আজ সকাল দশটা। শ্রীমঙ্গলস্থ বর্ডার গার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেমন একটা উৎসব মুখর সাজ-সাজ রব। ভাবলাম হয়োত এমনি কিছু হবে। দুপুরে ফিরে আসার সময় যা দেখলাম, বিস্ময়ের সীমা রইল না! বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে পূজা মন্ডপ। এটা কী! হঠাৎ মনে হলো হিন্দুদের ১২ মাসে ১৩ পূজা আর এটা তারই একটা পর্ব মাত্র। তবে স্কুল মাঠে কেন? আশ্চর্য হয়ে এক ভদ্রলোকের কাছে প্রশ্ন করলাম, 'এটা এখানে প্রতিবছর হয়?' উনি বললেন, 'না, কয়েক বছর থেকে হয়।' কোনো অনুসন্ধান ছাড়ায় আমাদের বর্তমান সরকারের ধর্মনিরাপেক্ষতাবাদের একটা ছায়া দেখতে পেলাম। একটু আদাজল খেয়ে নামলে এদের আরো সূকীর্তি পাওয়া যাবে। হয়তো অসাম্প্রদায়িক নীতিতে অনড় বলে। অসাম্প্রদায়িক নীতির কোন অনুচ্ছেদে এটা আছে আমার জানা নেই, যেখানে স্কুলে পূজা মন্ডপের আয়োজন করা হয়। যেখানে হিন্দুরা কখোনই সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। এটা আমাদের প্রতিবেশীর (ভারত) একটা সুকৌশলের অংশ নয়তো? আমার মুন্ডুপাত করা আগে জেনে নিন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে তৎকালীন ভারতীয় হাইকোমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী বলেছিলেন, 'আমাদের মত ধর্মনিরাপেক্ষ হও, অর্থনীতির উন্নয়ন কর।' ধর্মনিরাপেক্ষতার নামে ভারতীয় মুসলমানদের নাজেহাল করার মত আমাদের দেশে হিন্দুদের অবস্থা হোক সে আমি চাইনা।
'অন্যের ধর্ম পালনে বাধা দেয়া যায়না'-এরকম অনেক বাণী শুনিছি। শুধু দেখা বাকী ছিল, একটা অসত্য ধর্ম পালনে সে ধর্মালম্বীদের উৎসাহী করা। দেখলাম তা-ই। প্রচন্ড ঘৃনায় একটা আক্ষেপ নিয়ে সেই ভদ্রলোক বললেন,-বেঁচে থাকো, অনেক কিছুই দেখতে পাবে।' একটা দীর্ঘস্বাস ছেড়ে বলালাম, হুঁহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৬