somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবেগ,কল্পনা,অযৌক্তিক ও অলৌকিকতায় বিশ্বাসী বাঙ্গালী

২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চিন্তা,চেতনা ও জ্ঞানের স্বল্পতার করনে-উন্নত রাষ্ট্রের তুলনায় অযৌক্তিক আবেগ,বংশগত স্বভাব ও আদীমত্ত মনোভাব বাংলার সমাজে কঠিনভাবে গ্রাস করে আছে। জগৎ যে পরিবর্তনশীল সেটা বাংলার লোকেদের মুখুস্ত করা থাকলেও আজও তার সত্যতা বুঝতে পারেনি। এজন্য এখানে ৯৯% মানসিক রুগী ভালভাবে বলা যায়। আর ৪৯% জন মানসিক রোগে চরম অবস্থায় থাকলেও বাংলার জনগনের কাছে খুবই স্বাভাবিক তারা। কেননা ৪৯% জটিল মানসিক অবস্থায় থাকা লোকেদের কথায় ৯৯% মানসিক ব্যক্তিরা চরম জমা খরচ করে,মুল্য দেয়,প্রতিবাদ করে,দুক্ষ পায়,থানা পুলিশ করে অর্থ খরচ করে ও টেনশন বোধ করতে দেখেছি আমি সারাক্ষন। অনেকেই যারা উন্নত রাষ্টের কালচার জানে-তারা বলে একলাখে একজন মানুশ স্বুস্থ-স্বাভাকিক আছে বাংলাদেশে। তাও আবার সংখ্যাগরিষ্টদের অসুস্থতার কারনে সেই সংখ্যালঘু একজন অসুস্থ হতে বসেছে।

মুসলিম বাংলার কিছুকথাঃ- (১) একজন লোক ২৫ রোজায় ইফতারী দেওয়ার নিয়ত করেছে। তো ইফতারী দেওয়ার জন্য তার পরিবার ও তার আত্নীয়রা মিলে যুক্তি বের করলো যে,খিচুড়িতে মুশুরীর ডাল তিন ভাগের এক ভাগ ও বুটের ডাল বাকি দুই ভাগ দিয়ে রান্না করলে খরচ কম হবে। আবার এলাকার মানুশগুলোও দেখবে অমুক দানশীল ও ভাল মনের মানুশ বা ইফতারী দেওয়ার জন্য নাম হবে তার। এখানে মোঃ সাঃ কে মান্য করা হচ্ছেনা বরং তার সৃষ্টিকরা ধর্মকে ডোবানো চচ্ছে এবং সমাজ ও অন্য রাষ্ট্রের কাছে মসুলমানের চিন্তা-চেতনায় অসৎ ও ভন্ডামি স্পষ্ট লুকিয়ে আছে সেটা প্রকাশ করছে।

(২) জুমআর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে একসাথে বহু লোক বের হয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে-তাম্মধ্যে একজন মোবাইল অন করার সাথে সাথে ফোন এলো। সে ফোন রিসিপ করে জোরে জোরে উত্তর দিচ্ছে,আমিতো এখন ঢাকায়-ফেরির উপর আছি। তারপর আবরো বল্লো
না না আমি এখন ফেরির উপর আছি। আসেপাশের লোকগুলো নামাজ পড়ে স্বভাবিকভাবে চলছে-এমন মিথ্যা কথা শুনে কারো যেন বিন্দুমাত্র শ্রবণাভূতি নেই। অথচ কথোপকথোন হচ্ছে ঢাকা থেকে ৪৫০ কিঃমিঃ দুরের কোন এলাকায়।

(৩) মফশ্বাল শহরে একদিন রাইচ কুকার কিনতে গেলে দোকানি বল্লো-গিফট দিবেন নাকি নিজে ব্যবহার করবেন? আমি বল্লাম তার অর্থ কি? সে স্বাভাবিকভাবে বল্লো গিফট দিলে ১৫০০ টাকারটা নেন আর নিজে ব্যবহার করলে ৩২০০ টকারটা নেন। দোকানে আরো ৪/৫ জন দোকানদারী করছে-আরো অনেকেই সেখানে ক্রেতা আছে-অনেকেই দোকানদারের একথা শুনল অথচ কারো যেন কোন কর্ণপাত নেই। আমি তখন দোকানীকে বললাম তাহলে আমার ১৫০০ টাকাও লস হবে আবার দুদিন পরে জিনিশটা নষ্ট হয়ে গেলে দুর্নামও গালী হবে-এ কেমন কথা-এ কেমন যুক্তি! আমার রিলেটিভের কাছে আপনি এভাবে আমাকে পচানোর যুক্তি কেন দিচ্ছেন? এভবে অসৎ যুক্তি দিতে আপনার একটুও বিবেকে বাধা দিচ্ছেনা! ওপাশ থেকে একজন আস্তেকরে বল্লো এ আবার কোন ফেরেসতা। আমি বল্লাম ছি ছি ইসলাম আপনাকে এই শিখিয়েছে! আপনি কোরআনের বাংলা ভালকরে বুঝে বুঝে পড়বেন-নিজের মন মত করে বুঝবেননা। কখনও কারো শোনা কথায় ইসলামকে ভূল ভাববেননা। ইসলাম শ্বান্তির ধর্ম-ভালকরে না বুঝে ব্যাখ্যা করলে সেটা অশান্তির সৃষ্টি করবে।

