হাসিব বিন শহিদ, প্রাইমখবর
ঢাকা: গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে পূর্ণ ক্ষমতা অনুসারে বিদ্যুতের উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পূর্বের তুলনায় কম হলেও লোডশেডিং পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পিডিবি’র পরিচালক (গণসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী প্রাইমখবরকে বলেন, ‘চাহিদা ও উৎপাদনের ফারাক থাকায় বর্তমানে কিছু লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেগুলোতে পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ক্ষমতা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে লোডশেডিং কভার করা সম্ভব ছিল।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে দিনে এক ঘন্টা ও রাতে এক ঘন্টা লোডশেডিং করা সম্ভব। কেননা আমাদের তেলের মেশিন ও গ্যাসের মেশিন রয়েছে। লোডশেডিং দুই ঘন্টা রাখার সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে পিডিবি।’
রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে এখনো বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পিডিবি সূত্রে জানায়, বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৭৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে গ্যাস। অর্থাৎ সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পিডিবি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৪ আগষ্ট ছয় হাজার তিনশ’ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়ে পিডিবি।
জানা যায়, অর্থ-মন্ত্রণালয় গত রমজান মাসের পুরোটা সময় যথাসম্ভব লোডশেডিং না করার জন্য পিডিবি’কে পাঁচশ’ কোটি টাকার একটি তহবিল দিয়েছিল। যাতে উচ্চমূল্যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি তেল কিনে ভর্তুকি দিয়ে ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিক্রি করতে পারে এবং এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনে লোকসান দিয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর খরচ সামলানো যায়। এ তহবিলের ফলে দেশে জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে আগষ্টের শেষ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছিলো। পিডিবি’র তথ্যানুসারে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ৬ হাজার দুইশ’ মেগাওয়াট এবং উৎপাদন ৫ হাজার আটশ’ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। ঘাটতি সাড়ে তিনশ’ মেগাওয়াটের কাছাকাছি।
(এইচ বি এস/সেপ্টেম্বর ৮,২০১২)