দিনান্তে দিপীকা
হেমন্ত দা
আমারো নয়ন দুটি এ বেলায় কাহারে চায়,
কাহারে ভেবে ভেবে বেলা বয়ে যায়।
আশাঢ়ো জমেছে নয়নের কোনে,
ফুলিয়া ফুলিয়া ভিজিয়া উঠেছে শরতের সন্ধা ক্ষনে।
নয়নের তলে মেঘেরী রেখা,
কাহারে ভাবিয়া কান্দিছে সারা বেলা।
কাহারে খুঁজিয়া নয়নো ভাসে ,
দিনান্তে দিপীকা হারালে অন্তরালে।
নিশি যাপনে একেলা হৃদয় হুফিয়া হুফিয়া কাঁদিয়া উঠে,
তাহারে ভাবিয়া মন কাঁদিয়া কাঁদিয়া চলে।
তাহারী ক্ষনো বিরহে জিবনো জ্বলে,
তার ত্বরে প্রেম রয়ে গেছে বলে।
শূন্য আষাঢ় চার দিকে জল,
তরীতে উঠেছে সে কেবল।
দক্ষিনা গগন আধাঁরে ঢাকিয়া,
ডাকিয়া উঠেছে বানেরো লাগিয়া।
মধ্য গাঙ্গে আসিয়া তরী,
ঠেকিয়াছে তাহার মাঝিরো লগি।
হাফিয়া হাফিয়া জল উঠিয়াছে বারে বারে।
শূন্য নদীতে একেলা মাঝি,
তাহারে লইয়্যা পড়িতেছে তজবি।
শ্রাবনের স্রোত উঠেছে তেড়ে,
বান তুলেছে পশ্চিমের ধারে।
নাও মাঝি নির্ভয়ে,
ছাড়িয়াছে তরী তাহারী ত্বরে।
তরী প্রায় কূলো কাছে ভিড়ে ভিড়ে,
শ্রবন নিয়াছে তারে আপনো করে।
তরী আর ভিড়লোনা কূলে,
চলে গেল সে জিবনের তলে।
দিনান্তে দিপীকায় তাই তারে,
মনে পড়ে যায় বারে বারে।