somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার সোনার বাংলা, ক্ষমা কর আমায়।

০৫ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

http://www.youtube.com/watch?v=


১.
আমি খুবই ওল্ড-ফ্যাশান্‌ড। বিশেষ করে গানের দিকদিয়ে আমি এখনও উনবিংশ শতাব্দীতে বাস করি। ব্যান্ডের গান আমার ভাল লাগতনা বেশিরভাগই। কিছু নির্দিষ্ট গান মাঝে মাঝে ভাল লাগত। বেশিরভাগ গায়ক, সুরকার, গীতিকারদের নাম আমি জানিনা, চিনিওনা। (আচ্ছা সুরকার আর গায়কের মধ্যে পার্থক্য কি?) দেশে থাকতে আমি সব মিলিয়ে ২৫/৩০টা গান শুনতাম। এগুলো বারবার শুনতে থাকতাম। দিনের পর দিন।আরো ৫০টা মত গান মাঝে মাঝে শুনতাম। রোমান্টিক গানের সংগ্রহ ছিল সব মিলিয়ে দশটারও কম। কয়েকটা গান আমি প্রতিদিন ১০/১৫ বার শুনতাম। ঘুম থেকে উঠে শুনতাম, ঘুমানোর আগে শুনতাম।খাওয়ার আগে শূনতাম, খাওয়ার সময় শুনতাম, খাওয়ার পরে শুনতাম। আমার সোনার বাংলা আমি প্রতিদিনই শুনতাম। কমপক্ষে ৫ বার। কি যে ভাল লাগায় মন ছূঁয়ে যেত। মনটাই ভাল হয়ে যেত। ইচ্ছে হত বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষকে, প্রতিটা গাছকে, প্রতি ইন্ঞি মাটিকে ছুঁয়ে দিয়ে বলি আমি তোমাদেরকে ভালবাসি। ইচ্ছে হত চিৎকার দিয়ে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিই আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। আমি সোনার বাংলাকে ভালবাসি। মাহমুদুজ্জামানের আমি বাংলার গান গায় আমার ২য় ফেভারিট ছিল। এটাও খালি শুনতে থাকতাম। একনাগারে অনেক সময় সারাদিন শুনতাম। ক্লান্তি আসতনা। আমি একবার দেখি বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ। হেঁড়ে গলায় গাইতেও চেষ্টা করতাম। গানের গলা আমার কাকের চেয়েও খারাপ। তবুও তার সাথে গলা মিলিয়ে গাইতাম। EUPHORIA একটা শব্দ আছে। অত্যন্ত ভাল লাগা - দেহমন উভয়ই। সঠিক বাংলা কি কেউ জানেন? আমি বাংলার গান গায় শুনলে ঠিক এই euphoria-ই লাগত। দেহ-মনে কি যেন এক আজব ব্যাখ্যাতীত ভাল লাগা। কোন কারণ নেই। শুধু গান শুনলেই ভাল লাগে। এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। মনে হত আমার বাংলায় কারো কোন কষ্ট নেই। সবাই সুখী। মনে হত আমার বাংলার সবকিছু সুন্দর। আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই। আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার, আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার। আমি বাংলায় ভালবাসি, আমি বাংলাকে ভালবাসি, আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি। পরবর্তীতে যখন শুনলাম বাবু গানটা এক ভারতীয় বাংগালি প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কোন অনুমতি না নিয়েই এলবাম বের করেছিল তখন এত খারাপ লেগেছিল। বাবুকে বড় হৃদয়ের মানুষ মনে হয়, কিন্তু বিবিসি থেকে পুরষ্কার নেওয়ার সময় তিনি প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে কোন ক্রেডিট দেননি। তবে গানটা শুনতে এত ভাল লাগে না শুনে থাকতে পারিনা। এই একটা গান যতবারই আপনি শুনবেন ক্লান্তি আসবেনা। তারপরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো শুনতাম। সালাম, সালাম, হাজার সালাম শুনতাম। জয় বাংলা, বাংলার জয় শুনতাম। এগুলো কয়েকদিন পরেপরেই শুনতাম। আমার বন্ধুরা আমাকে টিটকারি মারত আমি তাদের মত হিপহপ গান শুনিনা, গানের আড্ডায় হা করে তাকিয়ে থাকি তারা কি বলে সেটা শুনি, নিজে কিছুই বলতে পারিনা। ইংরেজী গান তো কিছুই বুঝিনা। শুধু কিছু কান-ফাটানো চিৎকার মনে হত। জর্জ হ্যারিসনের "বাংলাদেশ" গানটা শুধু বুঝতাম, কারণ তার লিরিকস আমার কাছে ছিল। সেটাই শুনতাম। আমরা কি অকৃতজ্ঞ মানুষ, হ্যারিসনকে কোনদিন দেশে ডাকলামনা, তাকে কোন সম্মানই দিলামনা। অন্যান্য গানের মধ্যে আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা, আমি শুনেছি তোমরা নাকি এসব গান আর উত্তম কুমারের সিনেমার গানগুলো শুনতাম। উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেনকে ভাল লাগত।

