আমার দৃষ্টিতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান
-
আমি জানি আমার কথার বিপক্ষে হাজার হাজার শত শত বাঙ্গালী সন্তান ।আমি এও জানি বইটি কে বা কারা লিখেছেন ।যারা লিখেছেন তারা নিশ্চয় রাষ্ট্রকে খাট করে দেখাতে চান না, তারা চান অন্যকে খাট করে নিজের স্বার্থকে বড় করতে ।
।
তোমাদের আজ বাদে কাল স্বাধিন বাংলার ইতিহাস পরিক্ষা ।
।
আমি যদি প্রশ্ন করি কেন একজন মানুষ তার আত্মজীবনি লিখেন?
উপরের প্রশ্নটা আমার, আমাকে এটা ভিষন ভাবে ভাবিয়েছে ।
একজন খারাপ মানুষ কখনও তার খারাপ কাজগুলো লিপিবদ্ধ করার জন্য জীবনি রচনা করবে না ।১৯৫৮ সালে যখন প্রসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা আইয়ুব খানকে ক্ষমতা দেন তখন গোটা পাকিস্থানে আনন্দ উৎস হয়েছিল ।বলা হয়েছিল "স্বর্গ থেকে আসা এক জবাব" , একটা বিপ্লব, নতুন যুগের সুচনা ।আইয়ুব খানের বন্ধুরা ও কেন্দ্রিয় আমলারা দীর্ঘদিন থেকে চাচ্ছিলেন তিনি যেন ক্ষমতা গ্রহন করেন । তিনি সমগ্র পাকিস্থান অর্থাৎ পুর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থানে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও দুটি রাষ্ট্রকে এক ও অভিন্ন রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়ে ছিলেন ।বৈষম্য, দুর্নীতি, ঘুষ, জবর দখল, এক চেটিয়া আধিপত্য ইত্যাদি বন্ধ করে ছিলেন ।ধষন, সন্ত্রাস, চাদাবাজি, লুটতরাজ, গলাকাটা লাশ, বস্তা বন্দি লাশ ইত্যাদি অপরাধের ছিটে ফোটাটাও ঘটেনি ।তার উদ্দেশ্য ছিল মহৎ যেটা আমি এখান থেকে উপলব্ধি করতে পারছি ।কিন্তু পশ্চিম পাকিস্থানের কেন্দ্রিয় আমলারা আইয়ুব খানের সুবিধা মত কাজ করতে দিতেন না ।এর কারনে আইয়ুব খানের অভিন্ন রাষ্ট্র গঠন থমকে যায় ।তাছাড়া পুর্ব পাকিস্থানের ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো আয়ুব খানকে ভিতী সৃষ্টি করেছিল ।যার কারনে তিনি পুর্ব পাকিস্থানের উন্নয়ন বিমুখ হোন ।আর হবেইবা না কেন ।বাঙ্গালীরা যুক্ত ফ্রন্ট সরকার গঠন করল, নিজেরা নিজেরাই মারামারি গন্ডগল করে পযুদস্থ হলো ।তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাঙ্গালী জাতি সুবিধাবাদি ও অলস প্রকৃতির ।দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত মহাদেশ ও পাকিস্থান এদুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় ।অর্থাৎ হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের ভিত্তিতে দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় ।কিন্তু দুঃখের বিষয় পুর্ব পাকিস্থানিদের (বাঙ্গালী) হিন্দু প্রিতি দুর হয়েছিল না ।তাদের পশ্চিম পাকিস্থানীদের প্রতি ভরসা ছিল না ।বাঙ্গালীদের, কে মুসলিম কে হিন্দু বুঝা মুসকিল ছিল ।এর জন্যই বাঙ্গালীদের প্রতি পাকিস্থানিদের রাগ ছিল ।তারা বিভিন্ন ভাবে বাঙ্গালিদের উন্নয়ন করতে চেয়েছিল ।কিন্তু মুর্খ বাঙ্গালীরা ভুল বুঝে তাদের বিরুদ্ধেই আন্দোলন গড়েছিল ।মুর্খরা জানত না, হিন্দুরা ব্রিটিশদের সাথে লিয়াজু করে মুসলমানদের জন্য ভারতে জাহান্নাম গড়েছিল ।১৮৫৭ সালে সাপাহী বিদ্রহে মুসলমাদের উপর চলেছে ষ্ট্রিম রোলার ।কংগ্রেস গঠন করে হিন্দুদের কাব্য মুসলমানদের পড়ানো হতো ।বেচারা মুসলমানরা, না পারত বিষ খেয়ে মরতে না পারত অন্য কিছু করতে ।পৃথিবীর ইতিহাসে এশিয়া মহাদেশে যদি কোন মুসলিম নায়ক থেকে থাকে তিনি হলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ।তিনি মুক্তি দিয়েছেলেন লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মুসলিমকে ।তার মত সাহস,তার মত বুদ্ধি ও বিচক্ষনতা আমি আজ পযন্ত এই মহাদেশের রাজনিতিতে দেখিনি ।তিনি যদি মনে করতেন কংগ্রেসের সাথে ঐক্য বদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করতে, পারতেন।কিন্তু তিনি এ অসহায় মুসলিমদের প্রতি, নিজ জাতির প্রতি, ইসলামের প্রতি ছিলেন অসহায়, দুর্বল ।
!
অনেক লেখার ছিল কিন্তু সময়ের অভাব ।কিন্তু সবচেয়ে বড় দুঃখ আগামিকাল পরিক্ষার হলে তাদের বিরুদ্ধেই লিখতে হবে ।এতই স্পিডে লিখেছি যে প্রচুর বানান ও শব্দ ভুল হতে পারে ।নিজে ঠিকঠাক করে পড়বেন ।
জয় বাংলা ---।।