প্রেমের বিয়ের মূল্য দিতে হলো আগুনে শরীর ঝলসিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী সদরের গোরগ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ দেওয়ানীপাড়ায়। দুই বছর আগে সারোয়ার হোসেন নামের ছেলেটি গ্রামের মকসেদ আলীর মেয়ে পিয়ারীকে তার পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করে। বর্তমানে তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে।
সারোয়ারের অভিযোগ তার শ্বশুর তাদের বিয়ে মেনে নেবেন এই মর্মে তাদের বাড়িতে আসতে দেন। কিন্তু তিনি তার সুর পাল্টে বলেন কিছুতেই তিনি তার মেয়েকে তার (সারোয়ার) সাথে যেতে দেবেন না। সারোয়ার প্রতিবাদ করলে গ্রামের মানুষদের সহায়তার তাকে আটকে রাখা হয়। দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মেয়েকে তালাক দিতে বলেন শ্বশুর। সারোয়ার রাজী না হলে রাতে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শ্বশুর।
সারোয়ার বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আমার মন্তব্যঃ সামাজিক রীতি-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে না পারলে ভাল থাকা যায় না। তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ এই ঘটনা। সারোয়ার তার কৃতকর্মের শাস্তি পেয়ে গেছে। আর পিয়ারী?
উভয় সংকটের মধ্যে। ২০ বছর আগলে রেখে যে বাবা-মা বড় করে তুলেছে তাদের সম্মানের কথা চিন্তা না করে নিজেই নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করে নেওয়া একটা আহাম্মকের কাজ।
হোক তা ছেলে কিংবা মেয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:০৩