(৪) একদা বাসে করে যাচ্ছি-সাথে আমার ইংল্যান্ডি বন্ধু আছে। হেলপার বাসের গায়ে চরম জোরে ঘা দিচ্ছে আর বিদেশী লাফিয়ে উঠছে। কিছুক্ষন পর বাসের মধ্যে কয়েকজন লোক কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি করতে লাগল বিদেশি বিরক্ত হয়ে ও ভয় পেয়ে আমাকে ঘটনা জিজ্ঞেস করাতে বললাম-কন্ট্রাকটার বাসে ভীড় থাকা সত্তেও-কয়েকজন বৃদ্ধ ও আধাবয়সি যাত্রীকে বল্লো যে বাস খালি এবং সে ছিটে বসিয়ে দেবে-অথচ যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে উঠে দেখে বাসে দাড়ানোর জায়গা নেই-আবার তারা অসুস্থ বলে নামতে চাইলে নামতে দিচ্ছেনা হেলপার। বিদেশী তখন অবাক হয়ে বল্লো এভাবেইকি এসমাজ চলে-নাকি এটাই প্রথম ঘটনা ঘটে চলেছে।আমি
বললাম এরকম ঘটনা খুবই স্বাভাবিক এখানে। বিদেশি বল্লো ইসলাম ধর্মেও না চরম নিশেধ আছ-মিথ্যা কথা বলা পাপ ! আমি বল্লাম এদেশে ৯৯% লোক নামে মুসলিম। বংশগতভাবে না হয়ে যদি এখানে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের ব্যবস্থা থাকত-তাহলে ৯৯জন লোকই ফেল করত।

(৫) মামাতো বোনের বিয়েতে-মামা দাওয়াত করতে এসেছে-২০০০ লোকের আয়োজন বা খাওয়ানো হবে বল্লো। তো আমি মামাকে বল্লাম যে,মামা আপনারতো যথেষ্ট টাকা আছে-আপনি উপহার না নিয়ে আসার জন্য দাওয়াতি লোকেদেরকে নিষেধ করে দিলে কেমন হয়। আপনি মেয়ের বিয়েতে খুশি হয়ে মানুশদেরকে দাওয়াত দিচ্ছেন খাওয়াবেন বলে-আবার সেই আপনি দাওয়াত দিয়ে মানুশদেরকে বিপদ ও টেনশনে ফেলে দিচ্ছেন গিফর্ট আনতে নিষেধ না করে। এখানে একজন ব্যক্তি ১/২ শত টাকার খ্যাদ্য খাবে-তো ৩০০/১০০০
টাকার গিফট না নিয়েও কেউ আসতে পারেনা-সুভিদাবাদি সমাজ এটা চালু করে ফেলেছে। এভাবে শাদী হলে মানুশেরা মুখে হাসবে কিন্তু অন্তরে অখুশি থাকবে। এভাবে কখনও কোন ভাল দিক প্রমান হয়না। এসব চিটারী,ভন্ডামী ও ধান্দাবাজির লক্ষন ছাড়া কিছু নয়। এসব আদীমত্ত অভ্যাস বন্দ করেন। মেয়ের বিয়েতে মানুশদের দাওয়াত দেন এবং কার্ডে লিখে দেন যে,কোন রকম গিফট বা উপঢৗকন গ্রহন করা হবেনা। আপনারা শুধু খুশি হয়ে নবদম্পত্তির জন্য দোয়া ও আশির্বাদ করবেন। তাছাড়া এই ধুষর সমাজে আপনার নামও হবে যে ওমুক লোকের মন বড়। বিষয়টা মামার মাথায় লাগল এবং সেই মোতাবেক কার্য সম্পাদন হল এবং মানুশেরাও খুশি হয়ে শাদী খেয়ে চলে গেল-আর এই কারনেই আমি দেখলাম কোন রকম গোলযোগের চিন্তা মানুশদের মাথায় আসলেও-সকলেই যেন ক্ষমাসুন্দর ও ছাড়ছোড়ের সৃষ্টিতে দেখছে-কারো মাথায় অর্থসম্পর্কিত গিফট এর কোন চাপ নেই বলে।

(৬) আমার কোষ্টকাঠির্ণ বলে-একদা রোজার সময় দোকান থেকে কলাপাকা কিনে খা্ছি-তো দোকানের ভেতর থেকে লোক জন বারবার আমাকে বলছে আপনি ভেতরে এসে খান। আমি বল্লাম কেন আপনারাকি আল্লাকে ভয় পান নাকি জনগনকে-তখন যেন একটু আধটু বুঝতে না পারলেও সকলে চুপ রইল। তবে ভাবলাম ওরা পাগলই মনে করেছে আমাকে।

(৭) একদা স্বামীস্ত্রীর মধ্যে গোলযোগ চলছে-দুই বছর হল তাদের বিয়ে হয়েছে-তো প্রায়ই তাদের মধ্যে গোলযোগ চলে। স্বামী দক্ষিন অঞ্চলের লোক-ঘের ভেড়ী আছে-ঈদের সময় ছাড়া গায়ে সাবান মাখেনা-যেখানেই যাক সে লুঙ্গী,পাঞ্জাবি ও টুপি ছাড়া পরেনা-আতপ চাউলের ভাত খায়-আন্চলিক ভাষায় ছাড়া কথা বলতে চায়না যেমন-খ্যেতি,দিতি,নিতি,ওম্বায় গ্যেজি বেরুতি ইত্যাদী- দাত ব্রাস করে ছায় বা কয়লা দিয়ে-যেখানে সেখানে মুখ খুলে হাচি থুতু শব্দ করে ফেলতে পছন্দ করে। স্ত্রী উত্তর অঞ্চলের মানুষ-উপোরোক্ত সবগুলোই তার বিপরিত। এছাড়া বহু কথা ও কাজে তাদের প্রায় বাধে। ছোটখাটভাবে তাদের শরীরে হাত উঠাউঠিও হয়।