২.
রবীন্দ্রসংগীত সবগুলো বুঝিনা, তবুও রবীন্দ্র-সংগীত শুনতাম। ভেংগে মোর ঘরের চাবি কেন বলেছে তালা না বলে সেই রহস্য আমি উদ্ধার করতে পারিনা। কিন্তু কেন জানি মনে হয় চাবি না বলে তালা বললে সুন্দর শুনাতনা। মনে হয় ওখানে চাবি বলাটায় যুক্তিযুক্ত, যেন চাবি না বললে ভাবটা এভাবে প্রকাশ পেতনা। যদি তোর ডাকে কেউ না আসে তবে একলা চলরে। ওখানে তোর না বলে তোমার বললে কি বিশ্রী শুনাতরে বাবা! এই বুড়াটা কিভাবে যে এসব বুঝত! তোরা যে যাই বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। এই লোকটা কিভাবে এসব সৃষ্টি করেছে? কিরকম মেধাসম্পন্ন মানুষ হলে এরকম সৃষ্টি করতে পারে? আমি নিশ্চিত বিশ্বসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের মত মেধাবী আর কেউ আসেনি, আসবেনা। নজরুল সংগীত খুবই কঠিন লাগে্। নজরলের কবিতা পড়তাম মাঝে মাঝে। এই লোকটা কিভাবে এ্ত অল্পশিক্ষিত হয়ে এসব লিখেছে? কিভাবে সম্ভব? আমাদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় আমরা নজরুলকে বড় দেখাতে গিয়ে কবিগুরুকে ছোট করে দেখি, আবার যারা রবীন্দ্রভক্ত তারা নজরুলকে দুচক্ষে দেখতে পারেনা। ব্যতিক্রম আছে, তবে এটাই কমন। কাউকে বড় করতে গিয়ে আমাদেরকে অন্য কাউকে ছোট করতেই হবে, নাহয় শান্তি পাইনা আমরা। আলোকিত মানুষ হওয়ার দৌড়ে যে আমরা কবে শামিল হব।


