রাত্রী নিশীতে স্বপনো ভেঙ্গেঁ,
কুয়াশার চাদরে গা ভাসিয়ে দিয়ে।
খুঁজি তোমারে ..............
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?
শরতের শিশিরে পা দুলিয়ে হাটো,
বিহগের সূরে সূর তুলে চলো।
দিবসো রজনী, খুঁজি তোমারে,
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?
সাঝের বেলায় দরিয়ার তীরে,
কাহার কুন্তলের ছায়া পড়ে।
দিবসে জোয়ারের টানে কাহার তরী,
ভেসে যায় জলে।
রজনীর শেষে ভাটা পড়ে এলে,
কে যেন তাহায় ভেসে আপন মনে।
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?
কাশ ফুলে ঘেরা,
চারী পাশ ভরা।
শূন্য নদী,
তরী মাঝা মাঝি।
বাতাসে বইছে,
কাকনের ধ্বনী।
তুমি কে গো.......হে......তুমি কে?
এ বেলায় আড়ালে।
গোধূলীর বেলাতে,
একার ছায়া।
পরনে শাড়ী,
পায়েতে নুপুর জোড়া।
কৃষ্ণ ছায়াতে,
রমনীর চুল।
মুকখানা কেমন,
আমি যেন ব্যাকুল।
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?
সন্ধ্যা ঘনে এলো,
সূর্যটা ডুবে গেল।
নীরব নদীর জল,
ঢেউ-এ দোলা দিলো।
তরীর প্রশ্চাতে,
কার ছায়া পড়ে।
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?
ধূসর কুয়াশায়,
ঢেকে গেলো রাত মনি।
চলিলো তরী,
তরি গরি করি।
তাকিয়া প্রশ্চাতে শুধুই শূন্য,
কুয়াশায় ঘীরে রাখী।
তরীতো চলিলো,
চলিয়া ফিরিলো।
মৃধু ধ্বনীতে ভাসিয়া এলো,
নারী কণ্ঠে কেহু গাহীয়া চলীলো।
গাহিয়া গাহিয়া গান,
ধরণী মাতাল করিলো।
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?
রাত্রী গড়ীয়া,
ঊষারো কাছে।
ধূসর কুয়াশা,
চার দিক থেকে আসে।
তরী এসে ভিড়লো কূলে,
নুপুরের ধ্বনী বাঝিতে বাঝিতে,
কুয়াশার সাথে যায় মিশে।
দর্শনে তার ব্যাকুল হয়ে,
ছুটিলাম তার পিছে পিছে।
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?
কাশ ফুলের পাশে,
আড়াল হলো সে।
খুঁজিয়া ব্যাকুল,
দেখা হলোনা তাহাতে।
উদাসীন মন,
ছায়া সঙ্গিঁর খোঁজে।
এখনো হাটে, হেটে হেটে খোঁজে
কাশ ফুল বনে।
তুমি কে গো.......হে......বন্ধু সজন,
তুমি কে?