সমাজের বিচারকগন ও আত্নীয়রা ডেড় বছর ধরে তাদের শুধু মিলেমিসে চলার কথায় বলে আর কেউ স্ত্রীকে দোষারোপ করে-আবার কোন কোন ক্ষেত্রে কেউ কেউ স্বামীকে দোষারোপ করে-এভাবেই চলছে-আবার বেশিরভাগ লোকই বাচাগাচা নিলে ঠিক হয়ে যাবে একথা বলে মুড়ো মেরে দেয়। এসমাজের লোক এতটাই ভাল যে কেউ আজপর্যন্ত বল্লোনা যে তোমরা সেপারেট বা ডির্ভোস হয়ে যাও-কেননা অন্যরা যেন তাদের বিপদের ও গোলযোগের মজা পেতে ভালবাসে-এটা এসমাজের টেনডেনসি হয়ে গেছে। কথায় আছেনা-(সুখের কথায় হিংসা হয়-দুক্ষের কথায় সুযোগ খোজে ইত্যাদী)। যাহোক এর মধ্যে স্বামী ৩ বার বাড়ি থেকে চলে গেছে আর স্ত্রী ৭ বার। তারপরও সকলেই তাদের মিল করে দেওয়ার কথা বলে। আমি এসব দেখে ভাবলাম এরপর খুন,আত্নহত্যা ও ভয়ঙ্কর ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে-তাছাড়া যদি কোনভাবে বাচ্চা বেধে যায় তাহলে বাচ্চাটা চরমভাবে মানসিক ও শারীরক সমস্যায় পড়ে সমাজে আরেকটা নতুন মানসিক রুগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং সেও সমাজে যথেষ্ট বিশৃঙ্খলার ও দুর্নিতির সৃষ্টি করবে। আমি তাদের বল্লাম ৩ দিনের মধ্যে যদি তোমরা ডির্ভোসি বা সেপারেট না হও তাহলে তোমাদের কিন্তু বিপদের শেষ থাকবেনা এবং তার স্ত্রীকে বল্লাম তুমিই ডির্ভোস দেবে ও তোমার স্বামী সেটাতে সই করে দেবে-ব্যাচ। সেই মোতাবেগ তারা কাজ করল এবং ৫ বছর পর তাদের খবর নেওয়া হলে তারা আমার প্রতি খুব খুশি-স্বামী ঘের ভেড়ী দেখাশোনা করে স্ত্রী চাকরি করে-কেউ এখনও বিয়ে করেনি এবং না করে ভালআছে একথা বল্লো।

(৮) একদা এক বদ্ধুর বোনের বিয়েতে গ্রামে দুদিন আগেই গেছি-বন্ধুর সাথে। তো দেখি বন্ধুদের বাড়ির ভেতরে ও বাইরে কোথাও প্লাষ্টার নেই-বাড়ির ভেতরের আলমারি,পালঙ্ক,টেবিল,শোকেচগুলো সব একহাত করে বিভিন্ন ধরনের টিক দিয়ে উচু উচু করা। কিন্তু বাড়ির সামনের অংশটুকু শুধু টাইলস বসানোর কাজ চলছে। আমি বন্ধুর বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম শুধু সামনেরটুকু টাইলস বসানোর অর্থ। উনি বল্লো বরপক্ষের দোতলা বাড়ি-বড়লোক তারা-তিন বছর আগে ৪ লক্ষ টাকা দেনা করে এই বাড়ি আমি তৈরী করেছি মেয়ে বিয়ে দেব বলে-এখনও দেনা শোধ হয়নি-তায় অনেক কষ্টকরে,হাওলাদ করে সামনের টুকু অন্তত্ব টাইলস দিচ্ছি-যাতে মানসন্মান কিছুটা বাড়ে বা থাকে। বাংলার জনগনের এসব কথা আমি ঠিক বুঝতে পারিনা যে, এভাবে ঘরবাড়ি তৈরী করে অর্থ বসিয়ে,পেটমোটা মটর সাইকেল কিনে অর্থাপচয় করে আর বাচ্চা ফোটানের মাঝে কিভাবে মানসন্মান বা মর্যদা নিহিত থাকতে পারে! দামী দামী শাড়ী,গয়না,পোষাক পরে বাইরে চাকচিক্য ও ফিটফাট করে ভেতরে সদরঘট রেখে প্রত্যেকেই প্রত্যেককে কিভাবে এমন অন্ধ সেজে দাম দেখাতে ও ঠকাতে পারে! অথচ (শেখসাদি কত আগেই সেইসব পোশাকী ভদ্রতার কথা বলে গেছে) আর আমরা মুখুস্ত করে গিলে ফেলেছি।

