somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিযোগিতার দৌড়ে দেশের পর্যটন খাত

০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম চতুর্থবারের মতো পর্যটনশিল্পে প্রতিযোগী দেশগুলোর অবস্থান বিশ্লেষণ করে ‘দি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১১’ প্রকাশ করেছে। সুইজারল্যান্ড টানা চতুর্থবারের মতো সেরা স্থানটি দখলে রেখেছে; ফ্রান্স, জার্মানি ও অস্ট্রিয়া পরবর্তী স্থানগুলোর জন্য প্রথম থেকেই প্রতিযোগিতা করছিল; এবার অস্ট্রিয়াকে পেছনে ফেলে জার্মানি দ্বিতীয় ও ফ্রান্স তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি পড়ার সময় স্বভাবতই এ খাতে নেতৃত্বদানকারী দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের অবস্থান বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। গোটা বিশ্বেই উন্নয়নশীল দেশগুলোয় পর্যটন খাত নিয়ে সরাসরি গবেষণা অনেক কম। বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে বিশ্লেষণ করা হয় বলে তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদনটি দেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য ভালো গাইডলাইন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তথ্য জোগানের দায়িত্ব পালন করেছেন সিপিডির তিন গবেষক। প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরছি এখানে:
যেহেতু শিরোনামে বলা হয়েছে ‘কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট’, সেহেতু মূল ফোকাসটা থাকে— পর্যটন খাতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বা উন্নতি করতে যেসব বিষয়ে সক্ষমতা প্রয়োজন, সেই মাপকাঠিতে কোন দেশ কী অবস্থায় আছে তা তুলে ধরা। প্রচলিত অর্থে কোন দেশ পর্যটনের জন্য সবচেয়ে ভালো অথবা কোন দেশে বেশিসংখ্যক আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে তা তুলে ধরা এ প্রতিবেদনের লক্ষ্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সম্ভাবনাময় এ খাতটি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে; সরকারের নীতিনির্ধারকরা একে ‘থ্রাস্ট সেক্টর’ হিসেবে ঘোষণাও করেছেন। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের আগ্রহ ও বিনিয়োগ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই শোনা যায়। বিশ্ব পর্যটনের অগ্রগতির দৃষ্টিকোণ থেকে বাস্তবে আমরা কত দূর এগোতে পারলাম, প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কোন ধরনের, সুবিধাজনক দিকগুলো কী কী প্রভৃতি বিষয়ে সে প্রতিবেদন থেকে জানতে চেষ্টা করলাম। এ প্রতিবেদনে সব দেশে সমজাতীয় চলক ব্যবহার করায় পারস্পরিক বা এক বছরের সঙ্গে অন্য বছরের তুলনা সহজ হয়। ফলে দেশের ট্যুরিজম শিল্পের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কেও বিশদ ধারণা পাওয়া গেল।
সংস্থাটির মতে, তুলনা করার মতো ১৩৯টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের নাম তালিকায় দেখে বেশ ভালোই লাগল। কারণ এর আগে এ জাতীয় আরও কিছু প্রতিবেদন পড়তে গিয়ে পাদটীকায় দেখেছি— পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ায় যেসব দেশকে র্যাংকিংয়ে বিবেচনা করা হয়নি, বাংলাদেশ তাদের অন্তর্ভুক্ত। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী কম্পিটিটিভনেসের বিচারে সেরা (ক্রমানুসারে) ১০টি দেশ হলো— সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, কানাডা ও সিঙ্গাপুর। ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্সে ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম। ১৪টি মৌলিক বৈশিষ্ট্যের আলোকে দেশগুলোকে মূল্যায়ন করে প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে সূচক নির্ধারিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নসংক্রান্ত নীতিমালা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা, টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন কার্যক্রম, পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা, পর্যটন বিষয়ে সরকারের অগ্রাধিকার ও আন্তরিকতা, পর্যটন অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় (বিশেষ করে বিমান ও সড়ক) যোগাযোগব্যবস্থা, পর্যটনদ্রব্যের মূল্যস্তর, দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানবসম্পদের পর্যাপ্ততা, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদের উপস্থিতি প্রভৃতি বিষয়কে ইনডেক্স প্রস্তুতের সময় নিবিড়ভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
