ওগো মা তুমি এই ধরণীর শ্রেষ্ঠ
নেয়ামাত।
কে আছে সন্তানের এমন আপনজন মা
ছাড়া।
সে মা আমাদের সমাজে আর কতকাল
দারিদ্রতার গ্লানি টানবে। কতকাল ইট
ভেঙ্গে আর গার্মেন্টস এ চাকরি করে দু
বেলা পেট বাঁচাবে। আমাদের পুরুষ
জাতি কোথায় হারালো।
কোথায় হারালো আমাদের সভ্য
জাতিরা।
যারা নিষ্পাপ মায়েদের ঘর থেকে
বের করে কর্মমুখী হওয়ার সাহস জোগায়।
লাল-নীল টিপ পড়ে তারা
মানবাধিকারের কথা বলে।
তারা নারী সমাজকে রাস্তায়
নামিয়ে আনে।
হ্যাঁ তবে কি তাদের এই কর্মমূখি হল
রাস্তার ধারে বসে ইট ভাঙ্গা।
তবে কি তাদের আত্মকর্মসংস্থান পথ হল
কি গার্মেন্টস এ ওভার টাইম করে পয়সা
কামানো। তারা মাধ্যমিক-উচ্চমা
ধ্যমিক শিক্ষিত হয়ে আত্মকর্মসংস্থান
এর নামে ভুক্তে হয় করুণ দশা।
তারা কেবল নারীদের অধিকার
নিয়ে কথা বলে।
সমাজ নাকি নারীদের অধিকার
দেয়নি।
তারা কেবল অধিকারের কথা বলে।
তাহলে বস্তিতে বেড়ে উঠা সেই মা
এখন কেন পেটের দায়ে তার সদ্য ভূমিষ্ঠ
হওয়া সন্তানকে মাত্র এক লাখ টাকার
বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে হয়।
অবহেলিত সে মা এখনও জানেনা তার
গন্তব্য কোথায়।
হ্যাঁ আজ হয়ত তাকে নানা অপবাদ
দিবে তোমরা।
কিন্তু তার অপবাদ পাওয়ার মমার্থ কি
ছিল তা নিশ্চয় তোমরা জানতে
চাইবে না।
হয়ত তোমরা তাকে পুনর্বাসন এর কথাই
বলবে আর বেশি কিছু নাহ।
বরং তোমরা পুরুষ জাতি থেকে
নারীকে আলাদা করেছ তাদের
কষ্টকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
তোমরা সমাজ পরিব্রাজক।
তাহলে পটুয়াখালীর ময়না নামের সে
মা কেন তার গন্তব্য খুঁজে পায়না।কেন
হাজারো মায়ের আর্তনাদ তোমরা
শুননাহ।
হ্যাঁ আমি জানি, সে মা তার
সন্তানকে টাকার জন্য বিক্রি করেনি।
সে মা জানে তোমরা পরিব্রাজক নাম
মাত্র।
তাই সে মা আরেক সদ্য নারী
সন্তানের জননী হয়ে চায়না তার মত
দারিদ্রতার গ্লানি টেনে তার
সন্তান ও বড় হোক। তার মত রাস্তার
ধারে ইট ভেঙ্গে অসহায় বন্ধনে আবদ্ধ
হোক।
হ্যাঁ সে মা তার সন্তানকে বিক্রি
করেনি।
বরং তাঁর সন্তানকে সুখে রেখে সে
মা বাকী জীবনও শ্রম করে আড়ালে
কাঁদবে।
আর সন্তানের সুখ শুনে বৃথা মৃদু হাসি
হাসবে। আবার কখনও মৃত্যর ওপাড়ে
হারিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