যাহোক আমি বন্ধুর বাপের সম্পর্কে আসে পাশে গল্পে গল্পে খোজ নিয়ে দেখি লোকটা অতটাই খারাপ যে,সে বাড়ি তৈরীর জন্য নিজের ভাইকে কিসব খাইয়ে পাগল বানিয়ে তার জমি কম দামে বিক্রি করেছে,নিজের বোনকে তাড়াহুড়া করে এক অসভ্য ও মাতালের সাথে বিয়ে দিয়েছে কিছু টাকার বিনিময়ে। তার বোনটা তার বরের মানসিক অত্যাচার সয্য করতে না পেরে দুইবার আত্নহত্যা করার চেষ্টা করেছে,এলাকার দুই জনের কাছ থেকে বিদেশ পাঠানোর নাম করে টাকা নিয়ে-দেওয়ার জন্য বছর বছর ওয়াদা করছে। বিভিন্ন দোকানে বাকি নিয়ে হালখাতা করছেনা। তার শালীর কাছথেকে টাকা হাওলাদ করে দিতে না পারায় ভাইরার সাথে সম্পর্ক খারাপ, এবং আগে ডুপলিকেট আর অরজিনাল কসমেটিকের মাল মিক্স করে বিক্রি করত-এখন শোনা যায় পুরাটাই জিনজিরার কসমেটিক্স বিক্রি করে এবং খুববেশি পরিচিত লোক তার দোকানে ঠকতে যায়না।

এরপর কন্যাযাত্রী গেলাম ছেলে পক্ষের বাড়ি। সেখানে গিয়ে কিছু রহস্য উৎঘাটন করে দেখলাম-মেয়ের বাবার চেয়ে ছেলে পক্ষ কোন অংশে দুর্নিতিতে কম নয়। তিনিও এক বছর আগে দুতলা বাড়ি তৈরী করেছে-ছেলে বড় ঘরে বিয়ে দেওয়ার আশায়-এবং বাড়ি তৈরীর অর্থ বের করেছে নিজের আত্নীয়,পরিবার ও সমাজের লোকের ঠকিয়ে। মেয়ের বাবা আগে লোকের দোকানে কর্মচারী ছিল সেখান থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকা আত্নসাৎ করে-বহ বিচার-বিশ্লেষন করেও তার কাছ থেকে টাকা আদায় করা যাচ্ছেনা এবং তিনি লোকেদেরকে বোঝাচ্ছেন যে সেই টাকায় বাড়ি তৈরী করে টাকা বসে গেছে। তানার প্রকাশ্যে পানের দোকান-কিন্তু ভেতরে দুই নাম্বারী ব্যবসাও চলে। তানার বাড়ি দোতলা ঠিকই আছে-কিন্তু জানালায় চটা বাধা আর দরজায় শাড়ী টানানো-দেওয়ালে কোন প্লাষ্টার নেই-ছেলে বোম্বে থাকে -বিয়ের পর আবার চলে যাবে। (এভাবে কেন মানুশগুলো একে অন্যের কাছে দাম দেখানোর জন্য ও ছেলে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকেই ভন্ডামীর আশ্রয় নিয়ে বাড়ি,গাড়ি ও বাচ্চা গড়ে তুলতে গিয়ে অর্থ বসিয়ে ফেলে বা অপচয় করে-নিজে ঝামেলায় পড়ে- পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে কিভাবে মজা পায় ও খুশি হয় সেসব যুক্তিতে আসেনা-তবে এটুকু বোঝা যায় এসব কোন সুচিন্তা নয় বরং কুচিন্তার ফল।

উন্নত রাষ্ট্রে বাচ্চা জ্বন্ম দেওয়ার জন্য সরকার কত তোষামোদ করছে এবং বাচ্চার যাবতিয় খরচ বহন ও এমনকি তাকে পুরা প্রতিষ্টিত করার দ্বায়িত্ব নিচ্ছে এবং মাবাবাকেও অনেক ফ্যাছালিটি দিয়ে থাকে। তবু তারা বাচ্চা নেওয়াটাকে দূর্ভোগ মনে করে বা ভয় পায় সঠিকভাবে মানুষ করতে না পারা ও নিজের সুখ নষ্ট হবার ভয়ে। অথচ বাংলার জনগন স্পষ্টই জানে যে বিয়ে করতে হয় আর তারপর
একে একে আন্ডাবাচ্চা জ্বন্ম দিতে হয় এবং আল্লা তাদের মানুশ করে বড় করে। অথচ বাচ্চা মানুশ করার জন্য অর্থ,সময়,স্বাস্থ ও জ্ঞান ইত্যাদীর প্রয়জন আছে-সেগুলো ৯৯ জনের বোধের বাইরে। নারীগুলোও বিয়ের পরপরই ডিমপাড়া মুরগীর মত প্রস্তুত হতে পছন্দ করে। পুরুশগুলোও এসব বাচাগাচা নিয়ে ঝামেলায় জড়ানো পূর্ব রেওয়াজের ধারাবাহিকতার বাইরে ভাবতে পারেনা। এ সমাজ ,বাড়ি,গাড়ি নারী,বৌ,বাচ্চার মধ্যে এতটাই সিমাবদ্ধ ও ব্যস্ত থাকতে চায় যে,কাচা মাংশ খাওয়ার প্রচলন,টেমির আলোয় পথচলা,বাশ বাগানে মল ত্যাগ করা আর রেজিষ্ট্রেশান করে ৫/৬ টা বৌ ঘরে রাখা ফরজ কি সুন্নাত সেসব ভাবার সময় রাখেনা-ক্লিয়ার হুজুকে মাতাল যে যা বলে তা করে- আর একবার মাথায় ঢুকে গেলে বা ঢুকাতে পারলে আর রক্ষে নেই-সেই সেটিং আর ডিলিট হয়না। এখানে নারী পুরুশ লাইফটা কি বোঝেনা -জীবনের ভাল ভাল দিকগুলো কি-বা কেমন করে ভোগ করা যায় যানেনা। এরা সুখ ও আনন্দগুলোকে ইচ্ছা করে নিজেরা নিজেদের ও নিজের সন্তানদের গলাটিপে হত্যা ও নষ্ট করছে। এরা জানেনা যে নারীপুরুশ প্রত্যেকেই অর্থনৈতিকভাবে চাকুরী ও ব্যবসা করে প্রতিষ্টিত হওয়ার মাঝে সুখ থাকে। বিয়ের আগে নারীকেও অবশ্যই প্রতিষ্টিত হতে হবে-নইলে একজন রোজগার করবে আর স্ত্রী বসে খাবে আর এটা ওটা বায়না ধরার সুযোগ পাবে। গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড প্রয়োজনে থাকাটা অস্বাভাবিক লাইফ মোটেও নয় এবং উন্নত রাষ্ট্র ও ঘিণুওয়ালারাই এই লাইফে চলে-মগজে গোবরওয়ালারা এসব লাইফ খারাপ মনে করে বিপদগ্রস্ত থাকে সবসময়।

