মধ্যরাত্রির দর্শনচর্চার মায়েরে বাপ ;
আমাদের পকেটে সঞ্জীবনী জীবনের পুড়িয়া ।
কার্জনের কোন এক বারান্দায় আমরা কজন ,
আমাদের ভিতরে ধোয়া, বাইরে ধোয়া ;
মনের রাস্তায় বয়োঃপ্রাপ্ত কুকুরের ভাদ্রমাস ।
আমরা রাতপুলিশকে দেখলে খিস্তি করি,
শহীদ মিনারের দেয়ালে পেচ্ছাপ করে আমাদের চেতনাবোধে বাধে না ।
কেননা চেতনার সবটুকু ফেসবুক স্ট্যাটাসে আটকে গেছে ।
ঢাকা মেডিকেলের সামনে বা পলাশীর স্তুপ করা পরাটা দেখে আমাদের লালা ঝরে ,
সামান্য মেদওয়ালা স্বাস্থ্যবতী তরুনীর ওড়নাবিহীন বুক দেখে যেমনটা লালা ঝরে আমার জাতভাইয়ের ।
আমরা গোগ্রাসে পরাটা গিলি,
মানসিক বা শারীরিক খিদের কাছে পরাটার আত্মচিৎকার ক্রমাগত চাপা পড়ে যায় ।
আটপৌড়ে মধ্যবিত্ত জীবন টপকাতে আমরা গুলিস্তানের টোপ গিলি ;
সোডিয়াম আলোয় করি বিগত প্রেমিকাদের ব্যবচ্ছেদ ।
যেখানে সেইসব লাবিবারা ওয়ালেটের পুরুত্ব দিয়ে ভালবাসা মাপে,
চারপাশে মুগ্ধ পুরুষের ভীড় পছন্দ করে
এবং দর্শন ও ধর্ষনের শাব্দিক মিলকে তেলাপোকা ভেবে ভয় পায় !
গুয়েভারা বা নকশালীয় আইডোলোজি চিবিয়ে আমরা অকারনেই বাল ছিড়ি ।
নাস্তিকতা মানেই ইসলাম বিদ্বেষ, ভালবাসা মানেই গুটিবাজি
টাইপ গোমুর্খ ট্রেন্ডিঙ্গয়ে আজাইরা চিল্লাই ।
হঠাত করে, হটাত করেই মাল খাওয়া কোন বোকাচোদা ট্রাকওয়ালা
সটান চালিয়ে দেয় আমাদের উপর .........
ঘোর তীব্র হয়, সারা মুখ নিংড়ে খুজে পাইনা একবিন্দু থু থু !!
বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান বা প্রেমের ধোয়াটে এনাটমিতে গুলিয়ে ফেলি সবকিছু;
ধর্মের আশ্রয়ে রক্তাক্ত চাপাতিকেও যৌক্তিক মনে হয়।
সাহিত্যের নামে রাবিশ এইসব গল্পকেও কবিতা মনে হয়!
পীচঢালা রাস্তায় তখন আমাদের রক্তের ফোয়ারা
আমার, আমার বিধর্মী বন্ধুর, রাস্তার পাশে ঘুমানো বেনামী পথশিশুর
সিগনাল ছাড়াই রাস্তা পার হতে চাওয়া বেজন্মা ছুঁচোর !
এবং আমাদের অসুস্থ সময়ের....
শেষ পৃথিবীর চেতনা হারানোর ঠিক আগে আমাদের মনে হয় -
আকাশে আকা অদ্ভুত ট্রাপিজিয়াম,
আমার নিজস্ব জীনে অকারন বিভাজন ;
কোন সেকুলারিস্ট শুয়োরের চিন্তায়,
ভালবাসা সত্যি না, জীবন সত্যি না !
সত্যি কেবল রক্ত আর দাঁড়কাকের হাসি!