somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা কি নিরাপদ? :( :((হাকাশে মহা বিপদ!!! B:-) :( :|

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের এই পৃথিবী আজ হুমকির মুখে, পরিবেশবাদীদের মুখে এ কথা প্রায়ই শোনা যায়। এ কাথাটি বলার পেছনে যথেষ্ট কারনও রয়েছে। কারন চারদিকে পরিবেশের অবনতির লক্ষন আজ অতি স্পষ্ঠ। গ্রীনহাউজ এফেক্ট, বায়ু দূষন, বন ধ্বসং, পরমানবিক অস্ত্রের বিস্তার ইত্যাদি নানা করনে আমাদে পৃথিবী আজ সত্যিই হুমকির মুখে। আসলে এ অবস্থার জন্য মানুষই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দায়ী। তাই মানুষই এ হুমকি নিরসন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো একদিন সফলও হবে। কিন্তু তার পরেও পৃথিবীর জন্য বয়েছে সম্পুর্ন আলাদা এক বিপদ। কি সেই বিপদ? হ্যাঁ এ নিয়ে আলোচনা শুরু করছি ১৯৯৪ সালে মহাকাশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে।
১৯৯৪ সাল জুলাই মাসের ১৬-২২ তারিখ, সরা পৃথিবীর জ্যোতির্বিদদের অবাক করে দিয়ে মহাকেশে ঘটল এক অতি বিরল দৃশ্য। শুমেকার-লেভি নামে একটি ধূমকেতুর অনেক গুলো খন্ড ভেঙ্গে পরল দানব গ্রহ বৃহস্পতির গায়ে। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য পৃথিবীর সব বড় বড় সব টেলিস্কোপ তাক করা হলো বৃহস্পতির দিকে। সেই সংঙ্গে যোগ হলো ভূমি থেকে ৬০০ কি:মি: উঁচুতে থাকা ‘হাবল’ নামক মহাকাশ দূরবীন এবং বৃহস্পতির ওপর অনুসন্ধান চালাবার জন্য প্রেরিত মহাকাশ যান গ্যালিলিওর দূরবীন। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে ১৬ই জুলাই শুরু হলো নাটকিয় সেই ঘটনা। বৃহস্পতির বুকে একে একে আঘাত হনাতে থাকলো শুমেকার-লেভি নামক ধূমকেতুর ছোট বড় খন্ড। কোন কোন আঘাতের ফলে আগুনের শিখা লিফিয়ে উঠল প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। ধূমকেতুর বড় খন্ডগুলোর সংঘর্ষের দৃশ্য পৃথিবী থেকে একটা সাধারন মানের দূরবীন দিয়েই দেখা যাচ্ছিল। এ সংর্ষের ফলে যে শক্তি সৃষ্টি হয় তা প্রায় কয়েক লাখ বড় মাপের হাইড্রোজন বোমার সমান।
এ ঘটনাটি জানার পর এজন সাধারন পাঠক হিসেবে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এ রকম ঘটনা কি পৃথিবীর ক্ষেত্র ঘটতে পরে? এর উত্তর দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা যে কথা বলেন তা মোটেই সুখকর নয়। কারন তারা বলেন “এ ধরনের আঘাত পৃথিবীর উপরও আসতে পারে এবং অতীতেও এসেছিলো””। ধুমকেতু বা অন্য কোন মহাজাগতিক বস্তুর সংঙ্গ পৃথিবীর সংর্ঘষের তিনটি বেশ জোরালো প্রমান বিজ্ঞানীদের হাতে বার্তমানে রয়েছে। এথমটি ঘটে প্রায় ৫০হজার বছর পূর্ব আরিজোনার উত্তরে।প্রায় ৬০ মিটার প্রশস্থ একটি গ্রহাণু আঘাতহানে সেখানে এর ফলে সৃষ্টি হয় প্রায় ৬০০ফুট গভীর এবং ৪০০০ ফুট প্রশস্ত একটি খাদ। আর যে পরিমান শক্তি সে সময় উদগীরিত হয় তার পরিমান ছিলো প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন টিএনটির সমপরিমান।
বিজ্ঞানী ধারনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর পূর্বে। সে সময় পৃথিবীর বুকে আছড়ে পরে একটি ধুমকেতু যার ব্যাস ছিল প্রায় ১০ কি:মি: এ আঘাতের ফলে প্রচুর পরিমান ধুলিকণা ও জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হয় যা সমগ্র আকাশকে ঢেকা ফেলে ঘন মেঘের আস্তরনে ফলে বহু বছর পর্যন্ত পৃথিবী বঞ্চিত হয় সূর্যালোক থেকে। বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন এই সংর্ঘষের ফলেই পৃথিবী থেক বিলুপ্ত হয়ে যায় অতিকায় প্রাণী ডাইনোস সহ ছোট বড় আরও নানা প্রকার প্রাণী এবং বিপুল প্রজাতীর উদ্ভিদ। বিজ্ঞানীরা ১৯৯০ সালে মেক্সিকোতে এ সংর্ঘষের প্রমানটি পান। মেক্সিকোর চিকসউলাব (Chicxulub) গ্রামে ১১২ মাইল প্রশস্ত একটি গর্তর সন্ধান পান। তারা হিসাব কষে দেখেন এ ধরনের একটি গর্ত কমপক্ষ ১০কি: মি: প্রস্ত কোন বস্তু পিন্ডের আঘাতেই সৃষ্টি হতে পারে।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে ১৯০৮ সালের ৩০ জুন। ঐ দিন সাইবেরিয়র তুংগুসহাতে আঘাতহানে একটি মহাজাগতিক বস্তু পিন্ড। যার ফলে প্রায় ৩২ কি:মি: এলাকার সব কিছু চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। সমস্ত ভূকম্পন যন্ত্র গুলোতে ধরা পরে অস্বাভাবিক কম্পন মাত্রা। ঐ এলাকার আকাশ ঢেকে গিয়েছিল ঘন ধুলি কণার মেঘে।
তাহলে আমরা কি নিরাপদ?

সূত্র: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫১
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×