পরিবেশ,পরিস্থিতি,সমাজ,অর্থগত ও ধাতুগত দিকদিয়ে মানুশ জ্বন্মগতভাবেই আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। একাক জন আলাদা আলাদা কোর্ড নাম্বারে তৈরী হয়ে যায়। ফলে একে অন্যের সাথে হুবহু মিলবেনা। এজন্য প্রত্যেকেই এখানে আলাদা আলাদা থাকতে হয়। তাহলেই সম্পর্ক ভালথাকে। আর বাংলার অযৌক্তিক আদিম কালচার সেখানে রেজিষ্ট্রেশান করে বিয়ে করে স্বামীস্ত্রী একসাথে একঘরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকটা সঠিক মনে করে। ( গ্লিসারিন আর পটাশ ধাতু এক সাথে রাখলে যেমন দ্রুত দুটোরই ক্রিয়া নষ্ট হয়ে ছায় হয়ে যায়)। ঠিক স্বামীস্ত্রীকে চিরদিনের জন্য এক করে দিলে-মানসিক যন্ত্রনা ও গোলযোগ কমবেশি বেধে ব্যপারটা তেমনই দ্রুত মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়। অনেকেই ছাড়ছোড় ও ভদ্রতা দেখিয়ে চলতে চলতে একসময় একধরনের মানসিক রুগী হয়ে-কোন কোন স্বামী-স্ত্রীর পাল্লায় পড়ে-মেনে নিয়ে বলদের মত জীবনযাপন করে-নাহয় কোনকোন স্ত্রী-স্বামীর পাল্লায় পড়ে গাধার মত জীবন যাপন মেনে নেয়। আর যারা বলদ বা গাধা হতে চাইনা-তারা বড় ছোট ঝ্বড় বৃষ্টি বালা মসিবত-ঝাটা লাথি-থানা পুলিশ করে একসময় ডির্ভোস করে থাকে। যদিও আমাদের সমাজ দিনে দিনে পশ্চিমা লাইফের দিকেই যাচ্ছে তবে(গাধার জ্বল ঘুলিয়ে খাওয়ার মত ব্যপার হচ্ছে)। অর্থাত চোখের সামনে থেকে কালো পর্দ্দা বাঙ্গালীদের একটু ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে।

