দূর্নীতির বিষয়ে পুলিশের সাফাই গাইতে আমি আসিনি। যদিও বাংলাদেশের ৭০% লোক মনে করে পুলিশ এবং দূর্নীতি একটি আরেকটির উল্টো পিঠ। এটা একটা জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়। প্রতিদিন বাংলাদেশে যে যে ক্ষেত্রে দুর্নীতি সংঘটিত হয় তার ৯৫% বা তার বেশি ক্ষেত্রে এসব থাকে সাধারণ জনগনের আড়ালে। আর পুলিশের দুর্নীতির বিষয়টা ৯৫% জানে মানুষ। এই জানা এবং অজানার কারণেই পুলিশ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাঝে এক আতঙ্কের নাম। কিন্তু এমটা হওয়া উচিৎ ছিল না।
শোনা যায়, ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার গাড়ী আটকে রেখে ১০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ খায়। হ্যাঁ খায়, তাতে কী? শুধু পুলিশের এই ১০ টাকার ঘুষটাই আমাদের চিন্তার বিষয়। কিন্তু এর মূলে কী রয়েছে?
যখন রাস্তার একজন সম্মানিত ব্যক্তি গাড়ী নিয়ে বের হন তখর তার উপর অনেকগুলি কর্তব্য অর্পিত হয়। গাড়ী চালাতে হলে অবশ্যই আপনার কাছে বৈধ্য ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা লাগবে। সম্ভবত আমাদের দেশের ৯০% বা তার বেশি ড্রাইভারদের গাড়ীর বৈধ্য লাইসেন্স থাকেনা। আর যাদের কাছে রয়েছে অবৈধ্য লাইসেন্স রয়েছে তারা দুর্নীতির কয়টা স্তার ফাঁড়ি দিয়ে তা সংগ্রহ করেছেন তার ভেবে মাথা নষ্ট করার দরকার নাই। এই অবৈধ্ লাইসেন্স এর ব্যবসায় মত্ত্ব যারা দুর্নীতির প্রশ্নে পুলিশের চাইতে কোন অংশে কম এরা।
পুলিশকে ঘৃণার চোখে দেখার বিষয়টা শুধু দুর্নীতির প্রশ্নেই আসেনা। সামাজিক ভাবে চিন্তা করলেও আমাদের দেশে এদের তেমন কোনো অবস্থান নেই। অথচ নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিদিন কতনা প্রতিকূলতা পার হতে হয়।
ফেসবুক কিংবা ব্লগের কল্যাণে যতটুকু জানা যায় আমেরিকা এবং ইউরোপে পুলিশের চাকরি সমাজের অত্যন্ত উঁচু স্তরের। সম্ভবত আমেরিকায় সবচেয়ে সম্মানিত সরকারী চাকরি হলো এই পুলিশের চাকরি। অথচ আমাদের দেশে পুলিশের নাম শুনলেই মানুষের নাক সিঁটকে আসে। ছোট জাত মনে হয়। এই অবস্থান পরিবর্তনে সরকারের এগিয়ে আসার প্রয়োজন আছে।
সরকারের ভূমিকার কথা বললেই প্রশাসনে দলীয়করণের বিষয়টি আসে। যেদিন আমার এই বাইরে কাজ করতে পারব। ব্যক্তিস্বার্থের বাইরে দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারব। সেদিন সব কিছুই হবে সুন্দর।