লেখা শুরু করার আগে শ্রদ্ধেয় মোডারেটর মহাশয়দের দৃষ্টি আকর্ষন করছি , আমি কয়েকমাস আগে সামুতে আসছি; সেই থেকে ওয়াচ হইতাছি । জেনারেল হইবার পারতাছি না। ও ভাইরে (বুনরে) আমার ওয়াচ করার মত কিছু নাই । জন্মের পরে আম্মিজান নাকি আমারে খুইজা পাইতাছিল না , দুঃখে পইড়া নানাজান কইছিল, "রোসো, এই নিগ্রো আইলো কই থেকা ?"
তারপর টিপাইমুখে কত পানি গরাইছে , আমিও দিনে-রাতে হাটতেয়াছি, সূর্যের তেজে আমার বর্ন আরো গাঢ় হইয়াছে , তাই তুমরার কাছে আমার অনুরোধ, Kindly আমারে জেনারেল হইবার দাও। আমার Appearance খারাপ হৈবার পারে , তয় আমি মানুষ খারাপ না
এইবার আমার উর্বর মস্তিকের কিছু প্রয়াস
কান্নার মেঘ
নির্লিপ্ত নির্মেঘ আকাশে হঠাৎ করেই ...............
সৃষ্টিছাড়া ধুলোটে যাযাবর মেঘ,
ধুপছায়ায় পৃথিবী ;
আসন্ন বৃষ্টি কি তার কান্নারই ক্রাইটেরিয়া ?
মাকুয়াস হিউমারহীন অসম্পূর্ণ মানব আমি,
তীব্র বিষাদে শুষ্ক এ চোখে ঝড়ে না সামান্য অশ্রু;
না শীতল, না কোমল ;
বরঞ্চ কোনস ভরা কুকুরের চোখের মত
প্রখর অগ্নিপথ , নেত্র নামের আগ্নেয়গিরি ।
তবে কি নির্জীব , হৃদয়হীন আকাশের চেয়েও আমি নিষ্প্রভ ?
ধোঁয়াটে চর্বিভরা শরীরসর্বস্ব স্পঞ্জ ?
কিংবা চরম অবহেলায় আধপোড়া দুশ্চরিত্র কুমারীর লাশ ?
বিবর্তনের গহীন গহ্বরে চিরকাল নিজের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে ফিরি ............
প্রেয়সীর অশ্বগন্ধা বুভূক্ষু হৃদয় নখের আঁচরে
রক্তাক্ত করে খুঁজে ফিরি কান্নার অজুহাত ;
সদ্যজাত শিশুর ব্রহ্মতালু ছেঁদা করে দেখি
সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা (ওখানেই সমাপ্তি) :
রক্ততদ্ভুত সন্তানের মৃত্যুতে আপ্লুত মায়ের
রাহাজারি আর কান্নার জলে ভাসি আমি ।
শুস্ক শরীর আমার; সে কষ্ট, সে বেদনা, সে অশ্রু কিছুই আমাকে স্পর্শ করে না ।
আত্মকেন্দ্রিক শরীরে ফেমটোমিটার মন,
আদ্রর্তাহীন নিকষ মেঘমালা ; অনিঃশেষ গোবি সাহারার মত
তৃষ্ণার্ত অভিলাষ....................................
তবু মুরগীছানার স্তন্যহীন মায়ের ডানার নিচে
দুগ্ধ খোঁজার মত খুঁজে ফিরি অশ্রুর স্পর্শ;
অনুভব করার মত এক টুকরো কান্নার মেঘ ।
জ্যোৎস্নার প্রতি আমার একটা জন্মগত টান রয়েছে, প্রতি পুর্নিমায় আমি যখন শহরের জনশূন্য রাজপথে ক্লান্ত পায়ে হাটি ; নিজেকে কেমন যেন কবি কবি লাগে, অজস্র কবিতা নামের অকবিতা ভীড় করে আমার চারপাশে.........................
জ্যোৎস্নার মায়ায়
তবু ছড়িয়ে যায় ……………
ঘুমন্ত ধরিত্রীর জীবন্ত বুকে;
নিয্যস মধুময় জ্যোৎস্না ।
কখনও নির্মোহ কুয়াশা, কখনও বিষাক্ত ধুয়াশা,
অতিক্রম করে ছুটে ফেরে ঋনী আলোচ্ছটা……..
স্নিগ্ধ নদীর বক্ষে আর বাস্পহীন মরুক্ষেত্রে,
নেপথ্যে চলে ধুয়ে দেওয়ার উৎসব ।
কল্লোলিত জলরাশি শিখরে ফেরে, পাক্ষিক উদ্যমে;
কলংকিত বক্ষে প্রতিফলিত সৌকর্ষ ভক্ষন করে
অজস্র জ্যোৎস্নাভূক ।
অথচ ব্যথর্তার উপসাগরে অনন্ত বাঁধা গতি,
স্তিমিত জীর্ন ছায়াপথ ..............
একই কালবেলা, একই জ্যোতিষ্কের বারংবার বোধন ।
মাঝে মাঝে নতুনত্বের লেজুড় নিয়ে হঠাৎ ধূমকেতু...............
বাকি সব গাঁথা অতীতেই আবর্তন ।
কসমিক সময়ে থেমে থেমে চলা এ প্রাণের অনুরণন,
আষ্টেপিষ্টে পৃষ্ট~ক্লিষ্ট যেন এক শৃংখলিত বন্ধন ।
তবু এই বেঁচে থাকা ,
জীবনকে ধরে রাখা ;
ছড়িয়ে দেওয়া পুনরুজ্জীবন
প্রত্যেক লসিকায় ।
শুধুই অতি পুরাতন
অথচ নতুন
নেশাতুর এই
জ্যোৎস্নার মায়ায়
শুধুই জ্যোৎস্নার মায়ায়
কেবলই জ্যোৎস্নার মায়ায় ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১২ সকাল ১১:৫৯