নিজ স্বাস্থের দিকে খেয়াল রাখা,ভ্রমন করা,একে অন্যকে না ঠকিয়ে বরং সাহায্য করার মাঝেই চরম সুখ থাকে। কেননা সুসম্পর্ক ভাল অর্থই শ্বান্তি-এটাও এসমাজ উল্টো জানে। এসমাজ জানে সম্পর্ক যাই হোক-অর্থ ও তালগার আমার থাকবে। এমন মনোভাবে স্বান্তি কখনও আশা করা যায়না বরং বিপদ দুশ্চিন্তা ও অশান্তি লেগেই থাকে-যেমনটা চলে আসছে। এসমাজ নারী ও পরুশের যৌবনকে গন্ধব ফলের মত চেপে রেখে-অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ও মানসিক সমস্যায় ফেলে দিয়ে-একে অন্যের সাথে সুসম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পথ আজও ধরে রেখেছে।। অর্থাত এ সমাজ নতুন কোন শিক্ষা বাবস্থার আবিস্কার,নতুন কোন যন্ত্রের আবিস্কার,নতুন কোন সফটওয়্যার ও প্রযুক্তির আবিস্কার করতে না পারলেও-এরা নেতা বা বুঝদার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী হয়ে দেশ জুড়ে নিজের দাত বেরকরা অবুঝের মত ভোমভোলা ছবি টানিয়ে আত্নতৃপ্তি পেতে চায়! আর ভীক্ষা করতে করতে হুজুর হওয়া মূর্খ মানুষের কাছ থেকে-ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছে যে উন্নত রাষ্ট্রের মানুশেরা মল ত্যাগ করে পানি খরচ করে না-ব্যাচ। প্রত্যেকেই কাজ
করবে,ভাল খাবে,ভাল পরবে ও সমাজের ভাল থাকবে-তা না করে-না খেয়ে না দেয়ে ভেজাল সৃষ্টি করে ও ভেজাল খেয়ে অন্যের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে-সারা দেশজুড়ে জায়গা জমি বন্দ করে-গুড়াকৃর্মির মত বংশবিস্তার করে ঘনঘন বাড়ি করে অর্থ বসিয়ে-দুর্নিতির পথে নিজেকে সমার্পন করার মাঝেই যেন তৃপ্তিপায়। আর বাচাগাচা নিয়ে তাদেরকে মানুষ করতে না পেরে,স্বাস্থ শেখাতে না পেরে,ডিসিপিলিন না শিখিয়ে-তাদের সাথে সময় ও জ্ঞান দিতে না পেরে-দিনে দিনে মাকড়ষার জালে জড়িয়ে নিজেরাও মরছে-আবার যেগুলো জ্বন্মদিচ্ছে তাদের ভবিশ্যতও-ভয়ঙ্কর অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সমাজও এদেরকে কাল্পনিক,অযৌক্তিক,উদ্ভট,প্রেম-ভালবাসাপুর্ণ চলচিত্র ও গেমস দেখিয়ে-খেলিয়ে-কিভাবে গোলাবারুদ ব্যবহার করে ধংশ যুদ্ধ করা যায় এসব শেখাচ্ছে। আর এই সুযোগে ব্যবসা করে নিচ্ছে-মগজধোলায় কোঃগুলো। অজ্ঞ পিতামাতাও এসব ভৌতিক,বোমা,যুদ্ধ,ধংশমূলক চিত্র দেখতে নিষেধ না করে সন্তানদের এভাবে ভূলভাল,অন্ধকার ও হতাসার মধ্যে ফেলে দিয়ে- পরবর্তিতে সন্তান কর্তক হেওপ্রতিপন্ন হয়ে কঠিন দুরাবস্তার মধ্যে পড়ে-চরম মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রনা ভোগ করে অবশেষে মারা যাচ্ছে।

এভাবেই দেখে আসছে প্রজ্বন্মের পর প্রজ্বন্ম-তবু যেন চেতনা ফিরছেনা বা ঘুম ভাঙছেনা বাঙ্গালীদের। চাউল দুইবার সিদ্ধ করে-ভাত রান্নাকরে মাড় বা ভিটামিন ফেলে দিয়ে প্লাষ্টিকের মত করে নিয়ে খাচ্ছে-তারপরও ২/৩ ঘন্টা অন্তর একবাটি পরিমান সবজি,২/৩ ঘন্টা অন্তর একবাটি পরিমান ফল,২/৩ ঘন্টা অন্তর একবাটি পরিমান আতপ চাউলের ভাত-এভাবে খেতে হয় সেটাও জানেনা। ইচ্ছামত সকাল ৯/১০ টার সময় এক গামলা দোশিদ্ধ চাউল,তার ৪ ঘন্টা পর ২ টার দিকে আবার এক গামলা,তার ৮ ঘন্টা পর রাত ১০ টায় আবার এক হাড়ি ভাত। এরা জানেনা পরিপাকতন্ত্রের কর্যাবলী-জানে বড় পেট জুড়ে শুধু পাকস্থলী আর সেখানে ইচ্ছামত শুকনা ঝালদিয়ে রান্না খাদ্য গালে ঢুকিয়ে খেতে হয়-আর শরীরে উপযুক্ত ক্যালোরী আছে কি নেই সেসব নাবুঝে ইচ্ছা মত সহবাস করতে করতে প্রায় ৯৯% মানুশ আলাভোলা হয়ে যাচ্ছে-তাতেই জগতের যত সুখ। এসবের জন্য প্রকৃত্ব সুখের মুখ এরা অধিকাংশই বুঝতে পারছেনা। মোড়ে মোড়ে চা এর দোকান তায়-প্রচন্ড গরমে,ঝ্বড়ে,বৃষ্টিতে সবসময় চা খায়,মোড়ে মোড়ে দোকানে বিড়ি পাওয়া যায় তা্য় ঘনঘন বিড়ি ফোকা-ইচ্ছামত মসলা ও তামাক দিয়ে দোকানি পান বিক্রি করে আর পেটমোটা মেম্বর ও পাতি নেতা সেটা খায় তায় পান খাওয়া,ফরমালিন যুক্ত মিষ্টি পাওয়া যায় তায়-আত্নীয়ের বাড়ি যেতে হলে চালু আছে মিষ্টি,ফল নিয়ে যেতে হয়-আর খাওয়ার আগে মিষ্টিমুখ করা-তায় খালি পেটে মিষ্টি ও ফল খায়-বাহ। এটুকু জানার প্রয়জন নেই এসব কোথেকে কে সৃষ্টি করেছে-তার যুক্তি আদৗ ছিল না আছে। পচা তেলে ভাজা পোড়া ঝালের চপ,ব্যশন সম্পুর্ণ অসাস্থকর হোটেলে,মোড়ে মোড়ে এবেল এবেল এসব চরম ক্ষতিকর ও জীবণ ধংশকারী ভাজা তৈরী হয় তায় খেতে হবে-বাহ। আজো আমরা জানি যে গালে ভাল লাগার জন্যই কেবল ইচ্ছামত মুখোরচোক খাবার খেতে হয়। শরীরের উপকারের জন্য খেতে হয় স্বাস্থকর খাবার এবং যেটা খেলে দীর্ঘক্ষন বা দীর্ঘদিন আরাম বোধ করা যায় সে ভাবনা আমাদের মাথাতেই ঢোকেনি। আমরা অবুঝ তায় গালে ভাল লাগার জন্য শুকনা ঝাল নারকেলের দুধের রন্না,কুমড়ার বড়ি ও আবলতাবল পিঠা ও মালমসলা বেশিকরে খায়। গ্যাসটিক,আলছার,কিডনি,হার্ড,ফুসফুস,পাকস্থলী,ব্রেন,ষ্ট্রোক,হেপাটাইটিস ইত্যাদী সমস্যা দেখাদিলে অনায়াসে ওষুধ খেয়ে তার সমাধান করা যায়-সেটা আবার বাংলার মানুশদের বলে দেওয়া লাগেনা। কিন্তু বাংলার মানুশ এতটাই নির্বোধ যে তারা জানেনা একটা একটা ওষুধ ১০ টা রোগের সৃষ্টি করে-অর্থাত ওষুধ অর্থ বিষ বা ড্রাগ এটেকটেড বলাযায়। উন্নত রাষ্ট্র ওষুধকে ভয় পায় তায় তারা কন্ট্রোলে থাকার পথ বেছে নিয়ে চলে সবসময়।

