২০৫৮ সাল।
দুপুরবেলা নাতি এসে বললো দাদা গল্প শুনান। অনেক রাজা রানীর গল্প হল। নাতির কিছুই পছন্দ হলনা। শুরুকরলাম আমাদের নির্বাচনের গল্প।
" নাতি আমাদের সময় নির্বাচন ছিল ফ্যান্টাস্টিক। নির্বাচনের আগের রাত ছিল চাদঁ রাত্রি।প্রার্থীরা সবাইকে নিজেদের পকেটের টাকা দিত খাওয়ার জন্য। নির্বাচনের দিন ভোটাররা সবাই কেন্দ্রে গিয়ে লটারি করতো। তারপর যার নাম উঠতো সেই নামে ভোট দিত। কেউ আবার চোখ বন্ধ করে উপর ১০, ২০, ৩০ গুনে ১০০ আসলে যেই মার্কায় হাত পড়তো সেখানেই সিল দিত।কারন সব প্রার্থীরাই ছিল সৎ। সবাই দেশের স্বার্থ নিয়ে ভাবতো। তাই ভোট একজনকে দিলেই হত।
তো একবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিল যে সাধারণ মানুষের এত কষ্টের দরকার নেই। প্রার্থীরা ও তাদের দয়ালু কর্মীরা নিজেরাই সাধারন মানুষের ভোট দিয়ে দিত। তবে কিছু প্রার্থী এটার বিরোধিতা করতো।কোন লাভ হতনা।কিছু বোকারা তারপরও কেন্দ্রে যেত ভোট দেওয়ার জন্য তারা দেখতো তাদের ভোট দেওয়া হয়েগেছে। তখন নিশ্চিন্তে বাসায় চলে আসতো।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল তখন তোমাদের মত ছোট ছেলেরাও ভোট দিতে পারতো। আমাদের সরকার সবকিছুই আমাদের হাতের নাগালে এনে দিয়েছিল। এমনকি ভোটও আমাদের দেওয়া লাগতোনা।"
অবশেষে নাতির গল্প পছন্দ হল এবং বুঝলো তার দাদা কত বড় ফ্যান্টাস্টিক যুগের মানুষ।
(কাল্পনিক)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৯