প্রধানমন্ত্রী এবং মিথ্যার রাজ্যের সাংসদদের কান্ড!

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা কোন এক প্রেসিডেন্ট তার দেশে মেহমান হিসেবে আসা অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর ইংরেজী ভাষার উপর পরীক্ষা নিবেন বলে ঘোষনা দিলেন। এবং কি ধরণের প্রশ্ন করবেন তাও প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। যথারীতি সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কাঙ্খিত দেশে উপস্থিত হলেন এবং তার সাথে করে নিয়ে গেলেন দেশের এক গাঁধা সংসদ সদস্য। শত হলেও বিশ্ব দরবারে প্রধানমন্ত্রী তার দেশের ভাবমূর্তি আরো অনেক বেশি উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলে তার সদস্যদের ধারণা ছিলো। যাই হোক…মূল অনুষ্ঠানে চলে যাওয়া যাক

যথারীতি অনুষ্ঠান পর্ব শুরু হলো- প্রধানমন্ত্রীর জন্যে নির্ধারিত করা হয়েছিলো ইংরেজী সাত দিনের নাম মুখস্থ বলতে হবে। যদি তিনি সাত দিনের নাম সুন্দর ভাবে উচ্চারণ করে বলতে পারেন তাহলে আর কোন প্রশ্ন করা হবে না। প্রধানমন্ত্রীও খুশিতে বাকবাকুম বাকবাকুম হয়ে গেলেন। এর থেকে সুন্দর পরিবেশ আর সুন্দর প্রশ্ন আমার জন্যে আর কি হতে পারে..!

বলা হলো, সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী আপনি এবার বলতে শুরু করুন ইংরেজী সাত দিনের নাম! প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থিত তার দেশ থেকে যাওয়া সকল সাঙ্গপাঙ্গরা। তিনি অকপটে বলতে শুরু করলেন-

মানডে, সানডে, ভাত দে, লবন দে, তরকারী দে, ডাল দে...আর মনে পড়ছে না! কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর আবার বলতে লাগলেন…চাউল দে!!! উপস্থিত সদস্যরা করতালী দিয়ে তাদের প্রধানমন্ত্রীকে উৎসাহিত করলেন আর বাহ্ বাহ্ দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর তল্পীবাহকেরা প্রশ্নের উত্তর বুঝক আর না বুঝক, প্রেসিডেন্ট কিন্তু তার প্রশ্নের কাঙ্খিত উত্তর না পেয়ে চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হলেন এবং তাকে আরো কিছু প্রশ্ন করার জন্যে উদ্ধ্যত হলেন।

প্রেসিডেন্ট বললেন আপনি কি আমার প্রশ্নের মানে বুঝতে পারেন নি? প্রধানমন্ত্রী বললেন জি হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি। প্রেসিডেন্ট আবারো বললেন সত্যি আপনি কি বুঝে উত্তর দিচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রী বললেন জি হ্যাঁ জনাব আমি সব বুঝেই উত্তর দিচ্ছি! প্রেসিডেন্ট বললেন, এই প্রথম আমি কাউকে দেখলাম যে প্রশ্ন না বুঝেই উত্তর দিতে শুরু করে আর বলে যে সব উত্তরই সঠিক। আপনি তেমন একজন!! প্রেসিডেন্ট রাগে গদ গদ…অবস্থা!

আশা করছি এবার আপনি আরো ভালোভাবে বুঝে উত্তর দিবেন। তাহলে এবার বলুন…,
প্রেসিডেন্ট : আপনাকে বানাইছে কে?
প্রধানমন্ত্রী : আমার আব্বা!
প্রেসিডেন্ট : আচ্ছা…. আপনার আব্বাকে বানাইছে কে?
প্রধানমন্ত্রী : আমার বু।
প্রেসিডেন্ট : ও আচ্ছা আচ্ছা…! এবার বলুন তো আপনার বু কে বানাইছে কে?
প্রধানমন্ত্রী : আমার খালা!! হা হা হা।
প্রেসিডেন্ট : ও তাই?! তাহলে আপনার খালাকে বানাইছে কে?
প্রধানমন্ত্রী : আমার নানা!!!

এবার প্রেসিডেন্ট তার রাগ আর ধরে রাখতে না পেরে বললেন সবই তো আপনার পরিবারের লোকে বানাইছে। আর আপনি বানাইছেন ইংরেজী সাত দিনের নাম! বাহ্ বাহ্। ধন্য আপনার দেশ, ধন্য আপনার দেশের মানুষ যে; আপনার মতো একজন গর্বিত প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে!!!

অতঃপর, সেই দেশের সাংবাদিকেরা ও অন্যান্য সংসদরা ফুলের তোড়া নিয়ে বিমান বন্দরে হাজির হয়ে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিলেন তাদের প্রধানমন্ত্রীকে! কারণ, তাদের প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিটি কাজে সফল এবং তথা কথিত দেশকে উন্নয়নের এক মহা-উচ্চতার আসনে স্থান করে দিতে সক্ষম হয়েছেন! এই হলো হবুচন্দ্র রাজার দেশে গবুচন্দ্র মন্ত্রীদের কান্ড!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:১৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×