আজো পেচিয়ে পেচিয়ে শাড়ী,শায়া,ব্লাউজ,ব্রা গরম প্রধান দেশে-গরমে তার উপর বোরকা ভদ্রতা,লুঙ্গী এসব পাহাড়ী উপজাতীদের কাছ থেকে শেখা নাকি তার কোন যুক্তি আছে-নাকি পূর্ব দিনের কাচা মাংশ খাওয়া লোকেদের অভ্যাস আমরা নিদ্দিধায় ধারণ করে আছি-তার একটুও যৌক্তিকতা আছে কিনা সেটুকু বিন্দুমাত্র ভাববার অবকাশ আমাদের নেই। হুজুকে মাতালের মত আজও আমরা বেহুস হয়ে ছুটে চলেছি। সৎপথ,অসৎপথ, নাবুঝে অর্থ উপার্যনই যেন আমাদের মূল লক্ষ। তারজন্য জীবনকে অবুঝের মত ১০০% অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে চরম দুর্নিতি,কুকর্ম,ছোট ও নিচু হতে আমাদের দ্বিধাবোধ নেই। একদিকে জীবনের ঝুকির কোন খেয়াল নেই আবার ভবিশ্যতের ভাবনা ভেবে একইঞ্চি জায়গার কোন ছাড় নেই তাতে জীবন যায় যাবে-আবার বাড়ির ভিট হবে পাচতলার প্লান করে। এভাবে হুতুশ লেগে আছে যেন আমাদের। শরীরকে নষ্ট করে বা খেয়াল না করে যে অর্থ আয় করছি তার চেয়ে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে ডাক্তার হাসপাতাল করে। একহাত জমির জন্য নিজ ভাই,বোন,আত্নীয় ও পরিবারের সাথে অন্যায় করে,হিংসা করে লড়াই করে-নিজ জীবনের ঝুকি নিয়ে,সময় মত না খেয়ে,না ঘুমিয়ে-মাথা নষ্ট করে-থানা পুলিশ কোট কাছারি করে জমির মুল্যের ১০/২০ গুন অর্থাপচয় করতে বিবেকে বাধছেনা। এরকম হাজারো অনুভুতি ও অযোক্তিক আবেগে চলতে চলতে আমরা স্বাভাবিক হয়ে তৃপ্তি পাচ্ছি এবং পরবর্তি প্রজন্ম এভাবে আরো অসৎ উপায়ে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে।

এসব কুকর্ম ও দুর্নিতি করে আমরা-শ্রীকৃষ্ণ,শ্রীচৈতন্ন,গৌতম বুদ্ধ,ইসা,মুসা,মোঃ-এরকম বিভিন্ন ধর্ম সৃষ্টিকারী মহামানবদেরকে অসন্মান ও মুল্যহীন করছি। যাদের কথার বা লেখার মূল অর্থ ছিল-(সৎ পথে চলো,মিথ্যা বলোনা,অপরাধ করোনা এবং নিজের মঙ্গলের পাশাপাশি অন্যের মঙ্গল করো)। অথচ আমরা সেসব না বুঝে কোথায় মসজিদে টাইলস,এসি,দু পাচতলা ও সভায় কান্নাকাটি করে-চাদা তুলে-এলাকার দরিদ্র জনগনের অর্থের ঘাটতি সৃষ্টি করে তাদেরকে বাধ্য হয়ে জীবন বাচানোর জন্য দুর্নিতির পথে টাকা আয় করার পথে ঠেলে দিচ্ছি। তারপর আহলে হাদিস আন্দোলন,হানাফি আন্দোলন,কাদিয়ানি,সাফিয়ানি,শিয়া,সুন্নি,জঙ্গি,জামাত,জেএমবি,আইএস এসব কত রকম ভাগভাগ করে বুঝদারি বুঝে,ভাই ভাই গোলযোগ করে সম্পর্ক নষ্ট করে পাশাপাশি দুইবাড়ি দুই মসজিদ তৈরী করে ডাট দেখিয়ে নামাজ পড়ছি দুর্নিতি করছি আর ইসলামকে বিকৃত্ব করছি। আসল কথাও কাজ বুঝতে না পেরে মসজিদ মন্দির ভাঙাভাঙি করে আসছি-বাহ। এজগৎ পরিবর্তনশীল জেনেও আমরা সেসবের কোন সংশোধন ও পরিবর্তন না করে গোড়ামী করে ঘোড়ার পিঠে,নৌকায়,গরুর গাড়ি ও পায়ে হেটে যাতায়াতের পুরনো ব্যবস্থার মত আকড়ে ধরে আছি। আবার পারছিনা সেগুলো সঠিকভাবে পালন করতে বা পেছনে ফিরতে -না পারছি সেগুলোকে ফেলে দিতে। মধ্যেপড়ে (ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দা হাটিয়া চলিল) মত অবস্থা হচ্ছে। একটি উদাহারন মনে পড়লঃ-ছোটবেলায় দাদীর কাছ থেকে শুনতাম চাদে একটি বুড়ি বসে গাভীর দুধ দোয়াতো-ঠিক সেটা যেমন সত্য যে,কথাটা আমি দাদীর মুখ থেকেই শুনেছি-আর দাদী একজন মানুশ। ঠিক তেমনই ধর্মগুলোও সত্য এবং যেগুলো আমরা কোন নাকোন মানুশের মুখ থেকেই শুনেছি। তারপর সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা ১৯৪৬ সালে ও আমেরিকার বিজ্ঞানীরা ১৯৪৭ সালে যখন চাদের মাটিতে পা রাখল তখন চাদ সম্পর্কে ধারনার পরিবর্তন হল আমার। এভাবেই দিনে দিনে সবকিছুর ভূল বের হয় আর সেগুলোকে সঠিক করে নিতে হয়-এটাই সত্য।

