somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

হামীম প্রসেস
" যদি আপনার কথার মধ্যে নিরপেক্ষ থাকার ভঙ্গি, ভাল সাজবার ভান, বৈষম্য, মিথ্যা-চাতুরি, থাকে ।আর, স্বাধীনভাবে কথা না বলেন তাহলে আপনি , মানুষ সাজবার ভান করেন ।"অন্যের মেধা ও দুর্বলতা জানার জন্য মানুষ সম্পর্ক করার ভান করে ।

পাকিস্থানের বর্তমান কৌশল ও তার কয়েকটি বৃথা ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবহাওয়া খারাপ (খারাপ মানে আবহাওয়ার পরিবর্তন) থাকায় এ সময়টায় রক্তের শ্বেত কনিকা দুর্বল কাজ করে ।ঠান্ডা গরমের মাঝামাঝি সময়ে এরকমটা ঘটে ।কোষগুলো বাইরের ভাইরাস বা রোগজীবানুর সাথে লড়াই করে পেরে ওঠে না ।খুব সহজেই তারা শরিরে প্রবেশ করে ।কয় দিন যাবৎ একটু স্বাভাবিক অসুস্থতায় ভুগছি ।রক্তকে শক্তিশালি করার জন্য এন্টিবায়োটিক খেয়েছি, শ্বেত কনিকাগুলো তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভাইরাসগুলোকে দুর করতে সক্ষম হচ্ছে ।আশা করি কিছুদিন বাদেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবো ।তবে মনটা আমার নন স্টপ ভাল আছে, সুন্দর এবং সুস্থ সবল আছে ।থাকবে না কেন? ক দিন বাদেই যে বাংলাদেশ টিমের ফাইনাল খেলা ।
পাকিস্থান তার দেশে যেসব পাগলামি করেছে তা আধুনিক মিডিয়ার কল্যানে খুব দ্রুতই সেগুলো দেখতে পেয়েছি ।তারা (আমাদের পাকি মুসলমান ভাইয়েরা) খেলার সাথে রাজনিতি মিক্সড করে একাকার ।তারা তাদের টিভি ভেঙ্গেছেন, আমাদের দেশের মত দেখতে হুবাহু সেইম পতাকা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, আফ্রিদির মতন পুতুল বানিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে , আরো নানান কিছু করেছে ।তারা করেছে, কারন তারা আমাদের শত্রু ।তারা এগুলো করতেই পারে এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা ।আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে তাদের তান্ড-কান্ড দেখলাম এবং নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করলাম ।আমরা আগের থেকে আরো সংগ্রামি, বিপ্লবি ।শেখ মুজিব তার মত হাজার হাজার নেতা বাংলাদেশে পয়দা করে গেছে ।কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয় তা শিখিয়ে গেছেন তার জিবন চরিত্রের মাধ্যমে ।পাকিস্থানিরা এদেশে রেখে যাওয়া তাদের কুসন্তানেরা ১৯৭১ সালের পর থেকে নানা ভাবে এদেশেটা কুক্ষিগত করতে চেয়েছে ।তারা সাধারনত ৩টি ফর্মুলা ব্যবহার করে ।
১। তারা চায় তাদের রেখে যাওয়া জারজ সন্তানদেরকে দিয়ে এদেশ শাষন করতে ।
২। তারা চায় এদেশের ছেলে-মেয়েদেরকে জঙ্গি বানিয়ে নিজেদের ভেতর কোন্দল সৃষ্টি করতে, আমাদের মুর্খ করে রাখতে ।আমরা যেন বিশ্বে মাথা উচু করতে না পারি ।তারা আমাদেরকে মুর্খ দেখতে মজা পাই ।

৩। তারা চায় আমাদেরকে জঙ্গি বানিয়ে ইন্ডিয়ার সাথে যুদ্ধ বাধাতে ।ইন্ডিয়ার মধ্যে যেয়ে আত্মঘাতি হামলা চালাতে ।এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে ।
আমরা যদি জঙ্গি হয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ পাকায় তাহলে এতে লাভ পাকিস্থানের ।কারণ আমরা ইন্ডিয়ার থেকে অনেক ছোট রাষ্ট ।ভারত আমাদেরকে অনায়াসে ঘায়েল করে দিবে ।আমাদের মা বোন ছেলেমেয়ে সব বিপদে পড়বে ।আমরা জঙ্গি হবার কারণে কোন দেশ আমাদের সাহায্য করবে না। উল্টা ভারতকে বলবে প্রয়োজনে আমাদের সাহায্য গ্রহন করো আর তার বিনিময়ে এসব বাঙলাদেশী জঙ্গিদের ঘায়েল করো ।আর ঐ দিক পাকিস্তানিরা আমাদের বিপদ দেখে অন্তরে আনন্দ উল্লাস করবে আর বাহ্যিক ভাবে আমাদেরকে সমবেদনা জানাবে ।।

ভারত আমাদের পার্শ্ববতি এক বৃহৎ রাষ্ট, প্রায় পিপড়া হাতির সমতুল্য ।যুদ্ধের সময় এদেশে যখন পাকিস্তানিরা গরুর মাংস দিয়ে রুটি খেয়ে শরির গরম করে আমাদের মেয়েদের ধর্ষন করত, আমাদের দেশের লোকেরা খাবারের অভাবে দৈনিক শত শত লোক মারা যেত ।বিশ্বাসের কমতি থাকলে গুগলে সার্চ দিয়ে ফটো দেখতে পারেন ।তখন যুদ্ধ চলাকালিন কঠিন অবস্থার সময় ভারত এদেশের প্রায় এক থেকে দেড় কোটি জনগনকে শরনার্থি হিসেবে তাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছিল ।তাদের এই উপকারের জন্য তারা আমাদের বন্ধুদেশ ।তাদের সাথে এযাবৎ আমরা খারাপ আচরন করিনি তারাও আমাদের উপর কোন কিছু জবরদস্থি চাপিয়ে দেয়নি ।বরংচ ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় রাখার চেষ্টা করি ।

সম্প্রতি ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে একটা ছবি দেখলাম যেখানে বাংলাদেশের এক প্লেয়ারের হাতে ভারতের এক প্লেয়ারের কাটা মন্ডু ধরা অবস্থায় ।ছবিটি ফটোশপ ।কিন্তু ছবিটি উগ্রবাদিতার পরিচায়ক ।এধরণের ছবি কারা তৈরি করতে পারে সেটা নতুন ভাবে বলার কিছু নেই ।কারা পহেলা বৈশাখে মেয়েদের কাপড় টেনে উলঙ্গ করে ভিতি সৃষ্টি করেছিল নতুন ভাবে বলার কিছু নেই ।ছবিটা যদি উল্টো ভারতের প্লেয়ারের হাতে বাংলাদেশের প্লেয়ারের কাটা মুন্ড হতো তাহলে আপনারা কি করতেন? বন্ধুত্বের সম্পর্ক দৃঢ় হতো না দুর্বল হতো ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×