somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

হামীম প্রসেস
" যদি আপনার কথার মধ্যে নিরপেক্ষ থাকার ভঙ্গি, ভাল সাজবার ভান, বৈষম্য, মিথ্যা-চাতুরি, থাকে ।আর, স্বাধীনভাবে কথা না বলেন তাহলে আপনি , মানুষ সাজবার ভান করেন ।"অন্যের মেধা ও দুর্বলতা জানার জন্য মানুষ সম্পর্ক করার ভান করে ।

পৃথিবী ধ্বংস হবে না, আমারাই ধ্বংস হয়ে যাবো ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(সংক্ষিপ্ত)

প্রকৃতিকে আমরা যেরকমটা দেখছি আসলে এটা সেরকম নয় এটা একটা যাদুকরী রাক্ষস ।একজন জাদুকর আসলে জাদুকর নয় তিনি একজন বুদ্ধিমান অভিনেতা । প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের যাদুতে আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে আমরা তার যাদু শক্তির বাইরে চিন্তা-ভাবনা করতে পারি না । সুন্দর ঝরনা, পাহাড়-পর্বত, নদী-সমুদ্র, আরো কত কি দ্বারা আমাদেরকে বস করে রেখেছে ।
.
প্রকৃতি আমাদেরকে খেতে চায় সে একজন বুদ্ধিমান রাক্ষস ।এ রাক্ষসের বুদ্ধি আছে, সে চায় না আমরা তার ক্ষতি করি ।প্রকৃতি আমাদেরকে ধীরে ধীরে খেতে চায়, কিন্তু আমরা যদি তার ক্ষতি করি তখন প্রতিবাদি হয়ে আমাদের অনেকগুলোকে মেরে ফেলে ।
.
আমরা কেউ বাঁচবো না
আমাদেরকে দেখতে হবে আমাদের আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু ।হাসপাতালগুলোতে জায়গাতো থাকবেই না, এদিকে আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেটা কে?তখন সবাই নিজ প্রান নিয়ে টানাটানি । পৃথিবীর সমস্ত মানবীয় সহায়তা সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে ।তারা তাদের জিবন বাঁচাতে ব্যস্ত থাকবে ।
.
আমরা পৃথিবী থেকে অক্সিজেন কে কতটা হারাতে পারে সে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়েছি ।প্রকৃতি হয়ে উঠেছে ক্ষুব্দ ।পৃথিবী ব্যাপি যে জলবায়ু সমাধানের কথা আলোচনা করা হয়েছে সেটা কার্যকর করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । পৃথিবীর মুল চাবি হচ্ছে অর্থনীতি । কেউ চাবে না তাদের কল-কারখানা, শিল্প বন্ধ করতে কারন একটা শিল্প বন্ধ হলে হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে যার কারনে পৃথিবী আরেক ধরনের বাঁচার আন্দোলন লিপ্ত হবে । ঘরে ঘরে দেখা দিবে বেকার সাথে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা সংকট ।উন্নয়নশীল দেশগুলো(আমাদের মত) ধ্বংস হয়ে যাবে জলবায়ু রক্ষার জন্য বড় বড় শিল্পগুলোনে ইউরেনিয়াম বোমা হামলা চালানো হবে ।বেড়ে যাবে সন্ত্রাসি হামলা বেধে যাবে বিশ্বযুদ্ধ ।শিল্পগুলো বন্ধ হলে আমরা অনেক কিছু হারাবো ।যে সমস্ত শিল্পগুলো বাড়ি নিমার্ন, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি, অন্যনা কলকজ্বা তৈরি করত সেগুলো থেকে আমরা বঞ্চিত হবো ।যার কারনে আমাদের জিবন যাত্রার সিস্টেম ভেঙ্গে যাবে । চিকিৎসার স্থান থাকলেও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি না থাকায় আমরা মারা যাবো ।জ্বালীনি পোড়ানো বন্ধ হলে স্যাটেলাইটগুলো অকেজো হয়ে যাবে ফলে প্রযুক্তির অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে যাবে ।বিদেশি পোশাকের অভাবে আমরা আবার দেশি মোটা কাপড় পড়ে খাটি বাঙ্গালি হবো কিন্তু খাদ্য অভাবে মারা যাবো ।
.
ঘটনাগুলো ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নয় ।ঘটনাগুলো ঘটতে যাচ্ছে ।
.
প্রকৃতির আপডেট ভার্সনগুলো নিচে দেওয়া হলো
- তাপমাত্রা 44 থেকে ৫৭
- অক্সিজেন এর তিব্র সংকট
- ভুমিকম্প ৫ থেকে ৯ স্কেলে
- ঝড় অন্ধকারের রুপ ধারন
- শিলা বৃষ্টি নিম্ন হাফ কেজি থেকে ১কেজি ওজনের
- বিজলি চমকানো বেড়ে যাবে
- বন্যা বাধের উপর দিয়েই আসবে
- জলচ্ছাস ইত্যাদি