৩.
যা বলছিলাম, আমার ওল্ড-ফ্যাশান নিয়ে। আমি জানি আমি খুবই উদ্ভট। আধুনিক গান শুনেনা এরকম যুবক ছেলে পাওয়া মুশকিল। আমার বন্ধুরা তো আমাকে ছাগল বলে অনেকে এজন্য। আমার কম্পিউটারে এসব গান দেখে তারা হতাশ হয়। কিন্তু এরকম ওল্ড-ফ্যাশানড হতেই যে আমার ভাল লাগে। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি শুনলেই যে আমার মন ভাল থাকে। আমি বাংলার গান গায় শুনলেই যে আমার দেহমন অজানা অচেনা ভাল লাগায় ছুঁয়ে যায়। সালাম সালাম, হাজার সালাম শুনে আমি কেঁদে ফেলি। জেমসের "তুমি প্রতিটি পংগু মুক্তিযোদ্ধার অভিমানের সংসার " শুনে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে না পারার যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকি। চোখে ভেসে উঠে ছোটকালে নাটকে দেখা পংগু মুক্তিযোদ্ধা রিকসা চালাচ্ছেন একপায়ে। ভাড়া কম দেয়াতে যখন যে চড়ল তাকে আরো ১ টাকা দেওয়ার কথা বলল তখন টাস করে একটা চড় খেল। আমার সেই স্মৃতি মনে পড়ে যায়। ছোটকালের সেই নাটক দেখে আমি অনেকদিন কেঁদেছিলাম। মা এসে আমাকে জড়ি্যে ধরত, মাঝে মাঝে নিজেও কাঁদত। সেই মুক্তিযোদ্ধার চড় খাওয়ার স্মৃতি মনে ভেসে উঠে যখন আমি হায়দার আলীর গানটা শুনি। জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্য কিছুই করার নেই আমার, শুধু মাঝে মাঝে গান শুনে কান্নাকাটি করা ছাড়া। আমি দেখে যায় রাজাকাররা যখন পতাকা উড়িয়ে আমার ভাইয়ের রক্তেরাংগানো একুশে ফেব্রুয়ারীতে প্রধান অতিথি হয় তখন আমারই কোন মুক্তিযোদ্ধা ভাই ভিক্ষার থালা বাড়িয়ে দেয় পথচারীদের দিকে আর বিনিময়ে কোন গালি খায়। আমার সোনার বাংলা তুমি প্রতিটা পংগু মুক্তিযোদ্ধার অভিমানের সংসার।

৪.
বিথোভেন আর মোৎজার্টের ভক্তের অভাব নেই। বিথোভেনের নাইনথ সিম্ফনি তো লেজেন্ড। আমার কম্পিুটারের তাদের কম্পোজিশান ছিল। বিথোভেনের নাইনথ সিম্ফনী অনেকবার শুনেছি, এটার ব্যাখ্যা নেটে পড়েছি। কিন্তু কখনও আমার কাছে সেটা আমার সোনার বাংলার চেয়ে কখনও সুন্দর মনে হয়নি, শ্রুতিমধুর তো নয়ই। মাইক্রোসফট এনকার্টায় সবদেশের জাতীয় সংগীত ছিল। প্রায় সবদেশেরই জাতীয় সংগীত শুনার সুযোগ হয়েছে। আমাদের জাতীয় সংগীত বাই ফার অন্য যেকোন দেশের চেয়ে অনেক অনকে গুনে বেশী সুন্দর এবং আমাদের সারাদেশটাকেই ধারণ করে।