তুলনা করার সুবিধার্থে সারা বিশ্বকে চারটি পর্যটন অঞ্চলে (ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া প্যাসিফিক, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা) ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক অংশের ২৬টি দেশের তালিকায় ২৫তম স্থানে; সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া পূর্ব তিমুর রয়েছে সর্বশেষ স্থানে। এ অঞ্চলে শীর্ষ দশে রয়েছে যথাক্রমে— সিঙ্গাপুর (বিশ্বসূচকে দশম), হংকং, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া রিপাবলিক, মালয়েশিয়া (৩৫তম), তাইওয়ান, চীন (৩৯তম) ও থাইল্যান্ড (৪১তম)। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত রয়েছে বিশ্বসূচকের ৬৮তম স্থানে, নেপাল ১১২ ও সমস্যা জর্জরিত পাকিস্তান ১২৫তম অবস্থানে। তবে অর্থনৈতিক মন্দায় যেখানে গোটা বিশ্বে পর্যটন খাত থেকে আয় কমেছে (২০০৮-এর তুলনায় ২০০৯ সালে) ৪ দশমিক ২ শতাংশ, সেখানে এশিয়া মহাদেশের প্রায় প্রতিটি দেশের আয় আগের তুলনায় বেড়েছে— এটি আশার দিক। দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের নীতিনির্ধারকরা প্রতিনিয়ত এ শিল্পবিকাশের কথা যেভাবে বলেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনে মোটেও তার প্রতিফলন ঘটেনি। বিশ্ব অভিজ্ঞতার আলোকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে আমাদের দুর্বলতার দিকগুলো। পাশাপাশি কিছু ইতিবাচক দিকও চিহ্নিত করেছে। আমরা সেগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারিনি।
বিশ্বসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পেছনের দিকে থাকবে, সেটা প্রত্যাশিত। তবে জানার আগ্রহ ছিল, প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ট্যুরিজমের কোন দিকটাকে সবচেয়ে ভালো বলা হয়েছে? আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, একটি মাপকাঠিতে বাংলাদেশ প্রথম(!) হয়েছে এবং আরও কাকতালীয় ব্যাপার হলো, ট্যুরিজমে শীর্ষস্থানীয় দেশ সুইজারল্যান্ড সেই বিষয়ে হয়েছে ১৩৯তম (সর্বশেষ স্থান) সেটি হলো, ভ্রমণের সময় ‘এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি’। অর্থাত্ বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে কম আর সুইজারল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি। তেমনিভাবে আরও কিছু ইতিবাচক দিক উঠে এসেছে প্রতিবেদনে; যেমন বাংলাদেশে অবস্থানকালে বিদেশী ট্যুরিস্টদের বাজেটের বিপরীতে ক্রয়ক্ষমতা অনেক বেশি (১২তম); বাতাস দূষিতকরণ গ্যাস নিঃসরণে গোটা দেশের গড় অত্যন্ত কম (১৬তম); সড়কপথের বিস্তৃতি বেশ সন্তোষজনক (১৯তম); এ সেক্টরে কর্মরতদের চাকরিসংক্রান্ত নিরাপত্তার দিকটিও ইতিবাচকভাবেই তুলে ধরা হয়েছে (১৯তম)। হোটেলে অবস্থান খরচ তুলনামূলক কম (৪২তম); বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষিত স্পটের সংখ্যাও মন্দ নয় (৪৩তম); প্রকৃতিতে জীববৈচিত্র্য উল্লেখ করার মতো (৪৫তম); ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোয় সরকারি ট্যাক্স কম বলেও (৫৪তম) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে পর্যটন খাতের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— এ খাতের অবকাঠামোগত বেহাল দশা (১৩২তম); এ খাতের প্রতি সরকারি নীতিনির্ধারকদের আন্তরিকতার অভাব (১৩৩তম); এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার অভাব এবং মানসম্মত বিমান যোগাযোগের অনুপস্থিতি (১২০তম), আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (১২৯তম) অনগ্রসরতা (বিশেষ করে ইন্টারনেটের বিস্তৃতি ও গতি) প্রভৃতি। দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে বিশ্বের খারাপ দেশগুলোর কাতারে (১০৫তম)। প্রতিটি সরকারই মুখে এ খাতের বিকাশে খুব আন্তরিক বললেও প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা এ খাত সবসময়ই থেকেছে পেছনের সারিতে (১৩১তম)। পাশাপাশি পর্যটন দ্রব্যের মানোন্নয়ন ও প্রমোশনে রয়েছে ব্যাপক দুর্বলতা; এ পর্যন্ত ব্র্যান্ডিং বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নে খুবই অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে (১২৫তম)। পুলিশের সেবার ওপর নির্ভর করা