.
সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারনে অতি ক্ষুদ্র প্রানি ও বনজ শেওলা গুলো মারা যাচ্ছে যেখান থেকে বায়ুন্ডল অক্সিজেন সংগ্রহ করত ।বায়ুমন্ডল অক্সিজেন হারাছে ।যার কারনে অক্সিজেন সমস্যাই বিশ্বব্যাপি প্রধান সমস্যা দেখা দিবে ।সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বরফ সমুদ্রের তলদেশ থেকে গলতে শুরু করেছে যার কারনে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ১০ থেকে ১২ ফুট বৃদ্ধি পাবে আগামি ২০২০ সালের মধ্যে । আমাদের সমুদ্র উপকুল ডুবে যাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিবে ঢাকা শহরে ।দেখা দিবে পানি,খাদ্য,চিকিৎসা সংকট বেড়ে যাবে সন্ত্রাসি, মারা যাবে হাজার হাজার মানুষ।
.
ঐদিকে বিশাল বিশাল বরফের পাহাড় ধসে টেকটনিক প্লেটগুলো নড়াচড়া করবে, সরে যাবে, একটির উপর আরেকটি প্লেট চড়ে বসবে(এক একটি প্লেট এক একটি প্রদেশের চেয়ে বড়) শুরু হবে ভু-কম্পন। পৃথিবীর বড় বড় মেগা ষ্ট্রাকচার ধসে পড়বে প্রান হারাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ ।হিমালয় গলে যাবে ।গ্রিন হাউজ এফেক্ট তৈরি হবে গোটা পৃতিবীতে ।তাপমাত্রা বাধা প্রাপ্ত হবার কারনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে যার ফলে কলেরা, ডায়রিয়া, ক্যানসার, শ্বাস-কষ্টে মারা যাবে অনেক প্রানি ।
.
আমরা কেউই বাঁচবোনা এটা জানি, কিন্তু যখন ধিরে ধিরে ধুকে ধুকে সকলে এক সঙ্গে মৃত্যুর মুখে পতিত হবো তখন আত্মহত্যাই আমরা বেছে নিতে পারি কারন একজন পিতা-মাতা তার শিশুর খাদ্য চিকিৎসার অভাবে মৃত্যূ দেখতে পারবে না আবার এমন যন্ত্রনা দায়ক শারিরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিবে যার কারনে আত্মহত্যা বেছে নিতে পারে ।
.
আমাদের বাঁচার সমস্ত পথ বন্ধ । আমরা এত দিনে প্রযুক্তির উন্নয়ন নামে যা তৈরি করেছিলাম তা হলো আমাদের মৃত্যু । এখনও বাঁচার একটিই উপায় আছে সেটা হলো সমস্ত মানবসভ্যতা ঐক্য বদ্ধ হয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে এমন সব প্রযুক্তি সম্বলিত শিল্প কারখানা বন্ধ করা ।পরিবেশের ক্ষতি করে এমন সব কিছু বন্ধ করা আজ থেকে, এখন থেকেই ।মনে রাখতে হবে এখন যে প্রতিটি সেকেন্ড নষ্ট করছি তাতে দশ জন মানুষের মৃত্যুর জন্য ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×