ডরিমন ও কিছু কথা...............
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আমদের দেশে এখন প্রায়ই একটা কথা শোনা যায় যে ডরিমন কার্টুন নাকি বাচ্চাদের নষ্ট করে ফেলছে , বাচ্চারা এর মাধ্যমে নাকি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে নাকি খালি গেজেট গেজেট করে। মা-বাবারা এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন । আমি বলব এতে কোন খারাপ কিছু নেই তার কারণ হল বাচ্চারা সব সময় এমন জিনিস পছন্দ করে যা করতে বা দেখতে নিষেধ করা হয়। আমি বেক্তিগতভাবে গত ৩ মাস ধরে ডরিমন কার্টুন দেখি । আমার চোখে এমন কিছু ক্ষতিকর ধরা পড়েনি । অনেকে বলে এতে দেখান হয় নবিতা(প্রধান চরিত্র) আর সুজুকা(নবিতার বন্ধু) এর মধ্যে বেশি মেলামেশা দেখান হয় । আমি বুঝি না ক্ষতি কোন দিকে বরং বাচ্চাদের মানা করে তাদের মধ্যে এ ব্যাপারটি আরও প্রবলভাবে ঢোকানো হয় । বাচ্চারা যখন এটি দেখে তখন তাদের মধ্যে কখনই এ ব্যাপারটি আসে না ।
এতে শুধু একটি খারাপ বা মহাখারাপ দিক আছে যা হল এটি হিন্দিতে দেখান হয় । এর ফলে বাচ্চারা হিন্দি সংস্কৃতির দিকে ঝুকছে । এখন বাচ্চারা হিন্দিতেই কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে কারণ তারা সারাদিন হিন্দিই শোনে । এর ফলে তারা বিজাতীয় সংস্কৃতির দিকে ঝুকছে । এখন বাচ্চারা হিন্দি নগ্ন জ্ঞান ছাড়া খেতে চায় না । আমার পরামর্শ হল এটির ষত্ব কিনে তা বাংলায় দেখান। আমাদের পণ্ডিতরা শুধু এর কুফল বলেই খালাশ এর পরিবর্তে কোন মজাদার জিনিস তারা বানাতে পারে না বা চায় না । এরা চায় এ দেশের সংস্কৃতি যাতে ধ্বংস হয় । এরা ঈদের সময় বাচ্চাদের অনুষ্ঠান বানায় যা দেখে হাসি পায় কারণ যুগ এখন অনেক এগিয়েছে এটি দিয়ে এখন আর চলবে না ।
আমাদের দেশে ভারতীয় সংস্কৃতিকে আমাদের সংস্কৃতি বলে চালানো হচ্ছে। হায়রে দেশ! শেষে আমার কয়েক দিন আগে দেখা একটি ঘটনা দিয়ে শেষ করি । আমি ডিভিডি কিনতে দোকানে যেয়ে দেখি এক মা তার বাচ্চার জন্য কেনা গেমস বদলাতে এসেছেন । তার চাওয়া গেমসটি দোকানে নেই । তো দোকানদার বলল আপনি বদলে মুভি নেন । তিনি কি মুভি নেবেন তার জন্য তিনি ছেলেকে ফোন দেন তার ছেলে বলল এক থা টাইগার নিতে। আমি আগ্রহ বোধ করলাম আমি জিজ্ঞাস করলাম আপনার ছেলে কিসে পড়ে ? তিনি বললেন তার ছেলে ক্লাস 4 এ পড়ে । ভাইরা বোঝেন অবস্থা । আমিও বললাম জিসম ২ নিতে । উনি তখন ২টাই নিলেন। এই আমদের অভিভাবক । এরা খালি জানে পড়তে বস পড়তে বস , বাইরে যাস না বাইরে যাস না । জগৎ কিছুই জানে না ।সংস্কৃতি থাকবে কিভাবে? এই সব দেখে আসলেই হতভম্ব হই ।
ধন্যবাদ





এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩

ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।
১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার...
...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে...
...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;...
...বাকিটুকু পড়ুন
দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক...
...বাকিটুকু পড়ুন