কঠিন (১২৩তম) এবং সড়ক দুর্ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হিসেবে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে হয়রানি ও আইনি জটিলতা; বৈদেশিক বিনিয়োগের পথ মসৃণ না হওয়া; পরিবেশবিষয়ক আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করা; ব্যবসা পরিচালনার সময় চাঁদাবাজি ও অন্যান্য উত্পাত (১২৪তম); পর্যটকদের চিকিত্সাসেবার অপ্রতুলতা; পর্যটন এলাকায় ঘনবসতি বা বস্তির অবস্থান; পোর্ট ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা; দালালদের উত্পাত; সীমিত পরিসরে মাস্টার বা ভিসা কার্ডের ব্যবহার সুবিধা; স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবসম্মত গবেষণার অভাব; বিদেশী নাগরিকদের ঠকানোর প্রবণতা; সংরক্ষিত পর্যটন এলাকার অভাব; আন্তর্জাতিক মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজন না করা প্রভৃতি বাস্তবসম্মত কারণ ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
আমরা এশিয়ার যেসব দেশের (সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত) পর্যটন খাতের সঙ্গে নিজেদের অগ্রগতি মেলাতে চেষ্টা করি বা উন্নয়ন মডেল হিসেবে তাদের গ্রহণ করি— প্রতিবেদনে বুঝতে চেষ্টা করলাম তাদের অগ্রগতির মৌলিক দিকগুলো। সিঙ্গাপুর দ্রুত ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত হয়েছে মূলত বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণ, বাস্তবসম্মত পলিসি গ্রহণ, সর্বোত্তম নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং সরকারের সব সিদ্ধান্ত গ্রহণে পর্যটন বিকাশের বিষয়টি সমন্বয় করতে পারার কারণে।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদগুলোর দক্ষ উপস্থাপনা, ভ্রমণ খরচ সীমিত রাখতে পারা, ন্যূনতম ট্যাক্স ও এয়ারপোর্ট চার্জ ধার্য করা, পর্যটন বিকাশের প্রতি সরকারি-বেসরকারি মহলের আন্তরিক চেষ্টা। থাইল্যান্ডও স্বল্প সময়ে বেশ ভালো করেছে এ খাতে। পর্যটন বিকাশে সরকারের অগ্রাধিকার, ধারাবাহিকভাবে সফল বিপণন কৌশল প্রণয়ন, ভ্রমণ ব্যয় তুলনামূলক কম রাখতে পারা এবং সেবাদানকারীদের বন্ধুসুলভ মনোভাব এ সফলতার পথে বড় ভূমিকা রাখছে। নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোর দক্ষ উপস্থাপনা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, হস্ত ও চারুশিল্প বিকাশ, সড়ক ও আকাশপথের বিস্তৃতি, বছরব্যাপী বিবিধ মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন, সেবাদানকারীদের ভাষাজ্ঞান প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের অভাব ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দেশটির নেতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান বিশ্বের মার্কেটিং গুরু ফিলিপ কটলার বলেন, ‘তুমি সঠিক পথে থাকার পরও ব্যবসায় পরাজিত হতে পার, যদি তোমার গতি প্রতিযোগীর চেয়ে কম হয়।’ দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা এমনকি সমস্যাসংকুল পাকিস্তানও এগিয়ে যাচ্ছে এ খাতে। কিন্তু আমরা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, পাঁচ শতাধিক জীববৈচিত্র্য ধারণকারী লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মতো অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকারী হওয়ার পরও পারছি না সেগুলোকে সফল পণ্যরূপে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে। পৃথিবীর অনেক দেশেই পর্যটনের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় নেই। সেদিক থেকে আমরা ভাগ্যবান যে, দেশে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় রয়েছে শুরু থেকেই; স্বাধীনতা অর্জনের খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র করপোরেশনও গঠন করা হয়েছে এ খাতের বিকাশের লক্ষ্যে। কিন্তু যে পরিমাণ অর্থ ও মনোযোগ এ খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে, সে তুলনায় আমাদের অর্জন কি উল্লেখ করার মতো? কম্পিটিটিভনেস— সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন তা বলছে না। তাই শুধু কথার কথা নয়; প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে টিকতে এবং সামনে এগোতে হলে চাই বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ও সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন।
লিংক
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×