শিবির সমর্থককারী ব্লগার অধ্যাপক মাইনুল আরেক শিবির ব্লগার অধ্যাপক দ্বীপবালকের পোস্টে অধ্যাপক(!) গোআ বিষয়ক প্রশ্ন করেছেন আমাকে। তিনি বলেছেন গোআ নাকি ঢাবি'র ঝি-Ass(GS) নির্বাচিত হয়েছিল। অথচ সে সময়ে ঢাবি'তে জিএস/ভিপি এদেরকে নির্বাচিতভাবে নয়, বরং সরকার সিলেক্ট করত। গোআ যেহেতু পাকিস্তানের প্রতি বিশ্বস্থ ছিল তাই তাকে জিএস বানানো হয়েছিল।গোআ ফজলুল হক হলের ঝি-Ass ছিল।অবশ্য সে তখনও তার আসল রুপ দেখায়নি। মাইনুল আগেও আমার পোস্টে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে ফুটবলের ক্যাপ্টেন বানিয়ে দিয়েছিল।
মাইনুল বলেছেন: @ হ্যারি সেলডন, আপনি ভাল করে জেনে বলুন। গোলাম আজম সাহেব প্রথমে এস এম হলের জি এস নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবং সেখান থেকে ডাকসুর জি এস নির্বাচিত হন। উনি জি এস হিসাবে জিন্নাহ কে স্মারক লিপি দিয়ে ভাষা আন্দোলনের সুচনা করেন। সুতরং পাকিস্থানী শাসক দের পক্ষে থাকার প্রশ্নই উঠেনা।
মিরাজভাইয়ের ব্লগ হতে কোট করছি:
"সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য দাবী দাওয়ার পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করা ও East Bengal Legislative Assembly (EBLA) তে গৃহীত প্রস্তাবের পূর্ণ বাস্তবায়ন করার দাবীতে একটি দাবীনামা প্রস্তত করা হয় । দাবীনামাটি তৈরী করেন আব্দুর রহমান চৌধুরী (পরবর্তীতে বিচারপতি) । দাবীনামাটি পাঠ করার দায়িত্বটি ডাকসুর তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্টের উপর ন্যস্ত হলেও তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় স্টুডেন্টস একশন কমিটির নেতারা "বাংলাকে হিন্দুয়ানী ভাষা" হিসাবে প্রচার করার পাকিস্তানী চেষ্টার কারনে দাবীনামাটি পাঠের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৎকালীন জি এস গোলাম আজমকে । দাবীনামা প্রস্ততের সাথে জড়িত ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুবসহ স্টুডেন্টস একশন কমিটির নেতৃবৃন্দ । এই দাবীনামা প্রস্ততিতে গোলাম আজমের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলোনা ।
উল্লেখ্য তৎকালীন সময়ে ডাকসুর ভিপি এবং জি এস সরকার কর্তৃক মনোনীত হতো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলির ছাত্র সংসদের ভিপি এবং জি এসরা এই দায়িত্ব পর্যায়ক্রমিকভাবে পালন করতো । গোলাম আজম ফজলুল হক মুসলিম হলের জি এস হিসাবে মুসলিম লীগ সরকার কর্তৃক ঢাকসুর জি এস পদে মনোন্নয়ন লাভ করেন ।
গোলাম আজম সমাবেশে দাবীনামাটি পাঠ করেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত দাবীটি এড়িয়ে যেয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত কয়েকটি দাবী মেনে নেন । রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত দাবীটি এড়িয়ে যাওয়ায় সমাবেশস্থলে অসন্তোষের সৃষ্টি হয় । (৮)
এখানে একটি ব্যাপার উল্লেখ করতে হবে যে, গোলাম আজম রাজনৈতিক ভাবে মুসলিম লীগ সরকারের নীতির একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন । রাজনৈতিক অবস্থানের বিপরীতে ডাকসুর জি এস পদের কারণে সমাবেশে দাবীনামা পাঠের মধ্যে দিয়েই গোলাম আজমের ভাষা আন্দোলনে ভূমিকার অবসান হয় । এরপর থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত কোন আন্দোলনে গোলাম আজমের অংশগ্রহণ বা কোন ভূমিকা রাখার কথা কোথাও জানা যায়না ।"
নিচের লিংকগুলোতে গুতা মারেন:
১. মিরাজভাইয়ের ব্লগ হতে: গোআ নির্বাচিত জিএস ছিলনা
২.ইরানী এবং জামাতি ব্লগার আশরাফের ব্লগ হতে।
৩.মিরাজভাইয়ের ব্লগ থেকে নেয়া রোবটের পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০০৮ ভোর ৫:০২