পূর্বে যেমন(সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরত) জানা গেল। কিন্তু পরে আবার জানা গেল পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘুরছে-সুর্যও ঘুরছে। পৃথিবীর আকৃত্বি আগের তুলনায় পরিবর্তন হচ্ছে। ব্লাকহোলের থিউরীর পরিবর্তন হচ্ছে। এভাবে পৃথিবীতে মানুশের সকল থিম থিউরী আইন ধর্ম নীতি আদর্শের পরিবর্তন ঘটে এবং সেগুলো সংশোধন করে পথ চলাটাই জ্ঞানের প্রকাশ। এখানে চরম সত্য কথা এটাই যে, এজগতে সকল লৌকিকতা ও অলৌকিকতা মানুশই সৃষ্টি করেছে এবং সেটাই আমরা ইতিহাসে স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি। এখানে সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষের যোগাযোগ ধরাযায় এমন- কৃর্মির সাথে মানুশের যোগাযোগ ও কথোপকথোন যেমন। আর কেউ যদি পূবের লোকেদের মত বড় বটবৃক্ষ দেখে মনে করে এটাই সৃষ্টিকর্তা তাহলে সেটা তার ব্যপার। আবার কেউ যদি মনে করে যে,কেউ কারোর ভূল ধরিয়ে দেওয়াটা অপরাধ বা অন্যায় সেটা তাদের জ্ঞানের অভাব হতে পারে।

ছোট্ট একটা বাস্তব কথা মনে পড়ছে। একদা এক ব্যক্তির ফুপু ৫৫ বয়স। তিনি কানে খুববেশি শুনতে পায়না। অনেক জোরে বল্লেও
আংশিক শুনতে পায়। তো সে একদিন সেই ভাইপোর বাড়ি বেড়াতে এলে-ভাইপো তাকে কানে শোনার জন্য একটা যন্ত্র কিনে ভলিয়ম সেট করে দিয়ে দিল এবং সে স্বাভাবিক মানুশের মত ঠিকই শুনতে পাচ্ছে। কিছুুদিন পর তার ফুপু আবার তাদের বাড়িতে এসে-মন খারাপ করে সেই যন্ত্রটি ফেরত দিল। কারন জানতে চাইলে সে বলেনা। ভাইপো আনেক খতিয়ে খতিয়ে বেশকিছু কারন জেনে স্পষ্ট হল যে,তার ফুপু আগের মত কালা অবস্থায় উল্টোপাল্টা ও আংশিক শুনে আরেক রকম উল্টোপাল্টা উচ্চারন করলে মনুশগুলো হাসত-সেসব দেখে তার ফুপুর একরকম মজা সেট হয়ে গেছে। তার সন্তানেরা স্বাবলম্বি এবং সে বড় বাড়ির একমাত্র বড় মা-তার রিলেটিভেরা পোতা পুতনি নাতি নাতনি পাড়া প্রতিবেশি সকলের সাথে ইচ্ছা মত নাশুনতে পেয়ে ভূল উচ্চারন ও আলাদা কথাবার্তা উচ্চারন করে-তাদের হাসিয়ে বেশ মজা পেতে পেতে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ফলে কানে শোনা যন্ত্রে সে সবকিছু দুরের কথা,পাখির ডাক,মানুশের বাস্তবতা দুরাবস্তার কথা ও চারিদিকে চিৎকার চেচামেচি, গোলযোগ,গালি এসব শুনে তার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে-নিজের জগতে ভেবে নেওয়া আনন্দগুলো ভূল হয়ে যাচ্ছে তার। কিন্তু তায় বলে তো আর একজন স্বুস্থ,স্বাভাবিক ব্যক্তি দিনের আলোয়-দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরের অন্ধকারে শুয়ে থাকতে চাইবেনা !
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×