৫.
প্রিয় মুক্তিযোদ্ধারা, আমি তোমাদেরই উপহার দেয়া দেশের এক কুলাংগার সন্তান। তোমাদের স্বাধীনকৃত দেশেরই পেটের সাথে পিঠ লেগে যাওয়া দরিদ্র চাষীদের, গার্মেন্টসে ১৪ ঘন্টা কাজ করা বস্তিতে বাস করা আমার দেশের মেয়েদের আর মধ্যপ্রাচ্যে গায়ের রক্তকে পানি করা শ্রমের টাকার সরকারি ট্যাক্সে পড়ালেখা করেছি সেই ছোটকাল থেকে ঢাবি'তে পড়া পর্যন্ত। আমার প্রিয় মুক্তিযোদ্ধারা তোমাদেরই মুক্ত করা দেশে রাজাকারের বাচ্চারা আজ সবচেয়ে সুখে আছে। আমরা তোমাদের অযোগ্য, অথর্ব উত্তরসুরিরা তোমাদের এই অপমান দেখে কিছুই করিনা। নিজের আখের গোচানোর জন্য অন্যদেশে পাড়ি জমায়। অথবা আমার সোনার বাংলা গান শুনে মন ভাল হওয়ার ধান্ধায় থাকি। এই সোনার বাংলা পাওয়ার জন্য তোমাদের কত ত্যাগ করতে হয়েছে সেটা একবারেরর জন্যও মাথা ঘামায়না। ২৬শে মার্চ আর ১৬ই ডিসেম্বর এলে আমরা তোমাদেরকে কাংগালি ভোজ খাওয়ায়। আমাদের পেটভরে খাওয়ার স্বাধীনতা আনার জন্য তোমরা নিজের জীবনকে ত্যাগ করতে রাজি ছিলে আর আমরা বছরের ৩৬৩দিন তোমাদের কথা মনে করিনা একবারের জন্যও। প্রিয় মুক্তিযোদ্ধারা, তোমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল, আমরা তোমাদের স্বপ্নকে এখন ঠাট্টা করি। তোমাদের প্রাণের ভয় না করে যুদ্ধে যাওয়ার ইতিহাস আজ আমাদের কাছে অন্য যে কোন সাধারণ ঘটনার মত শুধুই এক অতীত, যে অতীতকে ভুলে গিয়ে সামনে তাকাতে আমাদেরকে আমাদের রাজনীতিবিদরা উপদেশ দেয়। প্রিয় মুক্তিযোদ্ধারা, আমাদেরকে ক্ষমা কর। আমি তোমাদের উত্তরসুরি হওয়ার যোগ্য নয়। বেশির থেকে বেশি হলে আমি শুধু তোমাদের দূর্দশা দেখে কিছুক্ষণের জন্য মনখারাপ করতে পারি, রাজাকারদের লাফানি দেখে রাগে কিছুক্ষণ দাঁত কিড়মিড় করে উঠে হয়ত। নিষ্ফল আক্রোশে সবাইকেই শত্রু মনে হয় হয়ত কিছুক্ষণের জন্য, এই পর্যন্তই আমার দৌড়। বড়জোড় সামহয়ারে একটা আবেগময় লেখা দিতে পারি। তোমাদের জানবাজি রাখার, বাপ-ভাইকে হারানোর, সারা জীবন পংগু থাকার, মা-বোনকে পাকিস্তানিদের হাতে হারানোর, নয়মাস প্রতিটা মুহুর্ত্য প্রাণের ভয়ে গুটিসুটি হয়ে থাকার জন্য এটাই তোমাদের জন্য আমার বিনিময়। নিজের প্রতি মাঝে মাঝে প্রচন্ড ঘেন্না হয়, সে পর্যন্তই। পরমুহুর্ত্যেই আবার নিজের ক্যারিয়ার গোচানোর জন্য কাজে নেমে পড়ি।

৬.
আজকে ইউ-টিউবে একটা বাংলা নাটক দেখলাম। আশা অপরাজেয়। দেখে মনটা এত খারাপ হয়ে গেল। তারপর থেকে "আমার সোনার বাংলা" শুনতেছি। আমার সোনার বাংলা এত বেশিবার শুনেছি এখানে আসার পর থেকে যে আমার ইন্ডিয়ান রুমমেটদেরও এখন মুখস্ত হয়ে গেছে। তাদেরকে অবশ্য আমি প্রায়ই স্মরণ করিয়ে দিই যে তাদের জাতীয় সংগীতও রবীন্দ্রনাথের লেখা। বন্দে মাতরম বংকিমের লেখা।

প্রিয় বাংলাদেশ, তোমার জন্য, তোমার মানুষের, জন্য তোমার বুকের সেরা সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হয়ত কোনদিনই কিছুই করতে পারবনা। পারার সামর্থ্য থাকলেও হয়ত স্বার্থপরতার জন্য কিছুই করবনা। তবুও তোমাকে ভালবাসি প্রিয় বাংলাদেশ। তোমার প্রতিটা মানুষকে, তোমার প্রতিটা গাছ-পালা, নদী-খাল, তোমার প্রতি ইন্ঞি মাটি সবকিছুকে ভালবাসি।


http://www.youtube.com/watch?v=



সংযুক্তি: প্রথম ইউ-টিউব ভিডিওটা আমাদের জাতীয় সংগীত আর শেষেরটা "আমি বাংলায় গান গায়।"
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০০৮ ভোর ৬:০৮
৩৯টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×